

0710ruby
|
0710ruby
|
বর্তমানে বয়স ধরে রাখার জন্য বাজারে অনেক ক্রিম, লোশন বিক্রি হয়। টেলিভিশন, পত্র-পত্রিকায় প্রচুর বিজ্ঞাপনও দেখা যায়। আর বিজ্ঞাপনে আকৃষ্ট হয়ে এসব ক্রিম, লোশন ব্যবহার করেন অনেকেই। কিন্তু এসব ব্যবহার করে সত্যিই কি ত্বকের উজ্জ্বলতা ও তারুণ্য ধরে রাখা সম্ভব ?
চীনের চর্মরোগ বিশেষজ্ঞদের মতে, সঠিক ক্রিম ব্যবহার করাটা ত্বকের জন্য কিছুটা কার্যকর। কিন্তু দীর্ঘদিন বয়স ধরের রাখার ক্ষেত্রে তা কার্যকরী নয়। কারণ, শরীরের অন্যান্য কোষের মতই ত্বকের কোষেরও আয়ু আছে। এরা বুড়িয়ে যায়, মৃত কোষে পরিণত হয় এবং আমাদের শরীর থেকে ঝরে যায়।
বয়স বেড়ে যাওয়ায় ত্বকের উজ্জ্বলতা স্বাভাবিকভাবেই কমে যেতে থাকে। ত্বকের কোলাজেন হারিয়ে যায়। সবাই হয়ত জানেন যে, যুবক যুবতীদের ত্বক অনেক বেশি মসৃণ ও টানা থাকে। পর্যাপ্ত কোলাজেন থাকার কারণে এরকম হয়। কোলাজেন হারিয়ে গেলে ত্বক বুড়িয়ে যায়। তাহলে ত্বকের বার্ধক্য মোকাবেলায় আমরা কি করতে পারি?
আপনাদের কি ঘুমের সমস্যা হয় ? এ সমস্যা না থাকলে আপনাকে অভিনন্দন। রাত জাগা হলো তরুণ ত্বকের অন্যতম শত্রু । পর্যাপ্ত ঘুম না হলে ত্বকের কোষ ভারসাম্যহীন হয়ে যায়। এতে ত্বকের পুনর্গঠন বাধাপ্রাপ্ত হয়। ও ত্বকে রাত জাগার ছাপ পড়ে ও ত্বক খুব দ্রুত বুড়িয়ে যায়।
এছাড়া প্রসাধনীর ব্যাপারেও সাবধান হওয়া চাই। ত্বকের বয়স ধরে রাখতে চাইলে অবশ্যই আপনাকে সিগারেট ও মাদক সেবন থেকে দূরে থাকতে হবে। সিগারেটের মধ্যে রয়েছে ক্ষতিকারক নিকোটিন নামক উপাদান। যা কারণে ত্বকের রক্ত সরবরাহের ধমনী, শিরা, উপশিরাকে সঙ্কুচিত করে দেয়। এজন্য যাদের সিগারেটের নেশা রয়েছে, তাদের দেখতে সিগারেট না খাওয়া লোকের তুলনায় ১০ বছর বড় মনে হয়। মদক সেবন করলে ত্বকের কোষের অনেক ক্ষতি হয়। সেজন্য মদক সেবন করা উচিত নয়। তবে এক্ষেত্রে নেশাগ্রস্ত মানুষরা কিছুটা রেড ওয়াইন পান করতে পারেন বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
ত্বক বিশেষজ্ঞরা বারবার সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন যে, রোগাক্রান্ত হলে ত্বকের টান টান ভাব এবং কোলাজেনের মারাত্মক ক্ষতি হয়। ইলাস্টিক এবং কোলাজেন ত্বককে তারুণ্যদীপ্ত রাখার জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এজন্য বাইরে বের হলে সরাসরি রোদ প্রতিরোধে বিভিন্ন ব্যবস্থা নিতে বলেন বিশেষজ্ঞরা। যেমন রোদ টুপি পরতে পারেন, ছাতা ব্যবহার করতে পারেন।
বন্ধুরা আপনারা কি পর্যাপ্ত শরীর চর্চা করেন? যাদের নিয়মিত শরীর চর্চার অভ্যাস রয়েছে, তাদের অভিনন্দন। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, নিয়মিত ও পর্যাপ্ত শরীর চর্চা করলে শরীরে রক্ত সঞ্চালন দ্রুত হয়। এতে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। একই সঙ্গে শরীর চর্চার কারণে প্রচুর ঘাম বের হয়। আর ঘামের সঙ্গে শরীর থেকে বের হয়ে যায় অনেক বর্জ্য। যার ফলে শরীরের ভারসাম্য ঠিক থাকে। এতে মানুষের ত্বক ভালো থাকে।
এছাড়া আপনার ত্বকের বয়স ধরে রাখতে প্রসাধনীর ব্যবহারও বেশ গুরুত্বপূর্ণ। তবে সেটা হতে হবে উপযুক্ত ও নির্দিষ্ট পরিমাণে। এজন্য ব্যবহার করতে হবে পেপটাইট, ভিটামিন এ ও সি, অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, আলফা ও বিটা হাইড্রোক্সি অ্যাসিড ইত্যাদি। যেগুলো ইলাস্টিন বা কোলাজেন তৈরিতে সাহায্য করে। এগুলো কোষের স্বাভাবিক মৃত্যু বা ক্ষয় প্রতিরোধ করে। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী এগুলো সঠিকভাবে ব্যবহার করা যায় বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এ উপাদানগুলো সরাসরি মাখানো দরকার নেই। সবজি ও ফল থেকে এ উপাদানগুলো পাওয়া যায়। বিশেষজ্ঞরা বেশ গুরুত্বের সঙ্গে বলছেন, ত্বকের কমনীয়তা ধরে রাখতে চাইলে ধূমপান ত্যাগ করুন। নিয়মিত ও পরিমিত পুষ্টিকর খাবার খান। খাবারে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন ও খনিজ উপাদান রাখুন। বাইরে গেলে রোদ, চশমা ও টুপি পরুন, সানস্ক্রিন ক্রিম ব্যবহার করুন।




