
সম্প্রতি কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক ফেসবুক 'লাইক' নিয়ে গবেষণা করে মানবিক গুণের বিষয়গুলো পরীক্ষা করে জানিয়েছেন, পরিবারের খুব কাছের সদস্যরাও অনেক কিছু জানতে পারেন না, যা ফেসবুকের নানা কার্যক্রম দেখে ফেসবুক বুঝতে পারে। গবেষক দল পাঁচটি মানবিক গুণের বিষয়ে দীর্ঘসময় ধরে গবেষণা করেছেন। আর এতেই দেখা যায়, এসব বিষয় অনুসরণের মাধ্যমে এমন অনেক তথ্য জানা সম্ভব, যা নির্দিষ্ট ব্যবহারকারীর পারিবারিক অনেক সদস্য জানেন না। এ ক্ষেত্রে গবেষকেরা বড় একটি দলের লাইকের বিষয়ে অনুসরণ করেন। এতে দেখা যায়, ১০টি লাইক দেখলে এমন তথ্য জানা যাবে, যেটাকে ব্যবহারকারীর অফিসের সহকর্মী পর্যন্ত জানেন না। এছাড়া ৭০টি লাইক দেখে যা জানা যাবে, তাকে ব্যবহারকারীর বন্ধু কিংবা রুমমেট পর্যন্ত জানেন না। ১৫০ লাইক দেখে যেটা জানা যাবে, সেটি মা-বাবা বা ভাইবোন জানেন না। ৩০০ লাইক অনুসরণ করে যেটা জানা যায়, তা স্বামী জানেন না। পুরো বিষয় নিরীক্ষা করার ক্ষেত্রে গবেষকেরা বিশেষ সফটওয়ার ব্যবহার করেছেন। গবেষক দলের অন্যতম সদস্য ও কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটির সাইকোমেট্রিকস সেন্টারের প্রধান উ ইয়োইয়া বলেন, এ গবেষণা প্রমাণ করেছে যে, ব্যবহারকারীদের ডিজিটাল ব্যবহার এমন অনেক কিছু বের করতে সক্ষম, যা তাঁর ঘনিষ্ঠ সদস্যদের জানা নেই। ভবিষ্যতে দেখা যাবে, এ ধরনের গবেষণার মাধ্যমে মানবিক ও চরিত্রসহ বিভিন্ন বিষয় জানা সম্ভব হবে।
তবে এ বিষয়কে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের ব্যক্তিগত তথ্যের গোপনীয়তার জন্য একটি হুমকি হিসেবে দেখা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সেজন্য গবেষকেরা ডিজিটাল মাধ্যমে নিজের অবস্থান কতটুকু জানালে, তা ভালো হবে। এ বিষয়ের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। এ গবেষণায় প্রায় ৮৬ হাজার ২২০ জন স্বেচ্ছাসেবক ১০০ ধরনের কার্যকর্মের বিষয়ে লাইক নিয়ে প্রাথমিক গবেষণা করেছেন। গবেষকরা পরবর্তীতে বিস্তর গবেষণার কাজ চালিয়ে যাবে।