v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2004-10-19 15:03:43    
সি আর আই বাংলা বিভাগ : শেকড় সন্ধানে

cri
মোঃ আশরাফুল ইসলাম

সম্পাদক , অন্বেষা বেতার শ্রোতা সংঘ

জয়সিদ্ধি গ্রাম কিশোরগঞ্জ , বাংলাদেশ

    সভ্যতার ইতাহাসে প্রাচীন চৈনিক সভ্যতা খুবই কৌতুহলোদ্দীপক । প্রাচীন কাল থেকেই চীন অনেক সম্প্রদায় , বিশ্বাস এবং সংস্কৃতির মিলনস্থল । জাদুকরী সৌন্দর্য , বিস্ময়কর ঐতিহ্য এবং ঐতিহাসিক আকর্ষনের এক অনন্য নাম চীন । আর এ চীনের ইতিহাস , ঐতিহ্য , সংস্কৃতি , শিল্প সাহিত্য , সামাজিক ও রাজনৈতিক অগ্রগতি, মানব সম্পদ উন্নয়নের মতো গুরুত্বপুর্ণ অনুসঙ্গগুলো বাংলা ভাষা-ভাষী শ্রোতাদের মাঝে ছড়িয়ে দেবার মহত্ প্রয়াসকে সামনে রেখে যাত্রা শুরু করে সি আর আই বাংলা বিভাগ । চীনের বন্ধু প্রতিম জনগণের জীবনধারার সঙ্গে বাংলা ভাষাভাষীদের সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতি সৃষ্টিতে অন্যতম অনুসটক হিসাবে সি আর আই অপরিসীম ভূমিকা রেখে চলেছে । বন্ধুত , হাজার বছরের ঐতিহ্যমন্ডিত চীনের বিপুল জনগোষ্ঠী , ইতিহাস , ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির উত্তরণে সি আর আই বাংলা বিভাগ তার সীমিত সামর্থ্যের মধ্য দিয়ে হলেও যে ব্যাপক অবদান রেখে চলেছে , তা সত্যিই প্রশংসা ও অভিনন্দনের যোগ্য ।

    সি আর আই বাংলা বিভাগের চিত্তাকর্ষক অনুষ্ঠানমালার মধ্যে 'চীনকে জানুন ' অনুষ্ঠানটি নিঃসন্দেহে সর্বাধিক তথ্যবহুল ও জনপ্রিয় । 'চীনকে জানুন' অনুষ্ঠানটি শুনে ভাল লাগার আবেশে অভিভুত হয়ে যেতে হয় । বহু জাতি অধ্যষিত অনন্য চীনের সমৃদ্ধ ইতিহাস , প্রগতি, ঐতিহ্য , ক্রীড়া-সংস্কৃতি , সমস্যা সম্ভাবনা বিষয়ক বহু অজানা তথ্য ও তত্ত্ব পরিবেশনের মধ্য দিয়ে 'চীনকে জানুন' অনুষ্ঠানটি শ্রোতাদের চিন্তা ও মনকে বিকশিত করে চলেছে । নিঃসন্দেহে 'চীনকে জানুন' অনুষ্ঠানটি চীনের ইতিহাস ঐতিহ্যের স্বরূপ উন্মোচনে কালজয়ী ভূমিকা পালন করে আসছে । চীনকে জানুন অনুষ্ঠানটির সাজানো গোছানো , সুনিপুন , চমত্কার উপস্থাপনার ধারাবাহিকতা চীন সম্পর্কে শ্রোতাদের ভাবনা ও বিশ্লেষণের কাষ্ক্ষিত ইচ্ছা পুরণ করতে অনেকাংশে সক্ষম হচ্ছে । সি আর আই বাংলা বিভাগ এর অন্যান্য অনুষ্ঠান বাদ দিলেও , কেবল এই একটি অনুষ্ঠাই শ্রোতাদের বিশেষ করে আমাদের চীন সম্পর্কে বিশদভাবে জানতে ও জ্ঞান লাভে অকৃত্রিম বন্ধুর মতো সাহায্য করে আসছে।

    ক: বলতে বাধা নেই , সি আর আইকে নিয়ে আমাদের প্রত্যাশাটা প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে সীমাহীন পূর্ণতাতেও কোনো না কোনো অপূর্ণতার রেশ থাকে । আর সি আর আই আমাদের সে অপূর্ণতা পূরণে বন্ধুর মতো এগিয়ে আসবে জেনেই সি আর আই এর অনুষ্ঠান পরিকল্পনা বিষয়ে কিছু প্রস্তাব করছি।

    ১, সি আর আই শ্রোতাদের সৃজনশীল সত্ত্বাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে জ্ঞানযাচাই প্রতিযোগিতা , রচনা প্রতিযোগিতার মতো আকর্ষনীয় প্রতিযোগিতার আয়োজন করে থাকে । এ প্রতিযোগিতাসমূহের পাশাপাশি শ্রোতাদের পাঠানো বিষয়ভিত্তিক কিংবা সমসাময়িক সামাজিক সমস্যা-সম্ভাবনা বিষয়ক লেখা প্রচারের মাধ্যমে শ্রোতাদের সৃজনশীলতাকে অধিক বিকশিত করার মতো মহত্ প্রয়াস চালালে আরো বেশি করে শ্রোতা বন্ধুরা সি আর আই এর সঙ্গে তাদের ভাবের লেনদেন করতে সমর্থ হবে বলে , আমরা বিশ্বাস করি ।

    ২, সি আর আই এর মনোমুগ্ধকর পরিবেশনাগুলো শ্রোতাদের মনে চৈতন্যের দোলা দেয় । মানবিক জীবন গঠনে সি আর আই এক অনস্বীকার্য ভূমিকা পালন করে চলেছে । যে কোন জাতির সামাজিক ও ধর্মীয় জীবন নিঃসন্দেহে সে জাতির পরিচয়কে অনেকাংশে ফুটিয়ে তোলে । চীনের সামাজিক ও ধর্মীয় জীবনে প্রচলিত প্রথা সংক্রান্ত একটি অনুষ্ঠান সাপ্তাহিক হিসাবে সম্ভব না হলেও পাক্ষিকভাবে করার প্রস্তাব রাখছি । যার মাধ্যমে আমরা ভ্রাতৃপ্রতীম চীনের জনগণের আরো বেশি নিকটে পৌঁছতে পারব বলে মনে করি ।

    আসলে , সি আর আই এমন একটি আনন্দসম্ভার , যার কোনো একটি পরিবেশনা শুনলে পুরো অধিবেশনটি শুনতে ইচ্ছে করে । পুরো অধিবেশনটি শুনলে নিয়মিত শুনতে ইচ্ছে করে । নিয়মিত শুনলে সি আর আই এ চিঠি লিখতে ইচ্ছে করে। তাই সি আর আই নিয়মিত শুনতে এবং পত্রযোগাযোগ রক্ষা করতে , আমরা গঠন করেছি 'অন্বেষা বেতার শ্রোতা সংঘ' । সি আর আই এর অনুষ্ঠান নিয়মিত শোনা , সি আর আই এর প্রচার ও প্রসারে ভূমিকা রাখার পাশাপাশি সি আর আই এর আদর্শিক কাঠামো অনুসারে নানা সামাজিক , সাংস্কৃতিক কর্মকান্তে সমৃক্ত হচ্ছি । এ যেন অনেক সাধনায় অর্জিত এক অদৃশ্যভুবন ; যাকে ইচ্ছে করলেই ছোঁয়া যায় না , কিন্তু এর আবেশ হৃদয়কে আচ্ছন্ন করে রাখে । সি আর আই এর মতো একটি অন্যর কম আশ্রয়ের সন্ধান পেয়েছি বলেই তো আমার হৃদয়টা সি আর আই এর অনুপম চেতনায় আজ আশ্চর্য জীবন্ত ।

    সি আর আই বাংলা বিভাগ প্রতিদিনকার প্রসন্ন প্রভাত , নির্জন দুপুর কিংবা বিষন্ন সন্ধ্যার হাজারো কর্মব্যস্ততার মাঝে যেন এক অনন্ত স্বর্গীয় অমীর ধারা ।