0807yin
|
ফিলিপিন্সের রাজধানী ম্যানিলার একটি সরকারি অফিস ভবনে মানুষের হাসি অব্যাহতভাবে চলছে। কেউ এখানে মজার কোনো কথা বলছেন ? না, তারা এখানে শরীর চর্চা করছেন। হাসি ইয়োগা চর্চা করছেন।
হাসি ইয়োগা প্রশিক্ষকের নির্দেশে, অংশগ্রহণকারীরা খুব মজা করে হাসছেন। সাধারণত হাসি ও সুখ সংক্রামক হয়ে থাকে। চোখের সামনে এ ধরনের আনন্দঘন পরিবেশ দেখলে তা আপনার ওপর গভীরভাবে প্রভাব ফেলবে।
হাসি ইয়োগার এক চর্চাকারী বলেছেন, যদিও শুরুর দিকে নকল করে হাসি ইয়োগা চর্চা শরু হয়েছিল, কিন্তু আশেপাশের মানুষের মুখের ভাব ও মনোভাব তার ওপর প্রভাব ফেলার কারণে সবাই খুব দ্রুত আসল হাসি হাসতে শুরু করেন। একজন পরিকল্পক বলেন, শুরুর দিকে আমার লজ্জা লাগত। ইয়োগা প্রশিক্ষক কী আমাদের নিয়ে মজা করছেন? কিন্তু আসলে পরিস্থিতি এমন নয়। কারণ হাসিটা আমাদের জন্য ঠিক এক ধরনের শরীরচর্চা।
হাসি ইয়োগা প্রশিক্ষকের ব্যাখ্যা অনুযায়ী, অক্ষম বা ক্যান্সারসহ বিভিন্ন রোগীর জন্য হাসি ইয়োগা হলো একটি ভালো প্রতিকার পদ্ধতি। কারণ হাসির মাধ্যমে সামনে এবং পেছনের দিকে শরীরের স্ট্রেচিং হয়। এ ছাড়া হাসি ইয়োগার বৈশিষ্ট্যময় শ্বাস পদ্ধতি শরীরের জন্য খুবই উপকারী।
হাসি ইয়োগা মানুষের মনোভাব উন্নত করা, শক্তি বাড়ানো, স্মরণশক্তি সবল করা, চাপ কমানো এবং মানব দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াবে। হাসি ইয়োগা চর্চাকারী একজন ক্যান্সার রোগী বলেন, আমি সত্যিকারের আনন্দ অনুভব করেছি। হাসি একটু অতিরঞ্জিত মনে হয়। কিন্তু তা আমার বিরক্তিকে ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছে। যখন কারো রোগ হয়, তখন কিছুই করার থাকে না। শুধু নিজেকে আনন্দ দেওয়ার পাশাপাশি ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করলে তা আশপাশের লোকদের জন্য সহায়ক হয়।
উল্লেখ্য, হাসি ইয়োগা গত শতাব্দীর ৯০ দশক থেকে ভারতের মুম্বাইয়ে শুরু হয়। বর্তমানে ফিলিপিন্সে এটা খুবই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। আয়োজকরা বিশ্বাস করেন, হাসির চর্চা প্রফুল্লতা বাড়ানো এবং শরীরকে শক্তিশালী করবে।
প্রেমা/তৌহিদ