0503muktarkotha
|
বন্ধুরা, আজকের প্রথম চিঠিটি লিখেছেন বাংলাদেশের নওগাঁ জেলার 'সোর্স অফ নলেজ ক্লাবের' সভাপতি খোন্দকার রফিকুল ইসলাম। তিনি লিখেছেন,
সুপ্রিয় পরিচালক, সিআরআই বাংলা বিভাগ, আমার ভক্তিপূর্ণ সশ্রদ্ধ সালাম গ্রহণ করুন। আশা করি আপনিসহ বাংলা বিভাগের সকল কলাকুশলী ভাল আছেন এবং নিজ নিজ দায়িত্বে অতি ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। আমিসহ আমার ক্লাবের সকল সদস্য নিয়মিত সিআরআই এর বাংলা অনুষ্ঠান শুনছি এবং বাংলা বিভাগের সুন্দর ও ঝকঝকে নিখুঁত ওয়েব পেইজ নিয়মিত ভিজিট করছি।
আমার শ্রোতা পরিচিতি সম্পর্কে আলোকপাত করছিঃ পেশায় আমি একজন স্কুল শিক্ষক। আমার স্কুলের প্রায় সকল শিক্ষক, ছাত্রছাত্রী, কর্মচারী, এমনকি স্কুলের আশে পাশের লোকজনের কাছে আমি 'সিআরআই ম্যান' হিসাবে পরিচিতি লাভ করেছি। কারণ হচ্ছে, আমি সিআরআই বাংলা বিভাগ কর্তৃক প্রদত্ত একটি 'টি শার্ট' পরিধান করে প্রায়ই স্কুলে যেতাম। আর এ থেকেই আমার এ বিশাল পরিচিতি লাভ। যদিও ঐ 'টি শার্ট' এখন ছিঁড়ে জরাজীর্ণ হয়ে গেছে। তারপরও বলব, ঐ 'টি শার্ট'-ই মূলত আমাকে আমার এহেন পরিচিতি লাভে দৃঢ়ভাবে সহায়তা করেছে। পরিণামে আমিও স্কুলের সকলকে সিআরআই এর উপকারের দিক, সুন্দর বাংলা অনুষ্ঠানের বিস্তারিত পরিচিতি সম্পর্কে অনেকবার আলোকপাত করেছি, বুঝিয়েছি। এখন আমার স্কুলের আশেপাশের আরো কয়েকটি স্কুলের শিক্ষক, ছাত্রছাত্রীরাও আমাকে মাঝে মধ্যে দেখতে আসে, আমার সাথে সিআরআই বাংলা বিভাগ নিয়ে আলোচনা করে। আমিও তাদের কাছে আপনাদের অনুষ্ঠানের ভাল দিক তুলে ধরি। তাদেরকে সিআরআই বাংলা বিভাগের অনুষ্ঠান শুনতে উপদেশ দেই, বাংলা ওয়েব পেইজ নিয়মিত পরিদর্শন করতে বলি। অনেকে আমাকে এ ব্যাপারে তাদের সম্মতির কথা জানায়। আজ শেষ করি। বাংলা বিভাগ তার অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছবেই এই প্রত্যাশা ব্যক্ত করে শেষ করছি।
বন্ধু খোন্দকার রফিকুল, প্রথমেই ইমেইল পাঠানোর জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আপনি দীর্ঘদিন ধরে নিয়মিতভাবে আমাদের অনুষ্ঠানের সঙ্গে আছেন এবং নিয়মিতভাবে আমাদেরকে সমর্থন করে যাচ্ছেন। পাশাপাশি আপনি অন্যদের কাছে আমাদের অনুষ্ঠান প্রচারের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এর জন্য আমরা আপনার কাছে কৃতজ্ঞ। আপনাদের উত্সাহে আমরা আরো সুন্দর ও সমৃদ্ধ অনুষ্ঠান করতে পারবো। আপনাকে আরেকবার ধন্যবাদ ।
বাংলাদেশের কুমিল্লা জেলার 'আন্তর্জাতিক বাঁধন বেতার শ্রোতা সংঘের' সভাপতি মোঃ সোহাগ বেপারী চিঠিতে লিখেছেন,
ভাইয়া ও আপু, এই জোসনা রাতে ডাকাতিয়া নদীর তীরে ফুটে থাকা গন্ধরাজ ফুলের শুভেচ্ছা নিবেন। আমার এই চলার জীবনে জ্ঞান ও বিনোদনের সঙ্গী হিসাবে সিআরআইকে পেয়ে আমি ধন্য, আমি আনন্দিত। তাইতো শত ব্যস্ত থেকেও প্রতিদিন 'শ্রোতা সংঘের' সবাইকে নিয়ে ডাকাতিয়া নদীর পাড়ে বসে মিলন মেলা সাজিয়ে আপনাদের সুরেলা কণ্ঠে সিআরআই শুনে থাকি। সুদূর চীন থেকে ইথারে ইথারে ভেসে আসে সিআরআই এর প্রতিধ্বনি। তখন গ্রাম বাংলার প্রতিটি ঘরে আপনাদের সুরেলা কণ্ঠে এক সুরে বেজে উঠে সিআরআই সূচক ধ্বনি। যা শুনে প্রাণটা জুড়িয়ে যায়। আমার অনুরোধ শ্রোতাদের ভালবেসে শ্রোতাদের চিঠির গুরুত্ব দেয়া হোক। আপনাদের কণ্ঠে যখন নিজের লেখা চিঠি বা ইমেইলের জবাব পাই তখন মনে হয় এটাই সবচেয়ে বড় পুরস্কার। তাই 'মুক্তার কথা' পুরো ৩০ মিনিট প্রচার করা হোক আর 'মুক্তার কথায়' যেন কোনো গান বাজানো না হয়। গান প্রচারের জন্য আলাদা 'সুরের ধারা অনুষ্ঠান' আছে। আমি মনে করি 'মুক্তার কথায়' গান না বাজালে আরো ২ থেকে ৩ টি চিঠির জবাব বেশি দেয়া যাবে।
বন্ধু সোহাগ বেপারী, আপনার চিঠি আমাকে মুগ্ধ করেছে। মতামত দেয়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ । আমি অবশ্যই আপনার মতামত বিবেচনা করবো। আপনাকে আবারো ধন্যবাদ।
বাংলাদেশের রাজশাহী জেলার মোঃ উজ্জল হোসেন ইমেইলে লিখেছেন, কিছু দিন হয়ে গেল আপনাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারিনি। কারণ বাড়িতে মা-বাবা গুরুতর অসুস্থ এবং M.A ১ম বিভাগে পাশ করার পর BCS পড়াশোনা চলছে, প্রচুর পরিশ্রমের সাথে মহান আল্লাহর অশেষ মেহেরবানী ও দয়া এবং সকলের দোয়ায় একটু সুস্থ তাঁরা। মা-বাবার এক মাত্র পুত্র সন্তান আমি ছাড়া কেউ তাঁদের সেবা করার নেই যে। আমার যাদের সাথে বেশ কিছুদিন যাবত যোগাযোগ চলছে তাঁরাও তো আমার কোন খোঁজ খবর নেয় নি। এরই মাঝেও CRIএর অনুষ্ঠান প্রায়ই শুনে চলেছি। আমার মা বাবার জন্য দোয়া করবেন। আমি দুঃখিত চিঠি লিখতে পারিনি।
বন্ধু উজ্জল হোসেন, চিঠি লেখার জন্য ধন্যবাদ । আমি আশা করি, আপনার মা-বাবা এখন পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠেছেন এবং আপনিও অনেক ভাল আছেন । সময় পেলে আমাদেরকে চিঠি লিখবেন, এই প্রত্যাশায় রইলাম।
বাংলাদেশের নওগাঁ জেলার 'সোনালী বাঁধন ফ্যান ক্লাবের' সভাপতি মোছাঃ শাহনওয়াজ পারভীন ইমেইলে লিখেছেন, এখানে আমিসহ আমার ক্লাবের সকল সদস্য মঙ্গল মতই আছেন। সেই হাঁটি হাঁটি পা পা করে সেই দিনের রেডিও পিকিং থেকে আজকের চীন আন্তর্জাতিক বেতার। মাঝে অনেক চড়াই উত্রাই পার হয়ে আজকের পঁয়তাল্লিশ বছরে সিআরআই তার অভীষ্ট লক্ষ্যে অনেকটাই এগিয়ে গেছে। দোয়া ও কামনা রইল, সিআরআই আরো বিপুল শ্রোতা সমর্থিত হয়ে সামনের দিকে তার অভীষ্ট মিশনে বীরদর্পে এগিয়ে যাবে। আমার জানা মতে, এত বিপুল শ্রোতা সমর্থন আর শ্রোতাদের প্রতি একটি আন্তর্জাতিক বেতারের এত নিগূঢ় সমর্থন সত্যিই বর্তমান বিশ্বে বিরল। এ ছাড়া সিআরআই বাংলা বিভাগ যেভাবে শ্রোতাদের উদ্দেশ্যে তার নিয়মিত অনুষ্ঠানগুলোর মাধ্যমে কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে যাচ্ছে, আমার মতে, এতেও শ্রোতারা ক্রমেই তাদের সম্মিলিত সমর্থন সিআরআই বাংলা বিভাগের প্রতি নিবদ্ধ করছে। এটি সিআরআই বাংলা বিভাগের একটি অনন্য ও সাহসী পদক্ষেপ বা সিদ্ধান্ত বলে দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি। আমার মতে, বাংলা বিশ্ব সংবাদের সময় আরো বাড়ানো প্রয়োজন। প্রয়োজন চিঠিপত্রের আসর 'মুক্তার কথা' সপ্তাহে এক দিনের জায়গায় দুই দিন করা। যাতে করে প্রতি সপ্তাহে আরো বেশি সংখ্যক শ্রোতা বন্ধুদের চিঠির জবাব দেওয়া সম্ভব হয়। এই মতামতটি ভেবে দেখতে অনুরোধ করছি। টেলি কনফারেন্স অনুষ্ঠান প্রতি দুই বা তিন মাস পর পর একবার প্রচার করা উচিত। মনে রাখবেন, অনেক শ্রোতা আছেন যারা মনে করেন তাদের সাক্ষাত্কার গ্রহণ করে সিআরআই বাংলা বিভাগ নিয়মিতভাবে প্রচার করবেন। তাই টেলি কনফারেন্স অনুষ্ঠান আমার ধারণায় প্রতি তিন মাস পর পর প্রচার হওয়া উচিত। বিষয়টি বেশ গুরুত্বপূর্ণ, তাই তা ভেবে দেখবেন কেমন। সংগীত অনুষ্ঠানগুলোতে বাংলাদেশের রবীন্দ্র সংগীত, নজরুল সংগীত, পল্লী গীতি, ভাওয়াইয়া, মেঠোসুর, আধুনিক গান, বাংলাদেশের পুরাতন চলচ্চিত্রের গান-এসবই নিয়মিতভাবে প্রচার হওয়া উচিত। সাথে সাথে একই ধরনের অন্যান্য দেশ, এমনকি চীনা বিভিন্ন ধরনের অনেক গানই নিয়মিতভাবে প্রচার হওয়া উচিত। মতামতটি ভেবে দেখবেন আশা রাখি। আজ শেষ করি। আবার পত্র দিব।
বন্ধু পারভীন, আপনার মতামত শুনেই বুঝতে পারছি আপনি সিআরআইকে কতটা ভালবাসেন। সত্যিই মতামত প্রদানের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ । আপনার মতামত আমরা অবশ্যই বিবেচনা করবো। আশা করি, আপনি অব্যাহতভাবে আমাদেরকে আপনার মতামত এবং পরামর্শ জানাবেন ।
বাংলাদেশের নওগাঁ জেলার 'সোর্স অফ নলেজ ক্লাবের' প্রেসিডেন্ট খোন্দকার রফিকুল ইসলাম একটি খুবই সুন্দর এবং লম্বা রচনা লিখেছেন। তিনি আশা করেন যে, আমাদের এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তাঁর এ রচনাটি তিনি শুনতে পারবেন।
এখন আমি আপনাদেরকে তাঁর সেই বিশাল রচনা পড়ে শোনাচ্ছি। তিনি লিখেছেন,
আমার নাম খোন্দকার রফিকুল ইসলাম। এখন আমার বয়স ৪৫বছর। আমি গত ১৯৮৬ সাল থেকে আপনাদের বাংলা অনুষ্ঠান শুনা শুরু করেছি। নিয়মিতভাবে তা অব্যাহত রেখেছি। প্রতিজ্ঞা করেছি, জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত আমি সিআরআই বাংলা অনুষ্ঠান রেডিওতে শুনব এবং বাংলা ওয়েব পেইজ নিয়মিতভাবে ভিজিট করে যাব। আমি বিবাহিত। স্ত্রী শাহনওয়াজ পারভীন। তাঁর বয়স ৩২বছর। আমাদের ১০বছরের এক ছেলে আছে। আমি একটি শ্রোতা ক্লাবের সভাপতি। ক্লাবঃ সোর্স অফ নলেজ ক্লাব। প্রথমে মাত্র পনের জন সদস্য নিয়ে ক্লাবটির যাত্রা শুরু করি। প্রতিষ্ঠার তারিখ পনের জানুয়ারি ২০০০। এখন ক্লাবের মোট সদস্য ২১৫জন। এদের কেউ কেউ ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, উকিল, ব্যবসায়ী. কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। প্রতি সপ্তাহের শুক্রবার বিকেলে আমরা সকল সদস্য ক্লাব মাঠে জমায়েত হই। সেখানে আপনাদের বাংলা অনুষ্ঠান নিয়ে খুঁটিনাটি চুলচেরা আলোচনা করা হয়। সেখানে আপনাদের অনুষ্ঠানগুলোর ভাল ও মন্দ উভয় দিকই আলোচিত হয়। তারপরও আপনাদের সকল অনুষ্ঠানেরই ভূয়সী প্রশংসা করা হয়। আপনাদের অনুষ্ঠানের অপরিহার্যতা ইতোমধ্যে আমার আত্নীয় মহল, বন্ধু সার্কেল, প্রতিবেশী সবার মাঝে নিয়মিতভাবে আলোচনা করি। এক্ষেত্রে আমি এবং আমার ক্লাবের সদস্যরা নিরলসভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। সফলতাও বেশ, তা জোড় গলায় বলতে পারি। প্রতি বছর একবার বাত্সরিকভাবে আমাদের ক্লাবের পক্ষ থেকে একটি DXগাইড প্রকাশ করা হয়। পত্রিকাটির প্রতিটি সংখ্যায় সিআরআই বাংলা বিভাগকে অধিক গুরুত্ব দেয়া হয়। ক্লাবের পক্ষ থেকে বাত্সরিকভাবে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এই অনুষ্ঠানে পুরস্কার বিতরণ করেন স্থানীয় বেশ কিছু আমন্ত্রিত গণ্যমান্য ব্যক্তি। ক্লাবের পক্ষ থেকে এলাকার দরিদ্র ব্যক্তিদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়। এ ছাড়া, এলাকার বয়স্ক ব্যক্তিদের বিনামূল্যে অক্ষর জ্ঞান শিক্ষা দেয়া হয়। এতে আমি প্রধান ট্রেইনারের দায়িত্ব পালন করি। সর্বপ্রথম আপনাদের কাছে আমি লিখিত আকারে যে পত্র পাঠাই, ঠিক তার দুই মাস পর আপনাদের কাছ থেকে জবাব পাই। আপনাদের পক্ষ থেকে পাঠানো একটি খামে ছিল অনুষ্ঠানসূচী, কয়েকটি চীনা পেপার কাট, একটি স্টিকার ইত্যাদি। উপহার প্যাকেটটি যদিও ছোট ছিল, তারপরেও তা আমার স্মৃতিপটে ঠিকই স্থান করে নিয়েছিল। খামটি যখন হাতে পাই, তখন আমার বাড়িতে আনন্দের বন্যা বয়ে যায়। এক এক করে আমি পরিবারের সকল সদস্যকেই আপনাদের পাঠানো প্রথম উপহার স্মারক দ্রব্যগুলো দেখাই। সবাই এতে খুব প্রশংসা করে এবং আমাকে নিয়মিতভাবে আপনাদের সাথে পত্রালাপ অব্যাহত রাখার কথা বলে। আমি বিষয়টিকে গুরুত্বের সাথে নেই। সেই থেকে আজ অবধি আপনাদের সাথে আমার নিরন্তর পথ চলা অব্যাহত রয়েছে। যখনই আমি আপনাদের বাংলা অনুষ্ঠান শুনি, আমি অনুভব করি, আমি সিআরআই বাংলা বিভাগের একজন প্রকৃত শ্রোতা। আমি মনে করি, সিআরআই বাংলা বিভাগ সকল শ্রেণীর শ্রোতাদের জন্যই খুবই প্রয়োজনীয়। কারণ বাংলা বিভাগ সর্বদা অধিক আকর্ষণীয়, তথ্যবহুল, উপভোগ্য, শিক্ষণীয় ও বিনোদনধর্মী অনুষ্ঠানমালা প্রচার করে থাকে। সিআরআই বাংলা বিভাগ নিয়মিতভাবে শ্রোতাদের জন্য বিভিন্ন ধরনের কুইজের আয়োজন করে। এইসব কুইজের বিজয়ীদের ভাল মানের উপহার প্রদান করে থাকে। অন্যান্য বেতার কেন্দ্র এ ধরনের নিয়মিত প্রতিযোগিতার আয়োজন করে না। সিআরআই বাংলা বিভাগকে ভাল লাগার এটি একটি মুখ্য কারণ। কারণ বাংলা বিভাগের সম্প্রচার শক্তি খুবই শক্তিশালী এবং আপনারা শ্রোতাদের মতামতকে সবসময় অধিক গুরুত্ব দিয়ে থাকেন। আপনাদেরকে ভাল লাগে আর যে কারণে তা হলো আপনারা সর্বদা সত্য বলেন, সততা ও পুরোপুরি নিরপেক্ষতার সাথে অনুষ্ঠান প্রচার করে থাকেন। আমি কয়েকটি দেশের বাংলা অনুষ্ঠান শুনলেও তা থেকে সিআরআই বাংলা বিভাগের মত ততটা তৃপ্ত হতে পারি না। প্রার্থনা রইল, সিআরআই দীর্ঘজীবি হোক, এগিয়ে যাক দীপ্ত পদক্ষেপে। আমার জীবনের শেষ লগ্ন পর্যন্ত সিআরআই বাংলা বিভাগের অনুষ্ঠান শুনে যাবার প্রতিজ্ঞা করছি। আজ বিদায় চাই।
বন্ধু খোন্দকার রফিকুল ইসলাম, আপনার চিঠি পড়ে আমি মুগ্ধ, অভিভূত । আপনি সিআরআইকে এত ভালবাসেন। আমরা আপনার কাছে অনেক অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
আপনার এ রচনা আসলে আরো লম্বা। কিন্তু আমাদের অনুষ্ঠানের সময় খুব কম । আপনাকে রচনা লেখার জন্য ধন্যবাদ । আমরা আপনার পুরো রচনা 'মুক্তার কথা' ওয়েবপেইজে দিবো। আশা করি, শ্রোতারা 'মুক্তার কথা' ওয়েবপেইজে তা দেখতে পাবেন।
গান
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার হামিম হোসেন মণ্ডল (বুলবুল) একটি স্ব-রচিত কবিতা পাঠিয়েছেন।
আচ্ছা, তাহলে আমি এখন শ্রোতাদেরকে আবৃত্তি করে শোনাচ্ছি।
....
বন্ধু হামিম হোসেন মণ্ডল (বুলবুল), আপনি অনেক সুন্দর লিখেছেন । কবিতা পাঠানোর জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ।
প্রিয় শ্রোতা, এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য আপনাদের সবাইকে জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনারা সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন এবং শুনতে থাকুন চীন আন্তর্জাতিক বেতারের বাংলা অনুষ্ঠান। আর হ্যা, আমাদের চিঠি লিখতে ভুলবেন না। আমাদের ই-মেইল ঠিকানা হচ্ছে ben@cri.com.cn এবং আমার নিজস্ব ইমেইল ঠিকানা হল caiyue@cri.com.cn। 'মুক্তার কথা' অনুষ্ঠান সম্পর্কিত ইমেইল আমার নিজস্ব ইমেইল ঠিকানায় পাঠালে ভালো হয়। আজ তাহলে এ পর্যন্তই। আশা করি, আগামী সপ্তাহের একই দিনে, একই সময়ে আবার আপনাদের সঙ্গে কথা হবে। ততোক্ষণ সবাই ভালো থাকুন, আনন্দে থাকুন। (ছাই)