20150625ruby.m4a
|
মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা তৈরি করেছেন মাইক্রো মোট নামের স্বয়ংসম্পূর্ণ এই কম্পিউটার। প্রায় এক দশকেরও বেশি সময় ধরে মিশিগান কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগ এই কম্পিউটার তৈরিতে কাজ করছে। বর্তমানে সব পণ্যের মধ্যেই ইন্টারনেট সংযোগ সুবিধা বা ইন্টারনেট অব থিংস বিষয়টি যত বড় হচ্ছে মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার নির্মাণের সঙ্গে যুক্ত দলটি কম্পিউটারটির আকার তত ছোট করার কাজ করে যাচ্ছে। মাইক্রো মোট কম্পিউটারটি বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসা সংক্রান্ত কাজ ও শিল্প খাতে ব্যবহার করা যাবে।
মাইক্রো মোট কম্পিউটার দেখতে ক্ষুদ্র হলে কী হবে এটি ছবি তুলতে পারে, তাপমাত্রা ও চাপ মাপতে পারে। এই ক্ষুদ্র কম্পিউটারটি মানুষের শরীরে ইনজেকশনের মাধ্যমে ঢুকিয়ে ইসিজি করা বা রক্তচাপ মাপার মতো কাজ করা যেতে পারে। এ ছাড়াও তেল শিল্পেও মাইক্রো মোট ব্যবহার করা যাবে। তেলকূপের মধ্যে এই কম্পিউটারের সাহায্যে নতুন তেলের উৎস বের করা সম্ভব হবে। এ ছাড়াও চাবি, ওয়ালেটের মতো যেসব জিনিস মাঝে মাঝে খুঁজে পাওয়া যায় না সেগুলোতে মাইক্রো মোট যুক্ত থাকলে তা খুঁজে বের করা যাবে।
গবেষকেরা জানিয়েছেন, মাইক্রো মোটকে আরও কার্যকর করে তুলতে এর ব্যাটারির আকার আরও ছোট করতে তাঁরা কাজ করছেন। এই কম্পিউটারটিতে অবশ্য কোনো কিবোর্ড, মাউস বা ডিসপ্লে নেই। এই কম্পিউটারটির প্রোগ্রামিং ও চার্জ পদ্ধতি আলোক নির্ভর। হাই ফ্রিকোয়েন্সির ফ্ল্যাশ ব্যবহার করে কম্পিউটারে তথ্য প্রেরণ করা হয়। মাইক্রো মোট সেই তথ্য প্রসেসিং করে রেডিও ফ্রিকোয়েন্সির মাধ্যমে সেন্ট্রাল কম্পিউটারে পাঠায়।
চালের মতো বড় কম্পিউটার গবেষকদের চূড়ান্ত লক্ষ্য নয়। মাইক্রো মোট কম্পিউটার বাজারে আনার সঙ্গে সঙ্গে গবেষকেরা স্মার্ট ডাস্ট নামের কম্পিউটার প্রকল্প শুরু করছে। স্মার্ট ডাস্ট মাইক্রো মোটের তুলনায় আরও অনেক ছোট হবে বলে জানিয়েছেন গবেষকেরা।