0424yin02
|
ভালর বলেন, 'এক অঞ্চল এক পথ' কৌশল হলো ২০১৩ সালের অক্টোবরে চীনের কূটনীতি কর্ম-আলোচনা সভার বর্ধিত অংশ। যদিও অভূতপূর্ব বলা যায় না, তবুও ১৯৪৯ সাল থেকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কৌশল এটি। এটা বোঝা যায় যে, চীন যথাযথভাবে নিকটবর্তী দেশগুলোকে বোঝাতে সক্ষম হয়েছে এবং তাদের সঙ্গে সহযোগিতার পদ্ধতি নির্ধারণ করেছে।
'এক অঞ্চল এক পথ' কৌশল শুধু নিকটবর্তী কূটনীতির একটি অংশই নয়, বরং এর চেয়ে বেশি কিছু। চীন নিকটবর্তী দেশের সঙ্গে কূটনীতির ওপর উচ্চ সচেতনতা আরোপ করেছে। পাশাপাশি এসব নিকটবর্তী দেশ চীনের উন্নয়নের জন্য আরো বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
ভালর বলেছেন, 'এক অঞ্চল এক পথ' কৌশল বেশ কয়েকটি পথের মাধ্যমে কার্যকর করা যায়, কিন্তু সমন্বয় ও সহযোগিতার প্রয়োজন রয়েছে। কারণ, বরাবর বিভিন্ন প্রকল্পে একে অপরের ওপর প্রভাব ফেলার সম্ভাবনা রয়েছে। চীনের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল এবং বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলের কাছে নিজের আশা-আকাঙ্ক্ষা প্রচার করার পাশাপাশি প্রত্যেক প্রকল্পের বিস্তারিত বিষয় নিয়ে ব্যাখ্যা করা উচিত।
"এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল সারা বিশ্বের কাছে স্পষ্টভাবে এ কৌশল কার্যকরের পদ্ধতি নিয়ে চীনের পক্ষ থেকে ব্যাখ্যা করা প্রয়োজন।"
ভালর বলেন, চীন সহযোগিতামূলক অংশীদারের সঙ্গে উন্নয়ন প্রকল্প ত্বরান্বিত করার মৌলিক নীতি নিয়ে চেষ্টা চালিয়েছে। কৌশলটির মধ্যে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর কল্যাণের বিরাট সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু এটি কার্যকর হতে আরো বেশি সময় লাগবে এবং খুবই সতর্কভাবে বৃহত্তম কল্যাণ নিশ্চিত করা প্রয়োজন।
সবশেষে ভালর বলেছেন, 'এক অঞ্চল এক পথ' কৌশল হলো চীনের নিজের উন্নয়ন ও নিরাপত্তা এবং প্রতিবেশী দেশগুলোর জন্য উন্নতি ও উচ্চাভিলাষী পরিকল্পনা। যদিও এর অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে, তবুও সফল না হবার কোনো কারণ নেই।