v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2004-09-17 10:40:57    
চীনা নৃদ্য শিল্পী লিউ চেন

cri
    লিউ চেনের বয়স উনত্রিশ বছর , লিউ চেন খুব দীর্ঘংগী নয় , দেখতে রোগা, নৃত্য শিল্পী হিসেবে তাকে সুন্দুরও বলা যায় না । কাজেই কেউ কল্পনাও করতে পারেন নি যে লিউ চেন একদিন চীনের একজন বিশিষ্ট ন্রত্যশিল্পী হতে পারবেন ।

    দক্ষিণ চীনের চিয়াং সি প্রদেশের এক পেচিং অপেরা শিল্পী পরিবারে লিউ চেনের জন্ম । তার বাবা পেচিং অপেরায় র্মাশালের ভুমিকায় অভিনয় করেন , তার মা নাচ ও জিমন্যাস্টিক্সে পারদর্শী । এ রকম পরিবারে লিউ চেন ছোট বেলা থেকেই বাবা মার কাছ থেকে কুংফু ও নাচের প্রশিক্ষণ পান । ছোট বেলায় তিনি জিমন্যাস্টিক্স, ডাইভিং ও অসি ক্রীড়া শেখার চেষ্টা করেন । তার বয়স যখন দশ , লিউ চেন নাচ শেখার জন্র পরীক্ষার মাধ্যমে চয়াংসি প্রাদেশিক শিল্পকলা বিদ্যালয়ে ভর্তি হন । এই বিদ্যালয়ে নাচ শেখার সময় প্রথম দিকে লিউ চেন আত্নবিশ্বাসী ছিলেন না । তার ধারনা , তার মতো খাটো ও সাধারণ চেহারার লোক নাচ শেখার উপযোগী নয়।

    তবু লিউ চেন নিরলসভাবে নৃত্যশিল্পের সৌন্দর্য্য অনুভব করার চেষ্টা করেন । দীর্ঘদিনের প্রচেষ্টার পর লিউ চেন নৃত্যশিল্পের প্রতি তার বিশেষ টান উপলব্ধি করতে শুরু করেন । ১৯৯১ সালে লিউ চেন পেচিংয়ে এসে থাও লি কাপ নাচ প্রতিযোগিতার কিশোর গ্রুপে অংশ নিয়ে তৃতীয় শ্রেণীর পুরস্কার পেয়েছেন । এই প্রতিযোগিতায় একজন বিশিষ্ট নৃত্য শিল্পীর একটি কথা শুনে দারুনভাবে অনুপ্রাণিত হয়ে লিউ চেন আত্নবিশ্বাস খুঁজে পেয়েছেন । তিনি বলেছেন : আমার ক্লাসে আমি সবচেয়ে খাটো , সুদর্শনও নই । কিন্তু প্রতিযোগিতার সময় পেচিংয়ের একজন বিশেষজ্ঞ আমাকে উত্সাহ দিয়ে বলেছেন , খোকা , তুমি চেষ্টা করলে অবশ্যই বড় নৃত্যশিল্পী হবে । যদিও এই প্রতিযোগিতায় আমি শুধু তৃতীয় শ্রেণীর পুরস্কার পেয়েছি, তবু এই পুরস্কার আমার পক্ষে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ । কেননা তখন থেকে আমি বিশ্বাস করি চেষ্টা করলে আমি ভালো করতে পারবো ।

    লিউ চেন প্রতিদিনের অনুশীলনকে নিজের শরীরের সংগে সংলাপ কলে মনে করেন , তিনি এতে ভীষণ আনন্দ পান । তিনি দৈহিক ভাষার মাধ্যমে চরিত্রের জাটিল মানসিক অনুভুতি প্রকাশের চেষ্টা করেন । লিউ চেন বলেন , তোমার মন যত সুক্ষ্যভাবে চরিত্রের অনুভুতি ধরতে পারে , নাচের সময় তুমি ততো হালকাভাকে নাচতে পারো । ১৯৯৭ সালে লিউ চেন বেলা রুশে গিয়ে দশম আন্তর্জাতিক আধুনিক নাচ প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে স্বর্ণ পুরস্কার পেয়েছে । এই প্রতিযোগিতার স্বর্ণ পুরস্কার একাটানা ছয় বছর খালি ছিল , দীর্ঘ ছয় বছর পর লিউ চেন প্রথম চীনা নৃত্য শিল্পী হিসেবে এই পুরস্কার পেয়েছেন ।

    দু হাজার সালে পশ্চিম চীনের বিশ্ববিখ্যাত মোকাও গুহার ভিত্তিতে রচিত তুং হুয়াংয়ের স্বপ্ন নামে এক বিরাট লোকনৃত্যনাট্য মম্চস্থ করা হয় । কয়েক লক্ষ দর্শক পেইচিং , লানচৌ, সাংহাই , সেনচেন আর কুয়াং চৌতে পরিবেশিত ৬০-৭০টি অনুষ্ঠান উপভোগ করেছেন । লিউ চেন এই ন্বত্যনাট্যে প্রধান চরিত্রের ভুমিকায় অভিনয় করেছেন । একজন দর্শক বলেছেন , লিউ চেনের একক নৃত্য উপভোগ করার জন্য তিনি পাঁচবার এই নৃত্যনাট্য দেখেছেন । এই নৃত্যনাট্যে প্রাচীনকালে যুব চিত্রশিল্পী মোকাও ও স্থানিয় একজন জেনারেলের মেয়ে ইউয়ে ইয়ার প্রেমের কাহিনী বর্ণনা করা হয়েছে । লিউ চেন এই নৃত্যনাট্যে নাচের মাধ্যমে চিত্রশিল্পী মোকাওয়ের মনের ভালোবাসা ও ঘৃনা পরিপূর্ণভাবে প্রকাশ করেছেন । এ পর্যন্ত চীনের নাচ ক্ষেত্রের সব পুরষ্কার লিউ চেন পেয়েছেন । কিন্তু তিনি অহংকারী হন নি , তিনি বলেছেন , আমি জানি না আমার চুড়ান্ত লক্ষ্য কি, আমি শুধু জানি আমার একটার পর একটা স্বপ্ন , একটার পর একটা আশা আর নিজের প্রতি একটার পর একটা দাবী আছে , এই সব স্বপ্ন পূরণের জন্য আমি চেষ্টার কোনো ত্রুটি করবো না ।