Web bengali.cri.cn   
মুক্তার কথা-২২ নভেম্বর
  2015-01-24 19:33:33  cri


সুপ্রিয় বন্ধুরা, আপনারা শুনছেন সুদূর পেইচিং থেকে প্রচারিত চীন আন্তর্জাতিক বেতারের বাংলা অনুষ্ঠান 'মুক্তার কথা'। আপনাদের সঙ্গে আছি আমি আপনাদের বন্ধু মুক্তা।

আজকের প্রথম চিঠি লিখেছেন বাংলাদেশের চুয়াডাঙ্গা জেলার গ্লোবাল সিআরআই রেডিও লিসেনার্স ক্লাবের সভাপতি প্রফেসর আশরাফুল ইসলাম। তিনি ইমেইলে লিখেছেন, সুপ্রিয় মুক্তা আপু, আশা করি ভাল আছেন। 'মুক্তার কথা' আমাদের অনেক প্রিয় একটি অনুষ্ঠান। কারণ এ অনুষ্ঠান থেকে আমরা চীন সম্বন্ধে অনেক বস্তুনিষ্ঠ তথ্য পেয়ে থাকি। এ জন্য 'মুক্তার কথা' অনুষ্ঠানকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। ৮ নভেম্বর 'মুক্তার কথা' অনুষ্ঠানে শ্রোতার কণ্ঠে কবিতা আবৃত্তি, একজন ভারতীয় শ্রোতার কণ্ঠে আধুনিক গান ও শ্রোতার প্রশ্নের উত্তর এ দিনের অনুষ্ঠানকে বেশ প্রাণবন্ত ও আকর্ষণীয় করেছে। বাংলাদেশের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী আইয়ুব বাচ্চু আমাদেরও অনেক প্রিয় একজন শিল্পী। আজকের 'সুরের ধারা' অনুষ্ঠানে এ শিল্পীর কণ্ঠের গান আমাদেরকে অনেক আনন্দ দিয়েছে। যেমন: কোনো সুখের ছোঁয়া পেতে নয়, কতদিন দেখেনি দু'চোখ, এখন অনেক রাত ইত্যাদি গানগুলো আমরা দারুণ উপভোগ করেছি। এত সুন্দর অনুষ্ঠান উপহার দেওয়ার জন্য মুক্তা আপুকে অশেষ ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই। শুভেচ্ছা ও শুভ কামনা জানিয়ে আজ এখানেই শেষ করছি। ভাল ও সুস্থ থাকবেন।

বন্ধু আশরাফুল ইসলাম, আমাদেরকে নিয়মিত মতামত জানানোর জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাই। আশা করি, আপনি আরো বেশি গঠনমূলক মতামত দেবেন।

বাংলাদেশের রংপুর জেলার শ্রী ধনোপতি সরকার চিঠিতে লিখেছেন, প্রিয় ভাইয়া ও আপু, আশা করি ভাল আছেন। মুক্তা আপু, আমি চীন সম্পর্কে জানতে চাই। চীনে কবে থেকে এক সন্তান নীতি চালু হয়েছে তা আমি জানতে চাই। মুক্তা আপু, সিআরআইয়ের সকল অনুষ্ঠান আমার কাছে অনেক ভাল লাগে। এত সুন্দর অনুষ্ঠান প্রচার করার জন্য Cri বাংলা বিভাগকে জানাই অনেক ধন্যবাদ। আজ এই বলে শেষ করলাম।

বন্ধু শ্রী ধনোপতি সরকার, প্রথমেই আপনাকে ইমেইল পাঠানোর জন্য ধন্যবাদ জানাই। আমি চীনের পরিবার পরিকল্পনার বিষয় নিয়ে বিগত সময়ের অনুষ্ঠানে অনেকবার বলেছি। যদি আপনার কোনো প্রশ্ন থাকে তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটও চেক করতে পারেন। আমাদের অনুষ্ঠানের সময় বেশি নয়, তাই এবারের অনুষ্ঠানে আমি আরেকবার সে বিষয়টি উল্লেখ করতে চাইনা। আশা করি, আপনি ভবিষ্যতে আরো বেশি প্রশ্ন করবেন। ধন্যবাদ।

নওগাঁ জেলার সোর্স অফ নলেজ ক্লাবের সভাপতি খোন্দকার রফিকুল ইসলাম ইমেইলে লিখেছেন, প্রিয় মুক্তা আপু, সিআরআই বাংলা বিভাগ, প্রীতি আর শুভেচ্ছার ঝাঁপি আপনিসহ বাংলা বিভাগের সকল কলাকুশলী, পৃথিবী নামক গোলকের সকল প্রান্তে অবস্থিত সকল শ্রোতা বন্ধুদের জন্য। আপু, সময়ের অনেকটা প্রহর অতিক্রান্ত হতে চলল, কোনো ধরনের জ্ঞানযাচাই প্রতিযোগিতার আয়োজন গত দশ মাস যাবত হলো না। আগামীতে ঠিক কবে নাগাদ এই ধরনের প্রতিযোগিতা আয়োজন করবেন জানাবেন কি? আপু, আগামী বছর অর্থাত্‍ ২০১৫ সালে বাংলাদেশে কোনো শ্রোতা সম্মেলন আয়োজন করবেন কি? আপু, আপনাদের বেতার কেন্দ্র থেকে টেবিল বা ডেক্স ক্যালেন্ডার তৈরি করে তা শ্রোতাদের মাঝে বিতরণ করলে কেমন হয়, জানাবেন কি? আপু, এখন থেকে শ্রোতাদের কোনো উপহার বা পুরস্কার পাঠাতে চাহিলে আমার মতে তা ঢাকায় কোনো চীনা অফিসে বা চীনা দূতাবাসে প্রথমত পাঠাবেন। এরপর তাদেরকে জানাবেন, উপহার প্যাকেটটি বাংলাদেশের ভিতরে কাকে পাঠাতে হবে সেই ঠিকানা। আমি মনে করি, এতে করে শ্রোতাদের যেমন কোনো অতিরিক্ত ডাক মাশুল দিতে হবে না। তেমনিভাবে উপহারটি হারিয়ে যাবার ভয়ও থাকবে না। মতামতটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ। তাই তা ভেবে দেখতে অনুরোধ রাখছি। আজ শেষ করতে যাচ্ছি। আবারো গঠনমূলক পত্র দিব, প্রত্যাশা রহিল। সুগঠনমূলক জবাব কামনা করি। চাই চিয়েন।

বন্ধু খোন্দকার রফিকুল ইসলাম, আপনি অনেক মতামত জানিয়েছেন। এ বছর সিআরআই'র প্রতিযোগিতা হবে না, কিন্তু আমাদের প্রতি অনুষ্ঠানে নিয়মিত কুইজ রয়েছে। আমি জানি না, আপনি অংশ নিয়েছেন কিনা? আগামী বছরের কর্মসূচী আমরাও পাই নি। যদি কোনো শ্রোতা সম্মেলন, প্রতিযোগিতা হয়, তাহলে আমরা অবশ্যই প্রথমে আপনাদেরকে জানাবো। ধন্যবাদ।

বাংলাদেশের ময়মনসিংহ জেলার মনির হোসেন (মনির) নিজের লেখা কবিতা আমাদেরকে অডিওতে পাঠিয়েছেন। এখন আমরা একসাথে তাঁর কবিতা শুনবো।

কবিতা

বন্ধু মনির হোসেন, কবিতা পাঠানোর জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাই। আশা করি, আরো বেশি শ্রোতা অডিও বা ভিডিওতে নিজের লেখা পাঠাবেন।

বাংলাদেশের ফরিদপুর জেলার নন্দন বেতার শ্রোতা সংঘের পরিচালক মো: আফজাল আলী খান ইমেইলে লিখেছেন, সর্বাগ্রে আমার শিউলি ফুলের সুবাস মাখা ভোরের স্নিগ্ধ হৈমন্তী শুভেচ্ছা নিন। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। অনেক দিন পরে আপনাদের সান্নিধ্যে এলাম। সিআরআই এর ওয়েবসাইটটি খুব সুন্দর। নিয়মিত দেখতে আমার খুবই ভালো লাগে। শীতকালে নানাবিধ মৌসুমী রোগ ব্যাধির প্রাদুর্ভাব ঘটে। তাতে শিশু এবং বৃদ্ধরা বেশী আক্রান্ত হয়। সতর্কতা অবলম্বন করলে অধিকাংশ সময় সুফল পাওয়া যায়। ' স্বাস্থ্য ও জীবন ' অনুষ্ঠানে এ সময়ের সংক্রামক ও ভাইরাস রোগের প্রতিরোধ ও প্রতিকার সম্পর্কে প্রতিবেদন রেডিওতে শুনতে (এবং ওয়েবসাইটে দেখতে) চাই। আমাকে যদি আর ভালো না লাগে, আমাকে বলবেন। তা হলে আর বার বার লিখে আপনাদেরকে বিরক্ত করবোনা। তথাপি সিআরআই, এর অসংখ্য বিমুগ্ধ শ্রোতার স্বার্থে আপনাদের সুস্বাস্থ্য ও মঙ্গল কামনা করছি। ধন্যবাদ। চাই চিয়ান।

বন্ধু মো: আফজাল আলী খান, আপনাকে ইমেইল লেখার জন্য ধন্যবাদ জানাই। শ্রোতাদেরকে কেন আমাদের ভাল লাগবে না? সব শ্রোতাই আমাদের বন্ধু। আমাদের সকল অনুষ্ঠান আমাদের প্রিয় শ্রোতাবন্ধুদের জন্যই। এবার আমাদের উত্তর পেয়েছেন? অবশ্যই আপনাকে ভাল লাগে। নিয়মিত আমাদেরকে মতামত জানাবেন, কেমন? ধন্যবাদ।

বাংলাদেশের চাপাই নবাবগঞ্জ জেলার বরেন্দ্র বেতার শ্রোতা সংঘের মোহা: আব্দুল মান্নান ইমেইলে লিখেছেন, আমাদের আন্তরিক শুভেচ্ছা নিবেন।আশা করি আপনারা ভাল আছেন। আমরাও সবাই ভাল আছি। আপনাদের কাছে চিঠি লিখেও উত্তর পাচ্ছি না। আপনাদের অফিসের ঠিকানায় ইমেইল পাঠালে তা ফেরত আসে তাই এবার আপনার ব্যক্তিগত ঠিকানায় মেইল পাঠালাম। আশা করি উত্তর পাবো। আপনার সঞ্চালনায় 'মুক্তার কথা' অনুষ্ঠানটি খুব ভাল লাগে। অনুষ্ঠানটি নিয়মিতভাবে শুনছি। অনুষ্ঠানে বেশি বেশি চিঠি পড়ছেন এজন্য আমাদের খুব ভাল লাগছে।

আচ্ছা, বন্ধু আব্দুল মান্নান, এবারে আপনি চিঠির উত্তর পেয়েছেন, কেমন লাগছে? আসলে প্রতি অনুষ্ঠানে সকল শ্রোতার চিঠির উত্তর দেয়ার সুযোগ ও সময় খুব কম আমাদের। কিন্তু আমরা সকল শ্রোতার মতামতকে গুরুত্ব দেই। আশা করি, আপনি নিয়মিত লিখবেন। ধন্যবাদ।

গান

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের হুগলী জেলার নিউ হরাইজন রেডিও লিসেনার্স ক্লাবের সম্পাদক রবিশংকর বসু ইমেইলে লিখেছেন, প্রথমেই চীন আন্তর্জাতিক বেতারের বাংলা বিভাগের আপনাদের সকলকে জানাই আমার নমস্কার। মাননীয়া খোং চিয়া চিয়া ম্যাডামের উপস্থাপনায় 'এশিয়া টুডে' অনুষ্ঠানে এই বছর শান্তিতে নোবেল জয়ী পাকিস্তানের মালালা ইউসুফজাই এবং ভারতের কৈলাস সত্যার্থীকে নিয়ে পরিবেশিত দু'টি বিশেষ প্রতিবেদন আমার খুবই ভালো লেগেছে। এই প্রসঙ্গে আমি দু'চার কথা বলতে চাই। ২০১৪তে বিশ্বশান্তির দুই মুখ ভারতের শিশুশ্রম বিরোধী আন্দোলনের কর্মী কৈলাস সত্যার্থী ও নারীশিক্ষা আন্দোলনের পরিচিত মুখ পাকিস্তানের মালালা ইউসুফজাই। আসলে হিন্দু কৈলাস সত্যার্থী এবং মুসলিম মালালা ইউসুফজাই-দুজনেই ধর্ম, বর্ণ, জাতি ভুলে বিশ্বমঞ্চে নিজেদের একটাই পরিচয় স্থাপন করতে পেরেছেন-তাঁরা শান্তির দূত। আর এই শান্তির অভাব আজ সারা বিশ্বব্যাপী। এ'কথা আজ সূর্য ওঠার মতই সত্যি যে স্বাধীন ভারত ৬৭ বছর অতিক্রম করলেও শিশু জীবনের মর্মান্তিক পটচিত্রের কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন আজও সাধিত হয়নি। শিশুরা নানা কারণে খাদ্য, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, বাসস্থান, নিরাপত্তা ও কাঙ্ক্ষিত অধিকার থেকে বঞ্চিত।আমাদের শিশুরা জন্মেই দেখে পিতার সংসারে অভাব-অনটন। যে বয়সে তার স্কুলে যাবার কথা, পড়াশোনার অবসরে মাঠে ঘুড়ি ওড়ানোর কথা, খেলার সময় খেলার কথা, সে সময়ে তাকে পিতার সংসারে নিয়োজিত হতে হয়। তার কৈশোরের স্বপ্নগুলো উবে যায়। বাস্তবতার মুখোমুখি হয়ে ভুলে যায় তার অধিকারের কথা, তার পাওনার কথা। এরা মাঠে কাজ করে, পিতার সহযোগী হিসাবে সংসারের হাল ধরে। সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের আলোকিত করতে ভারতের মধ্যপ্রদেশে জন্ম নেওয়া প্রখ্যাত সমাজকর্মী কৈলাস সত্যার্থী শিশু অধিকারের আন্দোলনে পালন করেছেন এক দৃষ্টিনন্দন ভূমিকা। আর পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশের ১৭ বছর বয়সের মালালা ইউসুফজাই কন্যা-শিশুদের শিক্ষার অধিকার অর্জনের জন্য নিজের জীবনকে তুচ্ছ করে রচনা করেছেন বিশ্বের এক তুলনীয় দৃষ্টান্ত। উভয়ের দৃঢ় প্রতিজ্ঞ ভূমিকা বিশ্বে শান্তির বাতাবরণ সৃষ্টি করতে প্রভূত পরিমাণে সহায়কের ভূমিকা পালন করবে, এ‍‌ই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়ে 'নোবেল শান্তি পুরস্কার' প্রদানের সংস্থা নরওয়ের নোবেল কমিটি বিশ্বকে চমত্কৃত করে কৈলাস সত্যার্থী এবং মালালাকে শান্তির দূত হিসাবে বেছে নেন। কেননা শান্তির দূত তো তাঁরাই, যারা কাঁটাতার ভুলে উড়তে পারে-যে ওড়ার ইচ্ছে-ডানা ছিল কৈলাস এবং মালালার। এখানে আমি সংযোজন করতে চাই, এবারের নোবেল শান্তি সম্মানে ভূষিত ভারতীয় সমাজসেবী কৈলাস সত্যার্থী শিশুদের কল্যাণের জন্য অভিযান শুরু করেন ১৯৮৩ সাল থেকে। 'বচপন বাঁচাও আন্দোলন'-এর পুরোধা কৈলাস সত্যার্থী দীর্ঘকাল ধরে লড়ে আসছেন শিশুশ্রম বিলোপের লক্ষ্যে, শোষণের নিগঢ় থেকে উদ্ধার করে শৈশবকে তার স্বাভাবিক অধিকার ফিরিয়ে দিতে৷‌গান্ধীজির ঐতিহ্য অনুসরণ করে বিপুল সাহসের সঙ্গে অজস্র আন্দোলন সংগঠিত করেছেন কৈলাস সত্যার্থী৷‌ আলো ফেলেছেন শিশুশ্রমের অন্ধকার ভুবনে৷ ‌খবরে প্রকাশ, এ পর্যন্ত তিনি ৮০,০০০-এর উপর শিশু শ্রমিককে উদ্ধার করে নিজ প্রতিষ্ঠিত শিক্ষালয় থেকে শিক্ষা গ্রহণ করার ব্যবস্থা করে তাদের জীবনকে অর্থবহ করে তুলেছেন। কৈলাস সত্যার্থীর তুলনায় কিশোরী মালালা ইউসুফজাই আম্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমে একটু বেশিই পরিচিত৷‌ তাঁর খ্যাতিতে নতুন পালক, সব থেকে কম বয়সে নোবেল জয়৷‌ রাষ্ট্রসঙ্ঘের আহ্বানে গত বছর ১২ই জুলাই মালালা ইউসুফজাই-এর ১৭তম জন্মদিবস দেশে দেশে পালিত হয়েছে। এত কম বয়সে আজ পর্যন্ত কেউই নোবেল পুরস্কারে পুরস্কৃত হয়নি। আবদুস সালামের পর মালালা দ্বিতীয় নোবেল-জয়ী পাকিস্তানি৷‌ উত্তর-পশ্চিম পাকিস্তানের সোয়াত উপত্যকা অঞ্চলে তালিবান জুলুমের বিরুদ্ধে, মেয়েদের পড়াশোনার হক নিয়ে মালালা সরব ১২ বছর বয়স থেকেই৷‌ আন্তর্জাতিক প্রচার মাধ্যমের নজরে আসে সে তখন থেকেই৷‌ চড়া মাশুলও দিতে হয় এর জন্য৷‌ ঠিক দু'বছর আগে, ২০১২-র ৯ অক্টোবর তারিখে স্কুলবাসে তাঁর ওপর হামলা চালায় তালিবান বন্দুকবাজ৷‌ তিন-তিনটে গুলি৷‌চিকিত্সকদের পরম যত্নে মৃত্যুর কোল থেকে ফিরে আসে কিশোরী মালালা৷‌আজ বীরত্বময় সংগ্রামের মধ্য দিয়ে কন্যাশ্রী মালালা হয়ে উঠেছে মেয়েদের শিক্ষার অধিকারের অন্যতম পুরোধা মুখপাত্র। আজ সকল ভারতবাসী এবং পাকিস্তানবাসী শান্তির নোবেল পুরস্কার জয়ে গভীরভাবে আনন্দিত ও উচ্ছ্বসিত সন্দেহ নেই। কিন্তু সেখানেই আমাদের দায়িত্ব শেষ করলে এই দুই পুরস্কার জয়ীর প্রতি দেখানো হবে না যোগ্য সম্মান। শৈশবহীন শিশু-জীবনের অভিশাপ দূর করতে আমাদের গড়ে তুলতে হবে আন্দোলন। তার জন্য পালন করতে হবে সচেতন ও মানবিক ভূমিকা। আমাদের দেশ থেকে শিশুদের প্রতি চরম মানবতাবিরোধী ব্যবস্থার যাতে অবসান হয়, শিশু-জীবনের যথোচিত বিকাশের সহায়তায় যেন সূর্যকিরণে বিকশিত হয় তাদের শৈশব, তার জন্য আমাদের হতে হবে ব্রতী। শিশুর প্রতি দায়িত্ব রয়েছে আমার, আমাদের, রাষ্ট্রের এবং সবার। আমরা ইচ্ছে করলেই আমাদের উত্তরাধিকারী শিশু-কিশোর সন্তানদের সকল দাবি পূরণ করতে পারি। নিত্যসঙ্গী দারিদ্র দূর করতে পারি সাহায্য-সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে। মায়া-মমতা, আদর-স্নেহ ও ভালোবাসার পাশাপাশি তাদের ছোট্ট চাহিদা পূরণ করতে পারি একটু কম খেয়ে একটু খরচ বাঁচিয়ে। চিত্র-গীতি-সুর ও ছন্দে বিকশিত হোক সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জীবন। শৈশব ও কৈশোরের স্বপ্নগুলো যেন গোলাপের মতো প্রস্ফুটিত হতে পারে। কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের উচ্চারিত অঙ্গীকার হোক আমাদের সকলের অঙ্গীকার- 'এ বিশ্বকে এ-শিশুর বাসযোগ্য করে যাবো আমি-নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার। অবশেষে সব কাজ সেরে আমার দেহের রক্তে নতুন শিশুকে করে যাবো আশীর্বাদ, তারপর হবো ইতিহাস।' আপনাদের সবাইকে আমার শ্রদ্ধা ও নমস্কার জানিয়ে শেষ করলাম।ভালো থাকবেন।

বন্ধু রবিশংকর বসু, আপনাকে আমাদের অনুষ্ঠান সম্পর্কিত এত বিস্তারিত মতামত জানানোর জন্য ধন্যবাদ জানাই। অনেক দিন ধরে আপনার ইমেইল পাই না কেন? আশা করি, আপনি নিয়মিত আমাদেরকে এভাবে গঠনমূলক মতামত জানাবেন। ধন্যবাদ।

প্রিয় শ্রোতা, এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য আপনাদের সবাইকে জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ। যদি আপনারা আমাদের অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে কিছুটা হলেও আনন্দ পেয়ে থাকেন, তাহলে মনে করবো আমাদের পরিশ্রম সার্থক হয়েছে। আপনাদের জন্যই আমাদের সকল প্রচেষ্টা ও আয়োজন। আপনারা সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন এবং শুনতে থাকুন চীন আন্তর্জাতিক বেতারের বাংলা অনুষ্ঠান। আর হ্যাঁ, আমাদের চিঠি লিখতে ভুলবেন না।

আমাদের সঙ্গে থাকুন, আমাদের অনুষ্ঠান শুনুন আর আপনার যে-কোনো মতামত বা প্রশ্ন পাঠিয়ে দিন চিঠি বা ই-মেইলের মাধ্যমে। আমাদের ই-মেইল ঠিকানা হচ্ছে ben@cri.com.cn এবং আমার নিজস্ব ইমেইল ঠিকানা হল caiyue@cri.com.cn। 'মুক্তার কথা' অনুষ্ঠান সম্পর্কিত ইমেইল আমার নিজস্ব ইমেইল ঠিকানায় পাঠালে ভালো হয়। আজ তাহলে এ পর্যন্তই। আশা করি, আগামী সপ্তাহের একই দিনে, একই সময়ে আবার আপনাদের সঙ্গে কথা হবে। ততোক্ষণ সবাই ভালো থাকুন, আনন্দে থাকুন। (ছাই/টুটুল)

সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদন
মন্তব্য
Play
Stop
ওয়েবরেডিও
বিশেষ আয়োজন
অনলাইন জরিপ
লিঙ্ক
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved.
16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040