0629huanqiu
|
শুরুতেই আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করতে চাই বিশ্বের সর্বোচ্চ লম্বা বা উঁচু গাছের কথা।আমাদের চারপাশে আমরা প্রায়ই অনেক লম্বা লম্বা গাছ দেখে থাকি। কিন্তু ভাবতে পারেন, একটা গাছ কতটা লম্বা হতে পারে? একশ' ফুট অথবা দুইশ' ফুট? কিন্তু না, রয়েছে এর চেয়েও লম্বা গাছ।
উত্তর ক্যালিফোর্নিয়ার রেডউড ন্যাশনাল অ্যান্ড স্টেট পার্কস এলাকায় একটি গাছ রয়েছে। নাম দেওয়া হয়েছে 'হাইপারিয়ন'। উচ্চতা ৩৭৯ ফুট! আর এই গাছটিই বিশ্বের সর্বোচ্চ লম্বা গাছ। এখন নিশ্চয় বলে ফেলবো এটি তাহলে দৈত্য গাছ, তাইনা?
২০০৬ সালের ২৫ আগস্ট প্রকৃতিবিদ ক্রিস অ্যাটকিনস ও মাইকেল টেইলর এই বিশাল লম্বা গাছটি খুঁজে পান। স্টিফেন নামের এক ব্যক্তি এর উচ্চতা মাপেন ১১৫.৫৫ মিটার বা ৩৭৯.৩ ফুট। মূলত এটি একটি কোস্ট রেডউড গাছ।
প্রকৃতিবিদদের ধারণা, গাছটিতে প্রায় ৩৬০ কিউবিক মিটার (১৮ হাজার ৬শ কিউবিক ফুট) পরিমাণ কাঠ রয়েছে।
গবেষকরা বলেন, কাঠঠোকরা গাছটির উপরের অংশকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। এজন্য হয়তো এর উচ্চতা বাধাগ্রস্ত হয়েছে কিছুটা। নইলে আরও লম্বা হতে পারতো।
বিশ্বের সর্বোচ্চ দীর্ঘ এবং উঁচু কাচের সেতু এখন চীনে। তাহলে এখন আমি এ বিষয়টি নিয়ে শ্রোতাদের সঙ্গে কিছু আলাপ করবো, কেমন?
তবে তার আগে বলতে চাই, পৃথিবীতে যে কাচের তৈরি সেতু আছে সেটাইবা ক'জন মানুষ জানে। কথা হলো, কাচের সেতুর কথা না হয় জানা গেলো কিন্তু কাচের কোন সেতুটি সর্বোচ্চ দীর্ঘ এবং উঁচু তা নিশ্চিতভাবেই অনেকেরই অজানা।
চীনের হুনান প্রদেশের জাতীয় উদ্যানে সম্প্রতি তৈরি করা হয়েছে বিশ্বের সর্বোচ্চ দীর্ঘ এবং উঁচু কাচের সেতু। প্রায় ৪৩০ মিটার লম্বা এবং ৬ মিটার চওড়া এই পায়ে হাঁটা সেতুটি মাত্র ক'দিন আগেই জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দিয়েছে চীন সরকার। তুলনামূলক দিক দিয়ে গ্র্যান্ড ক্যানিয়নের স্কাইওয়াক এবং কানাডার গ্লেসিয়ার স্কাইওয়াকের চেয়েও দীর্ঘ এই সেতুটি। কানাডার সেতুটি উন্মুক্ত করা হয়েছিলো গত বছর। পর্বতগাত্র থেকে প্রায় ৩৫ মিটার উঁচুতে কানাডার এ সেতুটির অবস্থান।
চীনের এই সেতুটির নকশা করেছেন ইসরায়েলি স্থাপত্যবিদ হাইম দোতান। অবশ্য তার জন্য এটাই প্রথম চ্যালেঞ্জিং কাজ নয়। এর আগে চীনের শাংহাইয়ে এক্সপো ২০১২ প্যাভিলিয়নের নকশাটিও তিনি করেছিলেন। তার মতে, নতুন এই কাচের সেতুটিতে একসঙ্গে আটশ' মানুষ চলাচল করতে পারবে এবং ফ্যাশনশো'র জন্য এই কাচের রাস্তাটিকে ব্যবহার করা যেতে পারে। শুধু তাই নয়, এই সেতু থেকে বাঙ্গি ঝাপ দেয়া যাবে। এর আগে বাঙ্গি ঝাপ দেয়ার জন্য বিখ্যাত ছিল ম্যাকাও টাওয়ার।
গাড়ি কিন্তু প্রত্যেক ফ্যাশনেবল নারী-পুরুষের মনে খুবই আকর্ষণীয় জিনিস। বিশ্বের সবচেয়ে দামি গাড়ি ল্যাম্বরগিনি ব্রান্ডের। ভেনেনো রোডস্টার নামের এ গাড়ি ঘণ্টায় ২২১ মাইল গতিতে ছুটতে পারে আর এর দাম ৫৩ লাখ মার্কিন ডলার। মাত্র তিন সেকেন্ডে ১০০ কিলোমিটার গতি তুলতে পারে ভেনেনো রোডস্টার গাড়িটি।
ইতালির গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ল্যাম্বরগিনির দাবি, তাদের রেসিং কারের একটি মডেলকে রাজপথে চলার উপযোগী গাড়ি হিসেবে তৈরি করা হয়েছে। গাড়িটি সীমিত সংখ্যক ক্রেতার জন্য তৈরি করা হয়েছে বলে ল্যাম্বরগিনি জানিয়েছে। এ গাড়িটির কাঠামো তৈরি হয়েছে কার্বন-ফাইবার দিয়ে।
ল্যাম্বরগিনির দাবি, ভেনেনোতে রয়েছে একাধিক ভেন্ট এবং কুলিং ডাক্ট, যা গাড়িটির অ্যারোডাইনামিক পারফরমেন্স নিশ্চিত করে আর ৭৫০ হর্সপাওয়ারের ভি-১২ ইঞ্জিনকে ঠাণ্ডা রাখে। রাজপথে চলার অনুমতিও পেয়ে গেছে এই গাড়িটি। বিখ্যাত বুল ফাইটিং ষাঁড়ের নাম 'ভেনেনো' থেকে এ গাড়িটির নামকরণ করা হয়েছে।
ভেনেনোর আগে বাজারে আসা সর্বোচ্চ দামী গাড়ির তালিকায় ছিলো ৮০ লাখ ডলারের মেব্যাচ অ্যাক্সেলেরো, ১৭ লাখ ডলারের বুগাটি ভেরন, ১৬ লাখ ডলারের ল্যাম্বরগিনি রেভেনটন, নয় লাখ ৭০ হাজার ডলারের মার্সিডিজ ম্যাকলারেন, ছয় লাখ ৭০ হাজার ডলার দামের ফেরারি এনজো।
মানুষ প্রতিনিয়ত পরিশ্রমের সঙ্গে অনেক কাজ করছেন। এভাবে কাজ করে মানুষ উপার্জন করছেন টাকা-পয়সা যা জীবনের জন্য প্রয়োজনীয় একটি জিনিস। তবে এ ক্ষেত্রে ভিন্ন মানুষের ভিন্ন রকম দৃষ্টিভঙ্গি। অনেকেই শান্ত, সুখী, সুস্বাস্থ্য জীবন নিশ্চিত করার জন্য টাকা রোজগার করছেন। বিশ্বে এমন একটি দেশ রয়েছে যে দেশকে বলা হয় সর্বোচ্চ সুখী দেশ। আর এ দেশটির নাম সুইজারল্যান্ড।
বিশ্বের ১৫৮টি দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ সুখী দেশ হিসেবে উঠে এসেছে পশ্চিম ইউরোপের দেশ সুইজারল্যান্ডের নাম। সম্প্রতি সাস্টেইনেবল ডেভলপমেন্ট সল্যুশন নেটওয়ার্ক (এসডিএসএন) প্রকাশিত বার্ষিক গবেষণা প্রতিবেদনে সুখী দেশের তালিকায় শীর্ষস্থানে উঠে এসেছে সুইজারল্যান্ড। সংগঠনটি মানুষের জীবনমান, স্বাস্থ্য, গড় আয়ু, সামাজিক নিরাপত্তা, পছন্দ করার স্বাধীনতা ও মাথাপিছু আয় বিবেচনায় নিয়ে এই তালিকা তৈরি করে। সেই নিরিখে ২০১৪ সালে সবচেয়ে সুখী ছিলো সুইজারল্যান্ডের মানুষ।
ইউরোপের এই দেশটি চকোলেট, বিলাসবহুল ঘড়ি, বেসরকারি ব্যাংক এবং বরফাচ্ছাদিত পর্বতে স্কি'র জন্য বিখ্যাত।
সুখী দেশের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে আইসল্যান্ড।এরপর যথাক্রমে আছে ডেনমার্ক, নরওয়ে ও কানাডা। আর গত বছর সবচেয়ে অসুখী ছিল টোগো, বুরুন্ডি, সিরিয়া ও রুয়ান্ডা'র জনগণ।
আর এ খবর জানার পর আমরা আশা করি বিশ্বের সর্বোচ্চ সুখী দেশ তাদের সফলতার অভিজ্ঞতা সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দেবে, আরো আশা করি গরিব বা অসুখী দেশগুলো এসব অভিজ্ঞতা থেকে শেখার সুযোগ পাবে।