

0703ruby
|
জানা গেছে, গত ২৭ জুন ভোরে গুগলের এক প্রদর্শনীতে, মটো ৩৬০, এলজিজি ওয়াচ ও স্যামসাং'র গিয়ার লাইভ এ তিনটি স্মার্ট ঘড়ি প্রদর্শিত হয়। এ দিকে তাইওয়ানের সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে, অন্য এক পরিধেয় ডিভাইস সবার চোখে পড়েছে। আশা করা হচ্ছে খুব তাড়াতাড়ি প্রচলিত হয়ে উঠবে এ পণ্য। আর, সেটি হলো রানিং স্যু।
জানা গেছে, তাইওয়ানের রেনপাও ইলেক্ট্রনিকস গবেষণা গোষ্ঠীর ভাইস প্রেসিডেন্ট শেন ছুন তে জানান, তার কোম্পানি স্মার্ট রানিং স্যু'র ভবিষ্যত নিয়ে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করে। এ পণ্য পরিধেয় ডিভাইসের ক্ষেত্রে নতুন চমক হিসেবে দেখা দেবে বলে তিনি বিশ্বাস করেন। কারণ স্যু, স্মার্ট ঘড়ির তুলনায় আরও বেশি মানুষ ব্যবহার করে।
ওদিকে বাজার বিশ্লেষকরা জানান, আপেল, গুগল, নাইক ও সিয়াও মিসহ বিভিন্ন প্রযুক্তি কোম্পানি ও স্যু কোম্পানিগুলো এই স্মার্ট স্যু নিয়ে গবেষণা শুরু করেছে। এমন কি নাইক কোম্পানি এ গবেষণার কাজ তাইওয়ানের বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা দলের কাছে দায়িত্ব দিয়েছে।
নাইক কোম্পানি জানায়, নাইকের স্মার্ট স্যু'তে স্থাপতি হবে জিয়ারোস্কোপস (Gyroscopes) এবং এক্সেলারোমিটারস (accelerometers)। এগুলো দিয়ে হাঁটা বা দৌড়ের সময় গতি বাড়ানো ও সামগ্রিক কর্মকান্ডের সময় বিভিন্ন বিষয়ে সতর্ক করে দেয়া হবে। বর্তমানে দৌড়ের সময় দিক নির্দেশনা এবং ক্যালোরি গণনার ওপর গবেষকরা বেশ গভীর নজর রাখছে।
বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, স্মার্ট ঘড়িগুলো পুরাতন বা প্রচলিত ঐতিহ্যবাহী ঘড়ি পুরোপুরি পরিবর্তন করতে পারবে না। কারণ ঐতিহ্যবাহী ঘড়ির দাম এবং স্মার্ট ঘড়ির ব্যাটারির সীমাবদ্ধতার কারণে অনেক গ্রাহক একটা সময় পর স্মার্ট ঘড়ি ব্যবহার ছেড়ে দেন। যার কারণে স্মার্ট ঘড়িগুলো বেশি বিক্রি হয় না।
বাজার বিশ্লেষকরা আরও বলেন, স্মার্ট ঘড়ির তুলনায় স্মার্ট ব্রেসলেট আরও জনপ্রিয় হয়ে উঠবে। কারণ স্মার্ট ব্রেসলেট ঐতিহ্যবাহী ঘড়ির সঙ্গে পরা যায় এবং ডিজাইনের ক্ষেত্রে আরও বৈচিত্র্যময় হতে পারে।




