সবচেয়ে ধন্যবাদ দিচ্ছি ইন্টারন্যাশনাল রেডিও ক্লাব অব কুমিল্লার পক্ষ হতে । আর আমি এর সভাপতি , সে জন্য অনেক গর্বিত । আমাদের পাড়ায় ক্লাবের অভাব নেই । যেখানে সেখানে ছড়িয়ে আছে বিভিন্ন নামধারী ক্লাব । যখন সি আর আই এর বাংলা বিভাগ সম্পর্কে জানতাম না , তখন আমার সঙ্গী ছিল বাংলাদেশ বেতার , অল ইন্ডিয়া রেডিও, বি বি সি লন্ডন , ভয়েস অব আমেরিকা । এক দিন রেডিও'র নব ঘুরাতে ঘুরাতে শুনতে পেলাম "আপনি অনুষ্ঠান শুনছেন রেডিও চীন থেকে " , তখন থমকে গেলাম। বিশ্বাসই হচ্ছিল না চীনের মত সবচেয়ে একক ভাষী একটি দেশেও বাংলা ভাষায় অনুষ্ঠান হয় । সে দিনের পর হতে আজও পর্যন্ত ক্লান্তি নেই । বিরতি নেই , শুনেই চলেছি মনোমুদ্ধকর সব অনুষ্ঠান । তখন আমার ভাই , বোন ও কয়েক জন বন্ধু মিলে গঠন করি এই "ক্লাব"। ফলে অন্যান্য রেডিও ক্লাবের বন্ধুরা অবহেলা ও কটুক্তি করতে লাগলো । তারপর এক দিন বি বি সি এর সভাপতি , ভি ও এ এর সভাপতি , ডি ডাবলিউ এর সভাপতি আমাদের ক্লাব পরিদর্শনে এল । যদিও তারা আমার বন্ধু । ডি ডাবলিউ এর সভাপতি বলল , জার্মানী ভাষা ও সংস্কৃতি শিখো , তারপর বেতার বন্ধু হয়ে ডি ডাবলিউ জার্মানী ভ্রমণ করো । তার সাথে সাথে বি বি সি এর সভাপতিও বলল হে, ইংরেজী ভাষা শিখো এবং বাংলা অনুষ্ঠান শোন । তারা অনেক প্রকার তথ্য দিতে লাগলো , তাদের নিজ নিজ বেতার অনুষ্ঠান সম্পর্কে । তখন বললাম , তোমাদের বেতার অনুষ্ঠানে কি , সরাসরি ফোনে কথা বলা যায় ? প্রকাশ করে কি কোন মাসিক পত্রিকা? পড়ে কি তোমাদের লেখা চিঠিগুলো? তাদের মুখ থেকে কোন কথা বেরুল না । মাথা নিচে করে বলল , দুঃখিত । আরো রয়েছে মেয়েদের জন্যে সুন্দর একটি বিভাগ ? তাদের সে দিন হারমাখা মুখ দেখে সত্যিই বিজয় দিবসের মত আনন্দিত হয়েছিলাম । সেই দিন যদি আমি সি আর আই সম্পর্কে না জানতাম ও শুনতাম , তাহলে হয়ত তাঁদের সাথে তাল মেলাতে হত । কিন্তু ধন্যবাদ তাদেরকে যারা ধরে রেখেছেন সি আর আই এক বাংলা বিভাগকে । আজ তারা বি বি সি , ভি ও এ , ডি ডাবলিউ এর পাশাপাশি সি আর আইও শুনছে ও জানছে । আমি তাই খুবই গর্বিত যে , এই ক্লাবের সভাপতি ও সি আর আই এর বাংলা বিভাগের এক জন শ্রোতা ।
|