0227yin02
|
সেদিন তেল আবিবের দ্য ফার্স্ট স্টেশন পার্কে 'আনন্দ বসন্ত উত্সব মন্দির মেলা' অনুষ্ঠান চলছিল। ইসরায়েলে নিযুক্ত চীনা দূতাবাস এবং তেল আবিব পৌর সরকারের যৌথ উদ্যোগে কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়। ইসরায়েলে নিযুক্ত চীনরা রাষ্ট্রদূত জান ইয়ংসিন এবং তেল আবিবের মেয়র রন হলদাই যৌথভাবে মন্দির মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।
রাষ্ট্রদূত জান ইয়ংসিন বলেন,
বসন্ত উত্সব হলো চীনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহ্যবাহী উত্সব। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আরো বেশি বিদেশি বন্ধু বসন্ত উত্সব উদযাপনের মাধ্যমে চীনা সংস্কৃতি উপলব্ধি করছে। আমি আশা করি, এবারের আনন্দ বসন্ত উত্সব মন্দির মেলা ইসরাইলে চীনা সংস্কৃতি প্রবেশের একটি প্ল্যাটফর্মে পরিণত হবে। এছাড়া কার্যক্রমটি একটি জানালায় পরিণত হয়ে আরো বেশি ইসরাইলি চীনকে উপলব্ধি করবে।
রাষ্ট্রদূত জান এবং হলদাই যৌথভাবে মন্দির মেলার উদ্বোধন করেন। তারপর পেইচিং ক্রীড়া বিশ্ববিদ্যালয় বিএসইউ'র সিংহনাচের দল, ইসরাইলের জাতীয় কুংফু দল এবং চিয়াংসু প্রদেশের লিয়ান ইয়ুন কাং শহরের চিংকাং শিল্পদল চিত্তাকর্ষক চীনা ঐতিহ্যবাহী পরিবেশনা করেছে। মন্দির মেলায় অংশগ্রহণকারী তেল আবিব বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্ব এশিয়া বিভাগের ছাত্রী উত্তেজিতভাবে বলেন,
আমরা পরিবেশনাটি খুব পছন্দ করেছি। খুব চিত্তাকর্ষক। আমরা চীনা সংস্কৃতি ও চীনা ভাষা পছন্দ করি। যদিও এখনও এসব সংস্কৃতি ভালো বুঝি না, তবুও ভবিষ্যতে আরো বেশি বোঝার প্রত্যাশা করছি।
মন্দির মেলার সুস্বাদু খাবার অঞ্চলে যাওয়া-আসা করা ইসরায়েলের স্থানীয় অধিবাসী অথবা অধ্যয়নরত চীনা ছাত্রছাত্রী এবং প্রবাসী চীনা সারিবদ্ধ হয়ে চীনের ঐতিহ্যবাহী সুস্বাদু খাবার খেয়ে দেখবে। খাবার প্রস্তুতি নেয়া একজন ইসরাইলি ছাত্র ডাম্প্লিং বানাচ্ছেন। তার চীনা নাম হচ্ছে বো ইয়ো না। তিনি চীনে লেখাপড়া করেছেন। তিনি বলেন,
ইসরাইলি ও চীনা মানুষের অনেক মিল রয়েছে। আমাদের কাছে পরিবার খুবই গুরুত্বপূর্ণ। খাবারও গুরুত্বপূর্ণ। লেখাপড়াও গুরুত্বপূর্ণ। অনেক জিনিসের মিল আছে। সুতরাং চীনে থাকা আমার কাছে বাসায় থাকার মতো মনে হয়। আমি বিশেষ করে চীনকে খুব মিস করি। তাই এখনো চীনের সময়গুলো অনুভব করি। পেইচিংয়ের মন্দির মেলা আমার কাছে অনেক আনন্দদায়ক।
সুস্বাদু খাবার অঞ্চলের প্রবাসী চীনার বর্ণনা অনুযায়ী, ঠাণ্ডা রাইস নুডুলস, মুগ ময়দা দিয়ে বানানো। এটা বিশেষ করে চীন থেকে আমদানি করা হয়। ইসরাইলে পাওয়া যায় না। এছাড়া গরম শুকনো নুডুলসও বিশেষ করে মন্দির মেলার জন্য প্রস্তুত রয়েছে। এটা ইসরাইলের অন্য কোথাও পাওয়া যায় না। দ্য ফার্স্ট স্টেশন পার্কে বেড়াতে আসা ইসরাইলি পরিবার কাকতালীয়ভাবে মন্দির মেলাটি ধরতে পেরেছে।
ইসরাইলে শুধু সবার পরিচিত চীনা খাবার পাওয়া যায়। খাঁটি চীনা খাবার নেই। ইসরায়েলে অনেক চীনা রেস্তোরাঁ থাকলেও সেসব বিশুদ্ধ চীনা খাবার নয়। এই ঠাণ্ডা রাইস নুডুলস ইসরাইলে পাওয়া যায় না। আমি এখানে প্রথমবারের মতো এটা খাচ্ছি।
তেল আবিবের দ্য ফার্স্ট স্টেশনে দু'দিন ধরে চলেছে 'আনন্দ বসন্ত উত্সব মন্দির মেলা'। পুরো মন্দির মেলাটিতে পরিবেশনা অঞ্চল, সুস্বাদু খাবার অঞ্চল, চিত্তবিনোদন অঞ্চল এবং প্রদর্শনী অঞ্চল রয়েছে। এতে চীনা নাচ-গান, লোকসঙ্গীত, সিংহনাচ পরিবেশনা, চীনের বসন্ত উত্সবের খাবার, চিত্তবিনোদনের কাজ এবং চা শিল্প, চীনের ঐতিহ্যবাহী চিকিত্সা ব্যবস্থা, ক্যালিগ্রাফি ও চীনা পুঁজি বিনিয়োগকারী শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোর প্রদর্শনীসহ বিভিন্ন বিষয় রয়েছে।
প্রেমা/ তৌহিদ