v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2004-10-27 23:45:37    
রসুন বিক্রেতা সাংতুংয়ের পুরুষ

cri
    রসুন একটি ধন । শুধু ভালো মশলাই নয় , ক্যান্সার নিবারণ ও অসুখ চিকিত্সাও করতে পারে । কয়েক দিন আগে কাও হো পিং নামে সাংতুং প্রদেশের একজন পুরুষের সংগে সংবাদদাতার সাক্ষাত হয় । তিনি সংবাদদাতাকে বলেছেন , তার জন্মভূমি সাংতুং প্রদেশ হচ্ছে প্রচুর রসুন উত্পাদনকারী একটি জায়গা । তিনি জাপান , মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের অনেক দেশে রসুন বেচেছেন ।

    কাও হো পিংয়ের জন্মভূমি চিন সিয়াংয়ের ক্ষেতে ক্ষেতে যেমন , বাড়ী বাড়ীর সামনে পিছনেও তেমনি সর্বত্রই সবুজ রসুন জন্মানো রয়েছে । কাও হো পিং বলেছেন , দক্ষিণপশ্চিম সাংতুং প্রদেশের সমতল ভূমিতে অবস্থিত চিন সিয়াংয়ের জমি লোনা ও ক্ষারীয় । কিন্তু উত্পাদিত রসুন ঝালের মধ্যে মিষ্টি , খুবই সুস্বাদু । কাও হো পিং হচ্ছেন চিন সিয়াং জেলার চিন সুন ফলমূল ও শাকসব্জী কোম্পানির সাধারণ ম্যানেজার । প্রতি গ্রীষ্মকালে রসুন তোলার সময়ে কাও হো পিংয়ের কোম্পানি কৃষকদের রসুন সংগ্রহ করে দেশবিদেশের বাজারে বিক্রি করেন ।

    চিন সিয়াং অন্চলে তার এই কোম্পানির মতো বিশ বাইশটি কোম্পানি রয়েছে । চিন সিয়াংয়ের রসুন এই সব কোম্পানির মাধ্যমেই সাগর পেরিয়ে বিভিন্ন দেশের পণ্যভোগীদের কাছে পৌঁছোয় । কাও হো পিংয়ের সবচেয়ে বেশী আনন্দের বিষয় হচ্ছে এই যে , চিন সিয়াংয়ের রসুন অনেক বছর ধরে বিদেশে খুবই সমাদৃত হচ্ছে । আজকাল বিদেশে আমদানিকৃত কৃষিজাত পণ্যদ্রব্যের উপর কড়াকড়ি খুবই বেশী । তবুও বিদেশী ব্যবসায়ীদের চিন সিয়াংয়ের রসুন কেনার উত্সাহ বেড়েই চলেছে । কাও হো পিং বলেছেন ,

" চিন সিয়াংয়ের রসুন বরাবরই ঘাঁটিতে ব্যবস্থাপনা করা হয় এবং বরাবরই জৈব সার ব্যবহার করা হয় । এতে কোনো দূষিত কীটনাশক ওষুধের পদার্থ মেশানো নেই । তাই এগুলো অন্যান্য দেশের ভোজনের মানদন্ডের সংগে অপেক্ষাকৃতভাবে সংগতিপূর্ণ ।"

    গত বছর চিন সিয়াংয়ের প্রায় তিন লক্ষ টন রসুন জাপান , মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় সাধারণ গোষ্ঠী , মধ্যপ্রাচ্য ও স্বাধীন কমনওয়েলথের দেশগুলোতে রফতানি হয়েছে । এর মধ্যে পনেরো হাজার টন রসুন কাও হো পিংয়ের কোম্পানি রফতানি করেছে । কাও হো পিংয়ের কোম্পানি ও রসুন ক্রয়বিক্রয়ের কাজে নিয়োজিত বেশীরভাগ স্থানীয় কোম্পানিই চিন সিয়াং জেলার সরবরাহ ও ক্রয়বিক্রয় সমবায়ের অধীনের শিল্পপ্রতিষ্ঠান । কাও হো পিং বলেছেন , মাত্র দশ বারো বছর আগে ঘাঁটি ব্যবস্থাপনা শুরু হয় । অতীতে চিন সিয়াংয়ে কৃষক পরিবার নিজেরা রসুনের চাষ করে নিজেরাই বেচতো । উত্পাদিত রসুনের গুণগত মান বিভিন্ন রকম ছিল এবং বিক্রয়মূল্যও বেশী ছিলও না । এই কয়েক বছরে জেলার সরবরাহ ও ক্রয়বিক্রয় সমবায়ের নির্দেশে কোম্পানিগুলো কৃষক পরিবারগুলোকে সংগঠিত করেছে এবং ব্যাপকভাবে ক্রয়বিক্রয়ের ব্যবস্থা নিয়েছে । রসুনের সামগ্রিক গুণগত মান উন্নত হয়েছে এবং কৃষক পরিবারগুলোর আয়ও বেড়েছে ।

    কাও হো পিং বলেছেন , চিন সিয়াংয়ে অধিবাসীদের আয়বৃদ্ধি প্রধানত: রসুন বিক্রয়জনিত আয়ের উপর নির্ভর করে । বাজার অনুকূল হলে একজন লোকের বার্ষিক আয় বিশ হাজার ইউয়ান রেনমিনপিতে পৌঁছুতে পারে ।

    বর্তমানে কৃষক পরিবারগুলো এবং সরবরাহ ও ক্রয়বিক্রয় সমবায়ের কোম্পানিগুলোর মধ্যে প্রতি বছরের গোড়ার দিকে রসুনের সরবরাহ ও ক্রয়বিক্রয় সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় । জুন মাসে রসুন তোলার সময়ে সরবরাহ ও ক্রয়বিক্রয় সমবায়ের বড় ট্রাক কৃষক পরিবারের দ্বারে দ্বারে আসে । তাদের রসুন একসংগে কিনে নিয়ে চীনের অন্যান্য জায়গায় বিক্রি করা হয় বা বিদেশে রফতানি করা হয় । কৃষক পরিবারগুলো মনোযোগের সংগে ভালভাবে রসুন চাষ করলেই বাস্ । অন্যান্য ব্যাপারের জন্য তাদের কোনো দুশ্চিন্তা করতে হয় না । বিক্রি হয়ও ন্যায্য দামে । তাই সব কৃষক পরিবারই সরবরাহ ও ক্রয়বিক্রয় সমবায়ের সংগে চুক্তি স্বাক্ষর করতে ইচ্ছুক । চিন সিয়াং জেলার সরবরাহ ও ক্রয়বিক্রয় সমবায়ের চৌ হং চুন সংবাদদাতাকে বলেছেন , ঠিক তার নামের মতোই সরবরাহ ও ক্রয়বিক্রয় সমবায়ের করণীয় কাজ হচ্ছে বীজ বপনের সময়ে কৃষক পরিবারগুলোকে বীজ সরবরাহ করা এবং তোলার সময়ে কৃষি ও পার্শ্বজাত দ্রব্য ক্রয়বিক্রয়ের দায়িত্ব নেয়া । সরবরাহ ও ক্রয়বিক্রয় সমবায়ের ক্রয়বিক্রয় সম্পন্ন হওয়ার পর বিভিন্ন কোম্পানি শুধু কাজ চালাবার মতো কিছু অর্থ নিজের কাছে রাখে । বাদবাকি অর্থ আবার কৃষক পরিবারগুলোকে দেয়া হয় ।