Web bengali.cri.cn   
বাংলায় গল্প,আমাদের গল্প-০৬১৪
  2014-06-16 20:42:19  cri

বাংলায় গল্প,আমাদের গল্প-০৬১৪

ট: প্রিয় শ্রোতা, da jiahao! পেইচিং থেকে প্রচারিত চীন আন্তর্জাতিক বেতারের বাংলা অনুষ্ঠানে সবাইকে স্বাগতম। গত সপ্তাহের মতো আজও আপনারা শুনবেন 'বাংলায় গল্প,আমাদের গল্প'। আর এ অনুষ্ঠানে আপনাদের সঙ্গে আছি আপনাদেরই বন্ধু আমি এনামুল হক টুটুল এবং আমি শিয়েনেন আকাশ।

ক: বন্ধুরা, কেমন আছেন আপনারা? আশা করি অনেক ভালো। টুটুল, তুমি জানো, আজকে আমি আবারও খুব ক্লান্ত, মনে হয় আমার জীবনের ডাকনাম হচ্ছে ক্লান্ত।

ট: হাহা ভাইয়া, গত সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চীন সফর করেছেন, এজন্য তুমি খুবই ব্যস্ত ছিলে, তাইনা?

আমি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তোমার ছবি দেখেছি। তোমার জন্য আমি খুবই গর্বিত ভাইয়া!!

বন্ধুরা, এবার আমি এ সম্পর্কিত বাংলাদেশের খবর আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।

ক: ভাইয়া, আসলে এবারই প্রথম আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সংগে এতটা ঘনিষ্ঠভাবে কথা বলেছি। তাঁর সাথে কথা বলে আমি খুবই মুগ্ধ হয়েছি। তিনি খুবই ভাল মানুষ। অনেক দিন আমি এতবেশি বাংলাদেশি একসাথে দেখিনি,এতদিন আমি পাঞ্জাবিও পড়িনি। মনে হয় বাসায় ফিরে আসার মতো, অনেক দিন পর আত্মীয়স্বজনের সাথে আমার মিলনের মতো। সত্যি আমি অনেক আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিলাম।

ট: ভাইয়া, তুমি মনে মনে বাংলাদেশকে ধারণ করো, তোমাকে অবশ্যই বাংলাদেশে ফিরে যেতে হবে!

ক:হ্যাঁ। অবশ্যই। আমি ভারতেও যেতে চাই, দেবাশীষ ভাইকেও দেখেতে চাই।

ট: হাহা। আমিও ! বন্ধুরা, এখন আমরা একটি চীনা গান শুনব, তারপর একটি খুবই এক্সাইটেড বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো।

ক: কি?

ট: এখন বলবো না, পরে বলবো।

ক: দুষ্ট ছেলে। বন্ধুরা, এখন শুনবো একটি 'স্বদেশ কাতর' গান। আর এ গানটির নাম হচ্ছে 'আমার জন্মস্থানের মেঘ'

(song)

ক: ভাইয়া, আজকে যদিও আমি খুব ক্লান্ত, তারপরও আমি খুব এক্সাইটেড এবং সুখী।

ট: হাহা আমিও ! আমার সবচেয়ে পছন্দের উত্সব শুরু হয়েছে। তুমি জানো সেটা কি? সেটা হলো বিশ্বকাপ ফুটবল। বন্ধুরা, এবার আমরা বিভিন্ন তথ্য মাধ্যমের বিশ্বকাপ সংশ্লিষ্ট একটি খবর শুনবো, কেমন?

অলিম্পিকের মতো ঘটা করে উদ্বোধনের চল নেই ফুটবল বিশ্বকাপে। আরেনা দে সাও পাওলোতে বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় রাত সোয়া ১২টায় শুরু হওয়া এই আয়োজন তাই খুব দ্রুতই ফুরিয়ে গেল। প্রায় ২৫ মিনিটের এই অনুষ্ঠানে প্রয়াস ছিল ব্রাজিলের ঐতিহ্য ফুটিয়ে তোলার।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের চেয়ে অবশ্য স্বাগতিক দর্শকদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ স্কলারি-নেইমারদের 'হেক্সা' মানে ষষ্ঠবারের মতো বিশ্বকাপ জয়ের অভিযান। তার আগে একই মাঠে বিশ্ববাসীর সাক্ষাৎ ঘটলো ব্রাজিলের ইতিহাস আর ঐতিহ্যের সঙ্গে। প্রকৃতি, মানুষ আর ফুটবলের মাঝের বন্ধনকেই সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ফুটিয়ে ধরা হলো।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে না আসার ঘোষণা দিয়েছিলেন পপ তারকা জেনিফার লোপেজ। পরে অবশ্য মত পরিবর্তন করেছিলেন। নাটকীয়ভাবেই স্টেডিয়ামের মাঝখানের মঞ্চ ফুড়ে বের হলেন তিনি। পিটবুল আর ব্রাজিলিয়ান শিল্পী ক্লাওজিয়া লেইতের সঙ্গে গাইলেন বিশ্বকাপের গান ওলে ওলা (উই আর ওয়ান) । তখন মনে হলো, অবশেষে দুয়ারে এসে দাঁড়িয়েছে ব্রাজিল বিশ্বকাপ ২০১৪।

তবে বিশ্বকাপের মূল সূচনাটা হয়েছে বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় রাত ২টায় ব্রাজিল-ক্রোয়েশিয়া ম্যাচ দিয়েই।

বিশ্বকাপের আয়োজক কমিটির কর্তারা সব সময়ই বলে এসেছেন সময় মতো সব আয়োজন পূর্ণ হবে। তবে গত এক বছর ধরেই বিশ্বকাপ বিরোধী আন্দোলন, স্টেডিয়াম নির্মাণে বারবার ফিফার দেয়া সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়া, অবকাঠামোগত অন্য আরো অনেক শর্ত পূরণ না হওয়া - এসব সংশয় সবাইকে চিন্তিত করেছে একের পর এক।

ব্রাজিল সরকার আর বিশ্বকাপ আয়োজকদের প্রতিশ্রুতির অনেক অবকাঠামো ও প্রকল্প শেষে আর আলোর মুখ দেখেনি। শেষে বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা আয়োজকদের বলেছে, আর কিছু না হোক, স্টেডিয়ামগুলো উদ্বোধনী ম্যাচের আগে শেষ হলেই চলবে।

শেষ পর্যন্ত উদ্বোধনী ম্যাচের শহর সাও পাওলোতে মেট্রোকর্মী আন্দোলন থেমে গেছে। বেতন বাড়ানো ও সহকর্মীদের উপর মামলা উঠিয়ে নেয়ার দাবিতে বৃহস্পতিবারও ধর্মঘটের হুমকি দিয়েছিল তারা। তবে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনার পর স্থগিত হয়েছে তা। ব্রাজিলের সবচেয়ে বড় শহরের বিশ্বকাপের ভেন্যু আরেনা দে সাও পাওলো স্টেডিয়ামে ব্রাজিল-ক্রোয়েশিয়া উদ্বোধনী ম্যাচটি দেখতে যেতে আর কোনো সমস্যাই হয়নি সমর্থকদের।

অবশ্য উদ্বোধনের দিনও সাওপাওলোর একটি অংশে পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ হয়েছে।

এখন সংশয়ের মেঘ কেটে যাওয়ার পর ব্রাজিলের আকাশে ধরা পড়ছে নানান রঙের স্বপ্ন। ছোট থেকে বড়-স্বপ্ন দেখছে ব্রাজিল বিশ্বকাপের ৩২টি দলই। কারও ইতিহাস গড়ার স্বপ্ন, কারও আবার নিজের আলোয় বিশ্বকাপকে রাঙিয়ে দেয়ার স্বপ্ন।

ব্রাজিলের দুরন্ত সূচনা

বৃহস্পতিবার আরেনা সাও পাওলোতে ম্যাচের প্রথমার্ধে মন ভরানো ফুটবলই খেলেছে লুইস ফেলিপে স্কলারির ব্রাজিল। ড্র হওয়ার পর থেকেই নেইমারকে ঠেকানোর পরিকল্পনা এঁটেছিল ক্রোয়েশিয়া। কিন্তু কাজ হয়নি, বরং তার জাদুকরী ফুটবলেই সমতা ফেরায় পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নরা।

পঞ্চম মিনিটেই প্রথম সুযোগটি তৈরি করে ব্রাজিল। মার্সেলোর ফ্রিকিক থেকে সুবিধাজনক জায়গায় বল পেয়েছিলেন দাভিদ লুইস। কিন্তু ঠিক ভাবে হেড নিতে পারেননি তিনি। দুই মিনিট পর ইভিচা অলিচের হেড লক্ষ্যভ্রষ্ট হলে বেঁচে যায় ব্রাজিল।

১১তম মিনিটে দুর্ভাগ্যজনক এক গোলে পিছিয়ে পড়ে ব্রাজিল। বাঁদিক থেকে আসা একটি ফ্লিক জালে পাঠানোর চেষ্টা করেছিলেন অলিচ। তার পেছনে থাকা মার্সেলোর পা লেগে জুলিও সেজারকে ফাঁকি দিয়ে জালে জড়ালে এগিয়ে যায় ক্রোয়েশিয়া।

২১তম মিনিটে নেইমারের ক্রস কোনোমতে ঠেকিয়ে দেন ক্রোয়েশিয়ার গোলরক্ষক স্তিপে প্লেতিকোসা। কিন্তু ঠিক মতো বিপদমুক্ত করতে পারেননি, বল পেয়ে যান অস্কার। তবে চেলসি তারকার জোরালো শট ডান দিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে ঠেকিয়ে দেন প্লেতিকোসা। কিছুক্ষণ পরই অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয় হাল্কের একটি শট।

২৭তম মিনিটে হলুদ কার্ড পান নেইমার। কার্ডটা যেন আরো তাতিয়ে দেয় বার্সেলোনা তারকাকে। দুই মিনিট পরেই প্রায় ২৩ গজ দূর থেকে গোল করে খেলায় সমতা আনেন তিনি।

বল নিয়ে কয়েক পা এগিয়ে নিখুঁত শটে বল জালে পাঠান বার্সেলোনা তারকা। বাঁ দিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে ঠেকানোর চেষ্টা করেছিলেন প্লেতিকোসা কিন্তু কোনো কাজ হয়নি। বারে লেগে জালে জড়ালে উল্লাসে মেতে উঠে পুরো স্টেডিয়াম।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে হঠাত করেই যেন ছন্দ পতন ঘটে খেলার। পরিস্কার কোনো সুযোগ তৈরি করতে পারছিল না কেউই। তার মধ্যেই ৬৯তম মিনিটে রেফারি ইয়ুইচি নিশিমোরার 'বিতর্কিত' সিদ্ধান্তে সুযোগটি আসে ব্রাজিলের সামনে।

ডি বক্সে লোভের্নের আলতো ধাক্কাতেই পড়ে যান ফ্রেড। ক্রোয়েশিয়ার ডিফেন্ডারকে হলুদ কার্ড আর পেনাল্টির সিদ্ধান্ত দিতে দেরি করেননি রেফারি।

সরাসরি পেনাল্টি শট না নিয়ে একটু নাটকীয়তা করেছিলেন নেইমার। কিন্তু বিভ্রান্ত হননি প্লেতিকোসা। ডান দিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে বরে হাতও লাগিয়েছিলেন। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি, বল চলে যায় জালে।

মিনিট দুয়েক পরে সমতা ফেরানোর দারুণ একটি সুযোগ হাত ছাড়া হয়ে যায় ক্রোয়েশিয়ার। কর্নারের বিনিময়ে দলকে রক্ষা করেন সিলভা।

এরপর মরিয়া হয়ে উঠে নিকো কোভাচের শিষ্যরা। ব্রাজিলের শক্তিশালী রক্ষণভাগ ভেঙে গোল করার মতো সুযোগও তৈরি করেছিল তারা। কিন্তু জুলিও সেজারকে পরাস্ত করা সম্ভব হয়নি। শেষ ৫ মিনিটে অন্তত দুবার দলকে বিপদ থেকে রক্ষা করেন এই অভিজ্ঞ গোলরক্ষক।

নির্ধারিত সময়ের শেষ মিনিটে সেজার ও লুইস দারুণ দুটি প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে দেয়ার পরের মিনিটে ব্রাজিলের জয় নিশ্চিত করা গোলটি আসে অস্কারের পা থেকে। দুই ডিফেন্ডারকে ফাঁকি দিয়ে বার ঘেঁষে অসাধারণ এক শটে বল জালে জড়ান এই মিডফিল্ডার।

শেষ পর্যন্ত হেরে গেলেও সমান তালেই লড়েছে ক্রোয়েশিয়া। চোটের কারণে মারিও মানজুকিচের মতো স্ট্রাইকারকে না পেলেও প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী আক্রমণাত্মক ফুটবলই খেলেছে এক আসর পর বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্বে ফেরা দেশটি।

ক: হাহা! ভাইয়া, খুবই জোস,খুবই সুয়াং!! আমি এ বিশ্বকাপ ফুটবলের জন্য ৪ বছর অপেক্ষা করেছি। অবশেষে আমার অপেক্ষা শেষ হয়েছে।

ট:হ্যাঁ। এটা পরোটা খাওয়ার চেয়েও ১০০ গুণ জোস!!

ক: না ভাইয়া, তুমি মিথ্যা কথা বলছো, আসলে শুধু ৫০ গুণ!

ট:হাহা। বন্ধুরা,এখন আমি আমার বিশ্বকাপ ফুটবল দেখার কিছু গল্প আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চাই। আমি যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলাম তখন বিশ্বকাপ দেখা আমাদের জন্য ছিল সত্যিই একটি উত্সবের মতো। বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলো থেকে শুরু করে টিএসসিতে বিশাল পর্দায় খেলা দেখার ব্যবস্থা করা হতো। মনে হতো বিশ্বকাপটা যেন আমাদের বাংলাদেশেই অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছোট ভাই ব্রাজিলের সাপোর্টার ছিল। এক ম্যাচে ব্রাজিল হেরে যাবার পর সে রীতিমতো কান্নাকাটি শুরু করে দিল। তখন আর কি করা, আমরা কোনোভাবেই তার কান্না থামাতে পারছিনা, শেষে সবাই মিলে তাকে সান্ত্বনা দেয়া শুরু করলাম আর বললাম এবারের বিশ্বকাপ মানে ২০১৪ সালের বিশ্বকাপে ব্রাজিল অবশ্যই চ্যাম্পিয়ন হবে। তারপর সে কান্না থামালো। এবার সেতো আর আমাকে পাবেনা,কারণ আমি তো তার কাছ থেকে অনেক দূরে।

ক: হাহা,ভাইয়া, প্রত্যেক মানুষের মনেই একটি বিশ্বকাপ আছে! আমারও বিশ্বকাপের সবচেয়ে প্রিয় মুহূর্ত হলো বিশ্ববিদ্যালয়ের ডরমেটরিতে সবাই একসাথে মিলে যখন বিশ্বকাপ দেখতাম। সারারাত আনন্দ, হৈ হৈ হুল্লো করে সবাই খেলা দেখতাম। সবাই অনেক মজা করেছি, সবাই অনেক এক্সাইটেড থাকতাম, খারাপ কথা বলতাম। উফ! খুব খুবই জোস, অবিস্মরণীয়!! এসব স্মৃতি কখনই ভুলতে পারবোনা।

এখন আমরা সবাই বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় আছি,

কিন্তু আবার হয়তো সবাই এক সময় উঠে বিশ্বকাপ দেখছে! এটা ইতোমধ্যে আমার প্রাণের একটি অংশ হয়ে গেছে।

টা: সেটা অবশ্যই ভাইয়া! আচ্ছা, এবারের বিশ্বকাপে তুমি কোন টিম সমর্থন করছো?

ক: জাপান, তুমি?

ট: স্পেন। তোমার মতে কোন টিম এবারের বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হবে‍!

ক: আর্জেন্টিনা, আর্জেন্টিনা, আর্জেন্টিনা। আমি চিরকালই বলবো আর্জেন্টিনা।

ট:হাহা ! ভাইয়া, আমি ভাবছি এটা অসম্ভব!

ক: ভালবাসা আছে তো! ফুটবল হলো গোলাকার, তাই কোনো কিছু্ই অসম্ভব নয়।

ট: আমার মতে, অবশ্যই স্পেন এবারও চ্যাম্পিয়ন হবে। কারণ বিশ্বের সবচেয়ে নামীদামী বিখ্যাত সব খেলোয়াড়রা হচ্ছে স্পেনের এবং এখন সবাই মারাত্মক ফর্মে আছেন। জাভি, ইনিয়েস্তা, রামোস, ফ্যাব্রিগাস, ক্যাসিয়াস, পিকে, সবাই এখন রীতিমতো ফর্মে। তাছাড়া, স্পেন একটি ব্যালান্সড টিম। এদেরকে হারানো সত্যিই অনেক কঠিন।

ক:আচ্ছা! যখন বিশ্বকাপ ফুটবলের কথা বলি, তখন আমার সব রক্ত গরম হয় যায়!

ট:তাতে কোনো সমস্যা নেই, মাথা গরম না হলেই চলবে।

ক: মাথা গরম হলেও সমস্যা নেই। আমরা ভাল ছেলে,খারাপ কাজ করবো না!

ট: তাহলে কি করবো!

ক: আমরা একটি এক্সাইটিং গান শুনবো। গানের নাম হচ্ছে 'আমার ভবিষ্যত একটি স্বপ্ন নয়'। MY future is not a dream. তারপর আমরা আবার আমাদের পুরনো বন্ধু দেবাশীষ ভাইয়ের বাসায় যাবো, কেমন?

ট:হাহা! বন্ধুরা, তাহলে প্রথমেই আমরা গানটি শুনবো।

গান:

ক: এখন আমরা আমাদের তৃতীয় হোস্ট দেবাশীষ ভাইকে আন্তরিক ও উষ্ণতার সাথে স্বাগত জানাই।

ট: হাহা, বন্ধুরা, আপনারা আমাদের বেশি বেশি চিঠি লিখবেন। আপনারা সবাই আমাদের হোস্ট। দেবাশীষ ভাই তার চিঠিতে লিখেছেন :

ট:

ক: দেবাশীষ ভাই, আমাদের প্রতিটি অনুষ্ঠানের আগে আমি টুটুলকে জিজ্ঞাস করি, দেবাশীষ ভাই আমাদের চিঠি লিখেছেন কিনা? আমাকে তুমি দেবাশীষ ভাইয়ের চিঠি দাও। আপনার চিঠির জন্য অপেক্ষা এবং আপনার চিঠি পড়া সত্যিই আমাদের জন্য অনেক সুখের এবং আনন্দের ।

ট: হ্যাঁ। দেবাশীষ ভাইসহ অন্য শ্রোতাদের চিঠির জন্য আমারা সবসময় অপেক্ষা করি। আপনারা দূরে থাকলেও মনে হয় আপনারা আমাদের কাছেই আছেন। আমরা সবসময় আপনাদেরকে মিস করি। আপনাদের মনের কথা জানিয়ে আমাদের কাছে চিঠি লিখবেন প্লিজ।

ক: বন্ধুরা, দেবাশীষ ভাই চিঠির শেষে বাবা-মার কথা লিখেছেন। এটি সত্যি আবারও আমার মনকে ছুঁয়ে গেছে। এ জীবনে, এ বিশ্বে ভালবাসা ছাড়া আমরা কি বাঁচতে পারবো? অবশ্যই না। বাবা-মার ভালবাসা, বৌ, ছেলেমেয়ে, বন্ধু-বান্ধবের ভালবাসা হচ্ছে আমাদের সুখ এবং শক্তি।

ট: ভালবাসা না থাকলে আসলে জীবনটা একেবারেই অর্থহীন মনে হয়। ভালবাসা আছে বলেই আমরা পৃথিবীতে বেঁচে থাকার অনুপ্রেরণা পাই। ভালবাসা আছে বলেই আমরা স্বপ্ন দেখতে পারি। নি:শব্দে, নীরবে ভালবাসা আমাদেরকে সামনে এগিয়ে যেতে সাহস জোগায়।বন্ধুরা,প্লিজ সবসময় ভালবাসাকে ধরে রাখবেন, প্রতারণা করবেন না। জীবন খুব ছোট, তাই যতদিন বাঁচবো, ভালবাসাকে মনে ধারণ করেই বাঁচবো। সে দু:খ দিলেও দোয়া করবো সে যেন সুখে থাকে, ভাল থাকে; সবসময়, আজীবন, চিরদিনের জন্য।

ক: ভাইয়া, আজকে সকালে আমি মোবাইলে খুবই হৃদয় স্পর্শী ভালবাসার একটি গান শুনেছি।গানটি শোনার সময় চোখ দিয়ে পানি বের হয়েছে। এখন আমি এ গানটি আমাদের সব ভাইবোনকে বিশেষ করে তোমাকে এবং তোমার প্রার্থনার জন্য উত্সর্গ করবো।

ট: বন্ধুরা, বাংলাদেশের কোনো এক প্রান্তে বাস করছে আমার হারিয়ে যাওয়া প্রার্থনা। জানিনা সে কেমন আছে? তবে বিশ্বাস করি সে অনেক অনেক অনেক ভাল আছে। হয়তো আমার এ জীবনে আর কখনই তার সাথে দেখা হবেনা এবং সে আমাকে আর কখনই বলবেনা যে 'ভালবাসি'। আমি আর কখনই হয়তো শুনবো না তার কণ্ঠস্বর । সে হয়তো কখনই আমাকে আর ঘুম থেকে জাগিয়ে তুলবেনা। কিন্তু যতদিন বেঁচে আছি ততদিন আমি আমার হৃদয়ে তাকে ধারণ করবো। যতদিন বাঁচবো আমার প্রতিটি হৃদস্পন্দনে তাকে স্মরণ করবো।

আচ্ছা ভাইয়া, তুমি এখন তাড়াতাড়ি আমাদেরকে গানটি শোনাও প্লিজ। গানটির নাম কি?

ক: গানটির নাম হলো:

'তোমার সংগে আকাশের প্রান্তে যাবো'

গতকালের হাসাহাসি, সব আমার চোখে, আমার কানে

সময় বয়ে যায় নীরব নদীর মতো

মনের উষ্ণ ভালবাসা কখনো মুছে যায় না।

তোমার সংগে আকাশের প্রান্তে যাবো

হাতে হাত ধরে, পৃথিবী শেষ হলেও,

আমরা রাস্তায় হাঁটবো

আমরা সাক্ষাত করবো গতকালে

আমাদের চেহারা বৃদ্ধ হয়ে গেলেও,

কিন্তু মনের উষ্ণ ভালবাসা কখনো মুছে যায় না। তোমার সংগে আকাশের প্রান্তে যাবো

হাতে হাত ধরে, পৃথিবী শেষ হলেও,

আমরা রাস্তায় হাঁটবো

আমরা সাক্ষাত করবো গতকালে

আমরা চিরদিন থাকবো গতকালে।

ট: গানের জন্য তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। কিন্তু এ গান শুনে সত্যি আমার চোখে পানি চলে এসেছে। এ গানের মাধ্যমে তুমি আমার মনের কথা তুলে ধরেছো। আমিও সত্যি সবসময় প্রার্থনার জন্য অপেক্ষা করি।

সুপ্রিয় বন্ধুরা, আজকে এ পর্যন্তই। আপনারা যদি চাইনিজ গল্প বা সংস্কৃতি সম্পর্কে কোনো কিছু জানতে চান তাহলে আমাদের কাছে email করতে পারেন বা টেলিফোন করতে পারেন।

আমাদের email ঠিকানা হলো : akashxienan@gmail.com, এবং enamulhoquetutul@yahoo.com আমাদের টেলিফোন নম্বর হলো: 00861068892420.

প্রিয় শ্রোতা, এবার বিদায়ের পালা। আবার আপনাদের সাথে কথা হবে । সে পর্যন্ত আপনারা ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন এবং সুন্দর থাকুন। চাই চিয়ান।

সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদন
মন্তব্য
Play
Stop
ওয়েবরেডিও
বিশেষ আয়োজন
অনলাইন জরিপ
লিঙ্ক
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved.
16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040