0907huanqiu
|
এখন বলি ভারতের কথা। প্রতি বছরের ২৬ জানুয়ারি ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষ্যে কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। তখন বিভিন্ন ধরনের নতুন অস্ত্রও প্রদর্শন করা হয়। তবে ভারতীয় জনগণ যদি এসব আধুনিক ও নতুন অস্ত্র দেখতে চায়, তাহলে টিকিট কিনতে হয়। আসনের পর্যায় হিসেবে টিকিটের নামও ভিন্ন।
এবার ফ্রান্সের কুচকাওয়াজ নিয়ে কিছু বলি। সাধারণত কুচকাওয়াজ হলো নিজ নিজ দেশের সৈন্যের কাজ। অন্য দেশের সৈন্য খুব কম এতে অংশ নেন। তবে ফ্রান্সের কুচকাওয়াজে বিদেশের সৈন্য থাকতে পারে।
প্রতি বছরের কুচকাওয়াজে ফ্রান্স বিদেশের বাহিনীকে আমন্ত্রণ জানায়। যেমন ভারতের সেনাবাহিনী ফ্রান্সের কুচকাওয়াজেও অংশ নিয়েছিল। এছাড়া জাতিসংঘের নিরাপত্তারক্ষী বাহিনীও এতে অংশ নিয়েছিল।
এখন ব্রিটেনের কথা বলি। ১৮৯৭ সালে তখন সমুদ্রে ব্রিটেনের শক্তি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী। সে বছরটি রানী ভিক্টোরিয়ার অভিষেকের ৬০ বছর পূর্তি। এ জন্য ব্রিটেন বড় আকারের একটি সামুদ্রিক কুচকাওয়াজ আয়োজন করে। দেশের বিভিন্ন ধরনের জাহাজ ও অস্ত্র প্রদর্শন করা হয়।
এখানে খুব মজার একটি গল্প আছে। কুচকাওয়াজের সময় খুব ছোট একটি জাহাজে সবচেয়ে নতুন মডেলের ইঞ্জিন লাগানো হয়। ছোট জাহাজটি এর জন্য অনেক দ্রুত গতিতে সমুদ্রে চলাচল করতে পারে। জাহাজটি অনেক বড় বড় জাহাজের মধ্যে চলতে থাকে, অনেক বড় জাহাজ তাকে অতিক্রম করতে চেয়েছিল, তবে ব্যর্থ হয়েছে।
এখন আমরা বলি স্পেনের কুচকাওয়াজের কথা। প্রতি বছরের ১২ অক্টোবর স্পেনের জাতীয় দিবস। এ দিবস উপলক্ষ্যে কুচকাওয়াজ আয়োজন করা হয়ে থাকে দেশটিতে। অন্যান্য দেশের কুচকাওয়াজের তুলনায় স্পেনের কুচকাওয়াজে বিশেষ একটি স্কয়ার মেট্রিক্স আছে, তা হলো জাতীয় পতাকার স্কয়ার। এ স্কয়ারে বিভিন্ন দেশের জাতীয় পতাকা আছে। তা আসলে খুব মজার একটি বিষয়।
এ স্কয়ারের পতাকা দেখে বোঝা যায়, স্পেনের সাথে কোন কোন দেশের সুসম্পর্ক রয়েছে। এখানে কোনো দেশের পতাকা থাকা মানেই স্পেনের সে দেশটির সঙ্গে সুসম্পর্ক আছে, আর যদি কোনো দেশের জাতীয় পতাকা নেই, তাহলে বুঝতে হবে এ দেশের সঙ্গে স্পেনের সম্পর্ক ততটা ভালো নয়।
'দৃষ্টির সীমানায়' পরিবেশনায় শুয়েইফেইফেই ও এনামুল হক টুটুল।