Web bengali.cri.cn   
নিউইয়র্কে পাঁচ হাজার চালকবিহীন গাড়ি নামানো হবে
  2015-05-14 19:01:53  cri


চালিকবিহীন গাড়ির কথা অনেক দিন ধরে প্রচলিত আছে। তবে এত দিন তা কেবল বিজ্ঞান কল্পকাহিনীতে ছিল। কিন্তু একটি সুখবর যে, বিশ্ব বিখ্যাত প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান গুগল শিগগিরই সেটাকে বাস্তব রূপে নিয়ে আসবে। সম্প্রতি গুগল নিউইয়র্ক নগর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে একটি চুক্তি সম্পাদন করেছে, তাতে ভবিষ্যতে সেখানকার সব মোটরগাড়ির পরিবর্তে নামবে চালকবিহীন গুগল কার। আগামী বছরেই শহরটিতে পরীক্ষামূলকভাবে পাঁচ হাজার চালকবিহীন গাড়ি নামানো হবে। এসব গাড়িতে থাকবে স্বয়ংক্রিয় অর্থ লেনদেনের যন্ত্র (এটিএম), খাবার এবং কম্পিউটার মনিটর।

যাত্রীদের জন্য এই চালিকবিহীন গাড়িগুলো বর্তমান গাড়িগুলোর তুলনায় আরও নিরাপদ ও সুবিধাজনক হবে বলে বিশেষজ্ঞরা আশা প্রকাশ করেছেন। বিশেষজ্ঞদের ধারণায়, আগামী ৩০ বছরের মধ্যেই নিউইয়র্ক শহরে গাড়ি চালানো বেআইনি হয়ে যাবে।

জানা গেছে, গুগল বেশ কয়েক বছর ধরেই চালকবিহীন গাড়ি তৈরি এবং সেই প্রযুক্তির উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করে আসছে। চালকচালিত গাড়ির চেয়ে স্বয়ংক্রিয় মোটরগাড়িগুলোই আরও বেশি নিরাপদ হবে বলে ধারণা করা হয়েছে। গুগল জানায়, এ পর্যন্ত চালকবিহীন গাড়ির প্রোটোটাইপগুলো সিলিকন ভ্যালিতে পরিক্ষামূলকভাবে ১০ লাখ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়েছে।

চালকের বিভিন্ন ত্রুটি এবং দুর্ঘটনায় পড়ার প্রবণতাগুলো স্বয়ংক্রিয় গাড়িতে নেই বললেই চলে। তবে চালকবিহীন গাড়ির সামনে অনেক কঠিন পরীক্ষাও রয়েছে। সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর খবর মানুষকে শোকাহত করে। কিন্তু সম্ভাব্য যেসব দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব হয়, সেগুলোর মোট সংখ্যা সত্যিই বিস্ময়কর। মানুষের সূক্ষ্ম অনুভূতির কারণেই সেটা সম্ভব হয়। দেখা, অনুভব করা, সমন্বয় করা, শেখা এবং সংকেত পাওয়া ইত্যাদির সামগ্রিক ফলাফল হিসেবে মানুষ দুর্ঘটনা উপেক্ষা করে গাড়ি চালাতে পারে। একটি যন্ত্রের মধ্যে সেগুলো পরিপূর্ণভাবে সংযোজন করাটাই হবে প্রযুক্তিবিদদের সাফল্য। তাই চালকবিহীন গাড়িতে লিডার ও রাডারের মতো সেন্সর এবং অবস্থান নির্ণয়ের জন্য জিপিএস, স্ক্যানিং, থ্রিডি ছবি ইত্যাদি প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদন
মন্তব্য
Play
Stop
ওয়েবরেডিও
বিশেষ আয়োজন
অনলাইন জরিপ
লিঙ্ক
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved.
16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040