0526huanqiu
|
0526huanqiu
|
ঘুমে ঘাটতির বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে সাধারণ মানুষ ও সরকারকে পরামর্শ দিয়েছেন গবেষকেরা। কারণ, অনিয়মিত ঘুমের সঙ্গে ক্যানসার, হৃদরোগ, টাইপ-টু ডায়াবেটিস, বিভিন্ন সংক্রমণ ও স্থূলতা রোগের সম্পর্ক রয়েছে। মানুষের সচেতনতা, মনের অবস্থা, শারীরিক শক্তি-সামর্থ্য প্রভৃতি নিয়ন্ত্রণের জন্য শরীরে রয়েছে প্রাকৃতিক ঘড়ি। ঘুমের ঘাটতি বা অনিয়ম হলে এই ঘড়িতে বড় পরিবর্তন আসে । তখন হৃদরোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়৷
বিজ্ঞানীরা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, ২৪ ঘণ্টাব্যাপী সচল আধুনিক জীবনযাত্রায় অনেকে তাঁদের শরীরের প্রাকৃতিক ঘড়ির বিপরীত জীবন যাপন করছেন। এতে তাঁদের স্বাস্থ্য হুমকির মুখে পড়ছে। আধুনিক প্রযুক্তিই মানুষকে দীর্ঘ রাত পর্যন্ত ব্যস্ত রাখছে এবং কম ঘুমানোর পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে । হার্ভার্ডের অধ্যাপক চার্লস চেইস্লার বলেন, শরীরের অভ্যন্তরীণ জৈব ঘড়ির সামঞ্জস্য রক্ষায় আলোর ভূমিকা সবচেয়ে বেশি । স্মার্টফোন, ট্যাবলেট ও কম্পিউটার থেকে নির্গত উচ্চমাত্রার আলো মানুষের শরীরের সেই জৈব ঘড়ির স্বাভাবিক কার্যক্রমে বিশৃঙ্খলা তৈরি করছে ।
বন্ধুরা, আপনারা কি জানেন? যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি বছর ৫ হাজারেরও বেশি লোক ড্রাইভিং-এর সময় মোবাইলফোন ব্যবহারের কারণে গাড়ি দুর্ঘটনার শিকার হন এবং এতে প্রাণ হারান।
এ কারণে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা কমিশন প্রতি বছরের এপ্রিল মাসকে "মনোযোগী ড্রাইভিং মাস" হিসেবে নির্ধারণ করেছে। আর এ কমিশন ড্রাইভারকে গাড়ি চালানোর সময় মোবাইলফোন ব্যবহার না করার জন্য আহ্বান জানায়। তদন্ত ও গবেষণা থেকে জানা যায়, যদিও এখন বিভিন্ন আধুনিক জিনিস আছে, যেমন হ্যান্ডস ফ্রি ডিভাইস ও ব্লুটুথ হেডসেট, যাতে মানুষ ফোন না ধরেও ফোনালাপ করতে পারে, তারপরও তা ড্রাইভিং নিরাপত্তার জন্য সহায়ক নয়। এছাড়া এখন গাড়িতে বিভিন্ন ধরনের হাই টেক জিনিস ব্যবহার করা হয়। যেমন বিগ স্ক্রিন, জিপিএস, তথা গুগল কোম্পানির সর্বশেষ উদ্ভাবিত "গুগল গ্লাস"। গবেষকেরা জানান, ড্রাইভিং-এর সময় এমন জিনিস ব্যবহার করলে তাতে দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়বে।