অসীম জ্যোতি ঘোষ ভারতের আসম রাজ্যের লখিমপুরের চকুয়াখানা পয়লা জুলাই ২০০৩ থেকে নতুন আঙ্গিকে সাজানো সি আর আই বাংলা অনুষ্ঠানের বৈচিত্র্য এবং বিভিন্নতাই আমার প্রাণে যেন জোয়ার এনে দিয়েছে । প্রতিটি অনুষ্ঠানেই একটি বিশেষ মর্যাদা এবং আকর্ষন রয়েছে এবং প্রতিটি অনুষ্ঠানই যেন এক একটি জ্ঞানের ভান্ডার । যার জন্য আমার সবচেয়ে প্রিয় অনুষ্ঠানটি বাছাই করতে আমাকে হিমশিম খেতে হয়েছে। তবুও আমি আমার প্রিয় অনুষ্ঠানের শীর্ষে রাখতে চাই 'একক সন্ধ্যা' অনুষ্ঠানটিকে । কেন না , আমার মনে একক সন্ধ্যা হচ্ছে এক রঙ্গমঞ্চ; যেখানে আমরা শ্রোতারা সন্ধ্যেয় এক নিঝুম কোনায় বসে আমাদের চিন্তা-ভাবনা , অনুভুতি এই মঞ্চে তুলে ধরতে পারি এবং আমাদের ভাব বিনিময় করতে পারি । সেই সাথে আপনাদের সঙ্গেও একটু অল্প সময় এই সন্ধ্যে সঙ্গীতের মৃদু গুণ গুণের তালে আমরা কাটাতে পারি । সি আর আই বাংলা আসরের উন্নতির জন্য আমার কয়েকটি প্রস্তাব রয়েছে । প্রথম প্রস্তাব, চীনা ভাষা শেখার আসরে চীনা ভাষাটি আমাদের শুধু তোতা পাখির মতো মুখস্ত করে শিখতে হয়েছে । কিন্তু চীনা ভাষার লিপির সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পর্ক নেই । তাই প্রত্যেক শ্রোতার জন্য চীনা ভাষার লিপি সহ লেখা বই দেওয়ার ব্যবস্থা করুন এবং একক সন্ধ্যা অনুষ্ঠানটি ১৫ মিনিট এর জায়গায় ২০ মিনিট করুন , সেই সাথে শ্রোতাদের চিঠি পাঠের সংখ্যা আরো বাড়ানো যাক । দ্বিতীয় , খবর প্রচারের সময় সরাসরি টেলিফোন রিপোর্ট প্রচার করুন এবং বাংলাদেশের খবর প্রচারের সাথে সাথে ভারতের অসম এবং পশ্চিমবঙ্গের খবর বেশি করে প্রচার করুন । তৃতীয় , বর্তমান এখন বিজ্ঞানের যুগ । প্রতিদিন নিত্য নতুন তথ্য এবং জিনিস বেড়িয়েছে । তাই একটি বিজ্ঞানের আসর চালু করুন এবং ডি-এক্সিং বিষয়ক একটি অনুষ্ঠানও গুরু করুন । চতুর্থ, বর্তমান বিশ্বের বিভিন্ন সমস্যা , যেমন: সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষ , আর্সেনিক , এইডস , যুব-উচ্ছৃংখলতার সমস্যা ইত্যাদি নিয়ে সময়ে সময়ে আপনারা নাটক বা বিশেষ অনুষ্ঠান করার ব্যবস্থা করুন । পঞ্চম প্রস্তাব, প্রতিদিন আপনারা অনুষ্ঠানের শেষে আপনাদের ঠিকানা , ইমেল প্রচার করুন , যেন কোনো নতুন শ্রোতাকে ঠিকানা সংগ্রহ করতে এক সপ্তাহ ধরে অপেক্ষা করতে না হয় এবং সি আর আই বাংলা ত্রৈমাসিক পত্রিকা "আমি তুমি সে" নিয়মিতভাবে প্রকাশিত করে শ্রোতাদের কাছে সঠিক সময়ে পাঠানোর ব্যবস্থা করুন। সি আর আই আমার আপন বেতার । আমি সি আর আইকে আমার প্রাণ দিয়ে ভালোবাসি । সি আর আই বাংলা বিভাগ তার জ্ঞানের ভান্ডার থেকে আমাকে যেভাবে জ্ঞান দিয়ে যাচ্ছে , তার জন্য আমি চিরদিন সি আর আই এর কাছে কৃতজ্ঞ থাকবো । আমার জীবনের শেষ পর্যন্ত আমি সি আর আই এর পাশেই থাকবো এবং সি আর আই এর সর্বাঙ্গীণ উন্নতি কামনা করে যাবো । পরিশেষে বলি , সি আর আই আমার এবং আমি সি আর আইয়ের ।
|