0526huanqiu
|
যুক্তরাষ্ট্রের তথ্য মাধ্যমের খবরে প্রকাশ, এ জাহাজের নাম 'সান্টাল আমেরিকা'। এই জাহাজটি ১৮৫৭ সালে ক্যালিফোর্নিয়া থেকে নিউইয়র্কে সোনা সরবরাহের পথে ঘুর্ণিঝড়ের কবলে পড়ে দক্ষিণ কারোলিনা সমুদ্রে ডুবে যায়। এতে জাহাজের ৪২৫ জন প্রাণ হারায়। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে এটি সবচেয়ে ভয়াবহতম সমুদ্র দুর্ঘটনার অন্যতম। প্রায় ৮৫ মিটার লম্বা এ জাহাজের সঙ্গে সমুদ্রের গভীরে অদৃশ্য হয়ে যায় এ অমূল্য সোনা।
জানা গেছে, এ জাহাজে খুব সম্ভবত ১.৯ টন সোনা আছে। এতে স্বর্ণের বার, স্বর্ণের মুদ্রাসহ স্বর্ণের তৈরি বিভিন্ন ধরনের জিনিস আছে। এ ছাড়া, জাহাজটির ৪ শ'রও বেশি যাত্রীদের ব্যক্তিগতভাবে নেয়া সোনার মূল্যও অনেক। ১৮৫৭ সালে এ জাহাজে গচ্ছিত স্বর্ণের মূল্য ছিল প্রায় ১২.৮ লাখ মার্কিন ডলার।
যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইও রাজ্যের ডুবে যাওয়া জাহাজের বিশেষজ্ঞ টমি থম্পসন ২০ শতাব্দীর ৮০'র দশকে এ জাহাজ থেকে প্রায় ৫৭০ লাখ মার্কিন ডলার মূল্যের সোনা উদ্ধার করেন। প্রত্নতত্ত্ববিদরা মনে করেন, উদ্ধারকৃত স্বর্ণ খুব সম্ভবত এ জাহাজের মোট সোনার শুধুমাত্র ৫ শতাংশ। অনুমান করা যায়, এ জাহাজের আরো প্রায় ৮৬০ লাখ মার্কিন ডলার মূল্যের সোনা সমুদ্রের গভীর ছায়ায় লুকিয়ে আছে।
যারা থম্পসনকে এসব সোনা উদ্ধারের জন্য বরাদ্দ দিয়েছিল, তাদেরকে থম্পসন টাকা দিতে ব্যর্থ হয় এবং সোনা পাওয়ার পর পালিয়ে যায়। কেউ তাকে আর খুঁজে পায় নি। পরে এ জাহাজ নিয়ে মামলাও করা হয়। তাই ২৫ বছর আগে সোনা উদ্ধারের কাজ বন্ধ হয়ে যায়। অবশেষে ওহাইও রাজ্যের আদালত চলতি বছর সব আইনি ঝামেলা দূর করে আবার সোনা উদ্ধারের কাজ শুরু করে।
ওডিসি মারিন এক্সপ্লোরেশন কোম্পানি ঘোষণা করেছে, তারা এপ্রিল মাসে ২২০০ মিটার গভীর সমুদ্র থেকে ২৮.৩ কেজি সোনা উদ্ধার করেছে। বর্তমানে এসব সোনার মূল্য ১৩.১ লাখ মার্কিন ডলার। কোম্পানির প্রধান মার্ক গোর্ডন বলেন, বাকি সোনা যে এখনও জাহাজে রয়েছে তার প্রমাণ তাদের হাতে আছে। যে জায়গায় জাহাজটি ডুবে গিয়েছিল সে জায়গায় তদন্ত করছে কোম্পানিটি। তদন্তের পর তারা আবার সোনা খোঁজার কাজ শুরু করবে।