

0807ruby
|
মানুষবিহীন গাড়ি নিজে নিজেই পার্কিংয়ের জন্য নির্ধারিত স্থানের দিকে এগিয়ে যাবে। একজন পথচারীকে রাস্তা পার হওয়ার সুযোগ দেবে গাড়িটি। তারপর সঠিক পথ ধরে সংকীর্ণ পার্কিং জায়গায় গিয়ে পার্কিং করবে। পার্কিং করার সময় কোনো ধাক্কা লাগবে না। সুইডেনের বিখ্যাত মোটরগাড়ি নির্মাতাপ্রতিষ্ঠান ভলভো এবং যন্ত্রাংশ নির্মাতা ফরাসি প্রতিষ্ঠান ভলোও ওই স্মার্ট গাড়ির বা অত্যাধুনিক স্বয়ংক্রিয় মোটরগাড়িপার্কিং প্রযুক্তিটি উত্পাদিত করছে বলে খবর পাওয়া গেছে। এ প্রযুক্তি এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। তবে আগামী ছয় বছরের মধ্যে এটি ব্যাপক ব্যবহারে ছড়িয়ে পড়বে বলে প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে।
সারা বিশ্ব স্মার্ট গাড়ির গবেষণার ওপর নজর রাখছে। কিছু কিছু স্মার্ট গাড়ির নির্দিষ্ট পথে স্বয়ংক্রিয়ভাবে চলাচল সম্ভব হয়েছে।
আসন্ন ঝুঁকি মোকাবেলায় চালক যখন ব্যর্থ, তখন জার্মানির মার্সিডিজের তৈরি স্মার্ট গাড়িটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে ব্রেক করতে পারে।যখন চালক লাইনে না দাঁড়িয়ে একটু একটু করে পার হয়, তখন জার্মানির বিএমডব্লিউ প্রতিষ্ঠানের নির্মিত বেশ কয়েকটি স্মার্ট গাড়ি সতর্কতা দেবে এবং স্বয়ংক্রিয়ভাবে ছুটন্ত অবস্থায় শিফ্ট করবে।
নিজে নিজে চলতে সক্ষম গাড়ি ২০২০ সালের মধ্যেই বাজারে চলে আসবে বলে গবেষকেরা আশা প্রকাশ করেছেন।আর পুরোপুরি স্বাধীন রোবট গাড়ি ২০৩০ সালের মধ্যে আসতে পারে। গাড়ির যন্ত্রাংশ নির্মাতাপ্রতিষ্ঠান বোশ (bosch)এর বিক্রয় বিভাগের পরিচালক বলেন, স্বয়ংক্রিয়ভাবে চালিত স্মার্ট গাড়ির কারণে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুহার অনেক কমবে। কারণ,৯০ শতাংশ দুর্ঘটনার মূলকারণ হলো চালকের ভুলভাবে গাড়ি চালানো।
পাশাপাশি স্মার্ট গাড়ির উন্নয়ন ও প্রচলিত হয়ে উঠলে মহানগরে ট্র্যাফিক জ্যামের সমস্যারও কিছুটা সমাধান সম্ভব হবে। বিশেষজ্ঞরা জানান, ২০৩০ সালে স্মার্ট গাড়ি প্রচলিত হয়ে ওঠার পর যেখানেসেখানে এবং যেকোনো সময় যাত্রীদের গন্তব্যে পৌঁছানো সম্ভব হবে। একই সঙ্গে স্মার্ট গাড়িগুলোর মধ্যে যোগাযোগ প্রতিষ্ঠিত হলে সুপার কম্পিউটারের নিয়ন্ত্রণে পথ চলবে স্মার্ট গাড়িগুলো। এতে পথ চলাচল আরও সুষ্ঠু হবে এবং বিপুল জ্বালানি সাশ্রয় হবে।
এ প্রযুক্তির সমর্থকরা জানান, স্মার্ট গাড়িতে ভ্রমণ আরও বেশি আরামদায়ক। কারণ এ প্রযুক্তির মাধ্যমে গাড়ির যাত্রীরা বই পড়া, নেট ব্রাউজিং এমনকি নিরাপদে ঘুমিয়ে পড়তে পারবেন। ওদিকে স্মার্ট গাড়ি তৈরির খরচ অনেক বেশি বলে ভোক্তারা এর ব্যবহারে ভয় পাবে। বর্তমানে গুগলের রাডার সম্বলিত একটি চালকবিহীন গাড়ির দাম ৮২ হাজার মার্কিন ডলার।
তারপরও স্মার্ট গাড়ি ও স্বয়ংক্রিয়ভাবে চালিত গাড়ি নিয়ে যে গবেষণা চালানো হচ্ছে, তাতে যে ইস্যুটিপ্রাধান্য পায়, সেটি হলো, যদি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে, তাহলে কাকে দায়ী করা হবে? এ ইস্যু মোকাবিলার আগে বিভিন্ন সরকারের উচিত নিজ নিজের সড়ক নিরাপত্তা আইন সংশোধন করা। চালক হিসেবে অনেকেই স্বয়ংক্রিয় গাড়ি পছন্দ করবেন। কিন্তু অনেকেই নিজের প্রাণকে পুরোপুরিভাবে কম্পিউটারের হাতে তুলে দিতে রাজি হবেন না।




