বীমা ও তার তত্ত্বাবধা


       চীনের বীমা শিল্পের ২০ বছর বন্ধ থাকার পর ১৯৮০ সালে আবার পুনরুদ্ধার শুরু হয়েছে । ১৯৮১ সালে চীনের গণ বীমা কোম্পানি সরকারের একটি বিভাগ থেকে একটি পেশাদার কোম্পানিতে রূপান্তরিত হয়েছে এবং এর সদরদফতর থেকে, প্রাদেশিক ,স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের ও কেন্দ্রশাসিত মহানগর পর্যায়ের শাখা কোম্পানিগুলো এবং জেলা শাখা কোম্পানিগুলো ইত্যাদি সংস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে । ১৯৮৮ সালে প্রধানত চীনের উপকূলীয় অঞ্চলগুলোতে বীমা ব্যবসা চালানোর জন্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ফিংআন বীমা কোম্পানি এবং প্রশান্তমহাসাগরীয় বীমা কোম্পানি । ১৯৯৬ সালে চীনের গণবীমা কোম্পানি ব্যবস্থাপনা-প্রথা আর ব্যবসা চালানোর পদ্ধতি সংস্কার করা , আধুনিক শিল্পপ্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থা গঠন এবং আন্তর্জাতিক বাজারের সংগে খাপ খাওয়ানোর ক্ষেত্রে এক বিরাট ধাপ এগিয়ে গেছে । ১৯৮৫ সালে “বীমা আইন “ প্রকাশিত হয়েছে এবং ১৯৮৮ সালে চীনের বীমা তত্ত্ব্বাবধান কমিটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে , তাতে বীমা বাজার পরিচালনার জন্য আইনগা ভিত্তি ও পরিচালনার নিয়মাবলী যুগিয়ে দেয়া হয়েছে ।

  বর্তমানে চীনে মোট ৭ লক্ষটিরও বেশী বীমা প্রতিষ্ঠান চালু রয়েছে ( অর্থাত্ বীমা কোম্পানি, বীমার মধ্যস্থতাকারী সংস্থা এবং বীমার এজেন্সি প্রভৃতি প্রতিষ্ঠান). নানা রকমের বীমা আছে , যেমন: আয়ুর বীমা, স্বাস্থ্যের বীমা, অপ্রত্যাশিত জানমালের ক্ষয়ক্ষতির বীমা, সম্পদের বীমা ইত্যাদি । ৩০টিরও বেশী বৈদেশিক পুঁজিবিনিয়োজিত বীমা প্রতিষ্ঠান চীনে ব্যবসা চালানোর অনুমোদন পেয়েছে, অন্য ১০০টিরও বেশী বৈদেশিক পুঁজিবিনিয়োজিত বীমা কোম্পানি চীনের তাদের ২০০টিরও বেশী প্রতিনিধি-অফিস স্থাপন করেছে এবং চীনের বীমা বাজারে প্রবেশ করার অপেক্ষায় রয়েছে । ২০০৩ সালে চীনের দেশী ও বৈদেশিক বীমা কোম্পানিগুলোর বীমা বাবত মোট আয় ৩৮৮ বিলিয়ন ইউয়ান, এটা এর আগের বছরের তুলনায় ২৭.১ শতাংশ বেড়েছে ।