Web bengali.cri.cn   
চীন-দক্ষিণ এশিয়া মেলা: আঞ্চলিক সহযোগিতার উর্বর ক্ষেত্র
  2015-06-15 17:56:20  cri

বাংলাদেশের ব্যবসায়ী মো: হোসাইন সাক্ষাত্কার দিচ্ছেন

বাংলাদেশের ব্যবসায়ী মো: হোসাইন প্রধানত চামড়া, পোশাক ও নানা ধরণের সাজদ্রব্যে ব্যবসা করেন। ২০১১ সাল থেকে তিনি প্রতি বছর খুনমিংয়ে এসে মেলায় অংশ নেন। তিনি মনে করেন, চীন এক বিশাল বাজার। দক্ষিণ এশিয়া মেলার মাধ্যমে আরও বেশি চীনা বাংলাদেশের পণ্য সম্পর্কে জানতে পারছেন বলেও তিনি জানালেন। তিনি বলেন,"বর্তমান খুনমিং ২০১১ সালের খুনমিংয়ের তুলনায় পুরোপুরি এক নতুন শহর বলা যায়। শহরের অবকাঠামো, পরিবেশ—সবই আগের চেয়ে উন্নত হয়েছে।"

দক্ষিণ এশিয়া মেলা চীনের শহর ও শিল্প-প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতার ভাল ক্ষেত্রও বটে। থাংছোং জেলার বিনিয়োগ আকর্ষণ বিষয়ক উপদেষ্টা ইয়াং না জানান, থাংছোং জেলার হোছিয়াও স্থলবন্দর চীন ও মিয়ানমারের সীমান্তে অবস্থিত। এটা হচ্ছে চীনের প্রথম শ্রেণির স্থলবন্দর। হোছিয়াও স্থলবন্দর থেকে মিয়ানমারের মাইতকাইনার দূরত্ব মাত্র ১২৫ কিলোমিটার। আর মাইতকাইনা থেকে ভারতের লেডোর দূরত্ব ৫০০ কিলোমিটার। এখন চীন থেকে মিয়ানমার যাওয়ার সড়কপথ চালু হয়েছে, ভারতে যাওয়ার পথ নির্মিত হচ্ছে। মাইতকাইনা থেকে লেডো যাওয়ার দেলোং সেতুর নির্মাণকাজও সম্পন্ন হয়েছে।

ইয়াং না বললেন, "চীন, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও দক্ষিণ এশিয়ায় বিস্তৃত বাজার আছে। থাংছোং হচ্ছে চীনের সাথে এ দেশগুলোর সহযোগিতার এক গুরুত্বপূর্ণ সংযোগস্থল। 'এক অঞ্চল, এক পথ' কৌশলের কার্যকারিতা থাংছোংয়ের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করবে।"

দক্ষিণ এশিয়া মেলা চীনের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প-প্রতিষ্ঠানগুলোর সামনেও সুযোগ সৃষ্টি করেছে।

উ ঈ রোং ও তার গাড়ি-রেস্তোরাঁ

উ ঈ রোং একটি গাড়ি-রেস্তোরাঁ নিয়ে মেলায় এসেছেন। তিনি চান, নিজের প্রয়াসের মাধ্যমে আরও বেশি যুবকের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবেন। তিনি আশা করেন, দক্ষিণ এশিয়া মেলায় তার আবিষ্কৃত পরিবেশবান্ধব ও সুবিধাজনক গাড়ি-রেস্তোরাঁ প্রদর্শিত হবার পর তা অন্যান্য দেশেও জনপ্রিয়তা পাবে। তিনি বলেন,"আমি চীন-দক্ষিণ এশিয়া মেলা খুব পছন্দ করি। প্রতি বছর এখানে নানা বিস্ময়কর জিনিস দেখা যায়। এ মেলায় গাড়ি-রেস্তোরাঁ প্রদর্শনের মাধ্যমে আমি স্বীকৃতি পাবার আশা করি। এ অভিজ্ঞতা আমাকে ভবিষ্যতে আরও ভাল কাজ করতে উত্সাহিত করবে।"

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশ-চীন-ভারত-মিয়ানমার অর্থনৈতিক করিডোর ও চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোর প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ এবং বৃহত্তর মেকং নদীসংশ্লিষ্ট দেশগুলোর জোটসহ নানা আঞ্চলিক সহযোগিতা দক্ষিণ এশিয়া মেলাকে সমৃদ্ধ করেছে। দক্ষিণ এশিয়া মেলা চীন, দক্ষিণ এশিয়া ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশগুলোর মধ্যে যোগাযোগ বাড়াবে এবং পারস্পরিক সহযোগিতার একটি অভিন্ন ক্ষেত্রে পরিণত হবে বলে আশা করা যায়। (ইয়ু/আলিম)


1 2
মন্তব্য
Play
Stop
ওয়েবরেডিও
বিশেষ আয়োজন
অনলাইন জরিপ
লিঙ্ক
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved.
16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040