20150514ruby.m4a
|
যাত্রীদের জন্য এই চালিকবিহীন গাড়িগুলো বর্তমান গাড়িগুলোর তুলনায় আরও নিরাপদ ও সুবিধাজনক হবে বলে বিশেষজ্ঞরা আশা প্রকাশ করেছেন। বিশেষজ্ঞদের ধারণায়, আগামী ৩০ বছরের মধ্যেই নিউইয়র্ক শহরে গাড়ি চালানো বেআইনি হয়ে যাবে।
জানা গেছে, গুগল বেশ কয়েক বছর ধরেই চালকবিহীন গাড়ি তৈরি এবং সেই প্রযুক্তির উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করে আসছে। চালকচালিত গাড়ির চেয়ে স্বয়ংক্রিয় মোটরগাড়িগুলোই আরও বেশি নিরাপদ হবে বলে ধারণা করা হয়েছে। গুগল জানায়, এ পর্যন্ত চালকবিহীন গাড়ির প্রোটোটাইপগুলো সিলিকন ভ্যালিতে পরিক্ষামূলকভাবে ১০ লাখ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়েছে।
চালকের বিভিন্ন ত্রুটি এবং দুর্ঘটনায় পড়ার প্রবণতাগুলো স্বয়ংক্রিয় গাড়িতে নেই বললেই চলে। তবে চালকবিহীন গাড়ির সামনে অনেক কঠিন পরীক্ষাও রয়েছে। সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর খবর মানুষকে শোকাহত করে। কিন্তু সম্ভাব্য যেসব দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব হয়, সেগুলোর মোট সংখ্যা সত্যিই বিস্ময়কর। মানুষের সূক্ষ্ম অনুভূতির কারণেই সেটা সম্ভব হয়। দেখা, অনুভব করা, সমন্বয় করা, শেখা এবং সংকেত পাওয়া ইত্যাদির সামগ্রিক ফলাফল হিসেবে মানুষ দুর্ঘটনা উপেক্ষা করে গাড়ি চালাতে পারে। একটি যন্ত্রের মধ্যে সেগুলো পরিপূর্ণভাবে সংযোজন করাটাই হবে প্রযুক্তিবিদদের সাফল্য। তাই চালকবিহীন গাড়িতে লিডার ও রাডারের মতো সেন্সর এবং অবস্থান নির্ণয়ের জন্য জিপিএস, স্ক্যানিং, থ্রিডি ছবি ইত্যাদি প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে।