1017yin01
|
বেশিরভাগ শিখ ধর্মাবলম্বীর পাগড়ির দৈর্ঘ্য শুধু ৫ থেকে ৭ মিটার। কিন্তু মুনি তার পাগড়ির দৈর্ঘ্য ব্যাপকভাবে বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন, যাতে আগের বিশ্ব রেকর্ড ভেঙ্গে নতুন বিশ্ব রেকর্ড গড়া যায়। মুনির পাগড়ির দৈর্ঘ্য কর্তৃপক্ষের নজরে আসলে তিনি গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস-এর তালিকায় মেজর সিং'কে ছাড়িয়ে যাবেন। মেজর সিং'র পাগড়ির দৈর্ঘ্য ৪শ' মিটার।
মুনি বলেছেন, এসব বেগুনি ও কমলা রঙের কাপড়ের ওজন ৩০ কেজি। কিন্তু অন্যান্য গয়নাগাটির সঙ্গে মোট ওজন ৪৫ কেজিতে পৌঁছবে। যদি তাঁর হাঁটার তলোয়ার এবং ভারি চুড়ির সঙ্গে মাপা হয়, তাহলে আরো ৩৯ কেজি ওজন বাড়াতে হবে। পাগড়িটি অতিরিক্ত বড় ও উঁচু হওয়ায়, মুনি গাড়িতে বসতে পারে না। সেজন্য তাঁকে শুধু মোটর-সাইকেলে করে তীর্থযাত্রায় যেতে হয়।
মাথায় এতো ভারী 'চাপ' সম্পর্কে মুনি বলেন, এটা কোনো ব্যাপার না। তিনি বলেন, প্রত্যেক বার যখন আমি এটা পরি, তখন আমার খুব আনন্দ হয়। প্রত্যেক বার এক এক পর্যায়ে পাগড়িটি পড়ি, ঠিক একটি ভবন নির্মাণের মতো। এর আগে, কয়েক বার আমি পাগড়ি পরিনি। তখন আমার খুব খারাপ লেগেছিল। মনে হয়, কিছুর অভাব বোধ্ করছি। যতক্ষণ আমি এটি পরতে পারবো, ততক্ষণ আমি এটি ত্যাগ করবো না।
শিখ ধর্মের প্রধান গুপ্রিত সিং সাদরভাবে মুনিকে বাবাজি বলে ডাকেন। তাঁর বিরাট পাগড়ি শিখ ধর্মের প্রতি তরুণ-তরুণীদের ভালোবাসা জাগাতে সহায়তা করেছে। তিনি বলেছেন, ইদানিং অনেক শিখ বাচ্চা চুল কাটে এবং পাগড়ি পরতে ভুলে যায়। কিন্তু মুনি আমাদের মনে করিয়ে দেয়, পাগড়ি পরাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের বাচ্চাদের উচিত চুল রাখা এবং পাগড়ি ব্যবহার করা।