0703shishang
|
সুন্দর হওয়া এবং ভালো থাকার জন্য আমরা দৈনন্দিন জীবনে রূপচর্চা, চুলের যত্ন এবং শরীরচর্চা করে থাকি। নিয়মিতভাবে আরও সুন্দর করে নিজেকে গড়ে তুলতে আমরা বিভিন্ন টিপস মনে চলি।
কিন্তু সব টিপস বা পদ্ধতিগুলো কি ঠিক ? এর মাঝে কিছু কিছু রয়েছে ভুল। আসুন বন্ধুরা, আজকের অনুষ্ঠানে আমরা কিছু কিছু টিপসের সত্যতা নিয়ে পর্যালোচনা করবো।
একটি কথা খুব প্রচলিত যে, দীর্ঘ সময় ধরে এক ব্র্যান্ডের শ্যাম্পু ব্যবহার করলে তা আর কাজ করে না। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এক ব্র্যান্ডের শ্যাম্পু সব সময় ব্যবহার করতে পারবেন। তাতে কোন সমস্যা নেই। তবে তিন মাস পর পর শ্যাম্পুর ব্র্যান্ড পরিবর্তন করা ভালো।
অনেকে সন্দেহ করেন যে, চা ও কফি অতিরিক্ত পান করলে ত্বকের রং ডার্ক হয়ে যায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, এটা একেবারেই ভুল ধারণা। ত্বকের রং ডার্ক হওয়ার পেছনে চা কফির কোন সম্পর্ক নেই।
অনেকের বয়স বেশি না হলেও মাথায় কিছু কিছু সাদা চুল দেখা যায়। কিন্তু তা তুলে ফেলেন না। কারণ তাদের ধারণা, সাদা চুল তুলে ফেললে সেখান থেকে আরো সাদা চুল বের হবে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এটাও একটি ভুল ধারণা। সাদা চুল তোলার কারণে সেখানে আরও বেশি করে সাদা চুল উঠবে, এটি মোটেও ছিক কথা নয়।
অনেকে চকলেট ও তেলযুক্ত খাবার খুব পছন্দ করেন। চকলেট ও অন্যান্য তেলযুক্ত খাবার খেলে ত্বকে ব্রণ হয়। এরকম কথা নিশ্চয়ই শুনেছেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, এ কথাটি কিন্তু ঠিক। সবসময় ত্বক ও হজম উপযোগী চকলেট খাওয়া ভালো। অতিরিক্ত চকলেট ও তেলযুক্ত খাবার খেলেও ত্বকে ব্রণ হতে পারে।
অনেকের বিভিন্ন কারণে চুল পড়ে যায়। তারা ভেবে থাকেন যে, বেশি চুল আঁচড়ালে আরও বেশি চুল পড়বে। আসলে এ কথাও ঠিক নয়। চীনা ঐতিহ্যবাহী চিকিতসকের মতে, চুল পড়ে যাওয়ার সঙ্গে, তা মাথার কোষগুলোতে যথাযথভাবে রক্ত চলাচলের সঙ্গে সম্পর্কিত। প্রতিদিন বেশ কয়েকবার চুল আঁচড়ালে মাথায় রক্ত সক্রিয় থাকে। এতে বরং চুল পড়ার সম্ভাবনা কমে যায়। এবং এতে নতুন চুল গজানোর সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
জন্মের সময় বাচ্চাদের চুল কম থাকে। এমনটাই ভাবেন অনেকে। কিন্তু এ কথার কোনো যুক্তি নেই। বাচ্চার জন্মের তিন মাসের মধ্যে চুল ঘন কি-না তা মায়ের পেটে থাকার সময় গ্রহণ করা পুষ্টির ওপর নির্ভর করে। জন্ম গ্রহণের তিন মাস পর চুল ঘন হয় কি-না তা জীনের ওপর নির্ভর করে। তাই চুল বার বার কাটলে তা ঘনও হতে পারে, পাতলাও হতে পারে।
অনেকেই বলেন, শীতকালের তুলনায় গ্রীষ্মকালে চুল দ্রুত লম্বা হয়। এ কথার কোনো যুক্তি নেই। চুল কত দ্রুত ও কতটুকু লম্বা হবে তা মাথায় রক্ত সরবরাহের সক্রিয়তার ওপর নির্ভর করে।
অনেকের ত্বক খুব শুষ্ক। সেজন্য তারা মনে করেন যে, বেশি বেশি পানি পান করলে ত্বকের শুষ্কতা দূর হতে পারে। এ কথা কিছুটা সঠিক। ত্বক শুষ্ক কি না, এটাও অনেকটা জিন দিয়ে নির্ধারিত হয়। তবে বেশি বেশি পানি, শাক সবজি, পুষ্টিকর খাবার খেলে তার প্রভাব ত্বকের ওপর পড়ে। তাই আমাদের উচিত সব সময় পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার চেষ্টা করা।