Web bengali.cri.cn   
ছিং তাও-এ অনুষ্ঠিত হবে এপেকের প্রথম মন্ত্রী পর্যায়ের অধিবেশন
  2014-05-16 18:25:19  cri

১৩ বছর পর চলতি বছর চীন আবারো এপেকের স্বাগতিক দেশ হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করতে যাচ্ছে। সম্প্রতি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সহকারী মন্ত্রী ওয়াং শৌ ওয়েন জানান, এপেক সম্মেলনে নেতাদের অনানুষ্ঠানিক অধিবেশন, মন্ত্রী পর্যায়ের অধিবেশন এবং সংশ্লিষ্ট ধারাবাহিক অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে আগামী ১৭ ও ১৮ মে শানতোং প্রদেশের ছিং তাও শহরে অনুষ্ঠিত হবে প্রথম মন্ত্রী পর্যায়ের অধিবেশন।

এবারের এপেক সম্মেলনের প্রতিপাদ্য সম্পর্কে সহকারী বাণিজ্য মন্ত্রী ওয়াং শৌ ওয়েন বলেন,

এপেকের প্রতিপাদ্য হচ্ছে "সম্মিলিতভাবে ভবিষ্যতমুখী এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অংশীদারিত্বের সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করা।" এবার তিনটি মৌলিক আলোচ্য বিষয় হলো, আঞ্চলিক অর্থনীতির সমন্বিত উন্নয়ন, অর্থনীতির সৃজনশীল উন্নয়ন, সংস্কার ও বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করা এবং সার্বিক অবকাঠামো ও আন্তঃযোগাযোগ বাড়ানো।

ওয়াং শৌ ওয়েন জানিয়েছেন, ২১টি অর্থনৈতিক গোষ্ঠীর বাণিজ্য মন্ত্রী এ বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করবেন।

ওয়াং শৌ ওয়েন বলেছেন, এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের আর্থ-বাণিজ্যিক অঞ্চলের নির্মাণ ত্বরান্বিত করা হবে এবারের সম্মেলনের গুরুত্বপূর্ণ আলোচ্যবিষয়। তিনি ব্যাখ্যা করেছেন, আসলে বিশ্বের অবাধ বাণিজ্য অঞ্চলের রূপ অনেক। গত কয়েক বছরে ২ শতাধিক ছিল। অবাধ বাণিজ্য চুক্তি বেশি হলে শিল্প-প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য কিছুটা সমস্যা ডেকে আনবে। যেমন, বিভিন্ন বাণিজ্য অঞ্চলে একটি শিল্প-প্রতিষ্ঠানের সুযোগ-সুবিধা ভিন্ন। বিভিন্ন স্থানের মূল্যায়ন বিভিন্ন রকম। এসব সমস্যা সমাধানের জন্য চীন এপেক কাঠামোয় "ট্রান্স প্যাসিফিক পার্টনারশিপ এগ্রিমেন্ট" অর্থাত্ টিপিপি, "আঞ্চলিক সমন্বিত অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তি" অর্থাৎ আর.সি.এ.পি.সহ অবাধ বাণিজ্য অঞ্চলের পারস্পরিক যোগাযোগ ত্বরান্বিত করা, অবাধ বাণিজ্য অঞ্চলের তথ্য আদান-প্রদান ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা এবং অবাধ বাণিজ্য অঞ্চলের ক্ষমতার প্রতিষ্ঠা জোরদার করার পক্ষপাতি। ওয়াং শৌ ওয়েন বলেছেন, এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অবাধ বাণিজ্য অঞ্চলের বিকাশমান সংস্থা হিসেবে এপেকের ভূমিকাকে সমর্থন দেয়া উচিত। তিনি বলেন,

প্রথম প্রস্তাব হচ্ছে- একটি কর্ম-গ্রুপ প্রতিষ্ঠা করে, অবাধ বাণিজ্য অঞ্চলের সম্ভাব্যতা নিয়ে গবেষণা শুরু করা। সম্ভাব্যতা গবেষণাটা কী? সেটা হচ্ছে একটি অবাধ বাণিজ্য চুক্তি। এ থেকে বোঝা যাবে, এপেকের সদস্যদের জন্য কী ধরনের অর্থনৈতিক স্বার্থ প্রয়োজন। এপেক যদি একটি অবাধ বাণিজ্য চুক্তি করে, তাহলে কিভাবে তা কাজে লাগবে। এইমাত্র আমি বলেছি, অনেক অবাধ বাণিজ্য চুক্তি হয়েছে। আমাদের আর গোড়া থেকে শুরু করা দরকার নেই। অবাধ বাণিজ্য চুক্তিগুলোর অভিন্ন কিছু বিষয় আছে। এসব অভিন্ন বিষয় নিয়ে আমরা গবেষণা করবো। এটা ব্যবহার করা যায় কিনা, যাতে এপেক অবাধ বাণিজ্য চুক্তির জন্য সেবা প্রদান করতে পারে। সম্ভাব্যতা গবেষণার পর কর্ম-গ্রুপটি কিছু প্রস্তাব উত্থাপন করবে। সেই প্রস্তাব হবে, আমরা কিভাবে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অবাধ বাণিজ্য অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করবো, সে সংক্রান্ত।

প্রতি বছরের মাঝামাঝি সময় প্রথম বাণিজ্য মন্ত্রী পর্যায়ের অধিবেশন হবে। পাশাপাশি, এটি হবে নভেম্বরে নেতাদের অধিবেশনের একটি প্রস্তুতি অধিবেশন। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আন্তর্জাতিক বিভাগের প্রধান জাং শাও কাং জানিয়েছেন, এবারের বাণিজ্য মন্ত্রী অধিবেশন বিশ্বের ভ্যালু চেইন ও সাপ্লাই চেইন সহযোগিতার ক্ষেত্রে গভীর আলোচনা হবে। জাং শাওকাং বলেন,

চলতি বছর আমরা এপেক বিশ্বের ভ্যালু চেইন উন্নয়ন ত্বরান্বিত করার কৌশলগত পরিকল্পনা পেশ করেছি।

এপেক হচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ একটি আঞ্চলিক অর্থনৈতিক সংস্থা, যেখানে চীন রয়েছে। বর্তমানে এপেকের ২১টি সদস্য দেশের বৈদেশিক মোট বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক মোট পরিমাণ যথাক্রমে বিশ্বের ৪৬ ও ৫৭ শতাংশ।

সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদন
মন্তব্য
Play
Stop
ওয়েবরেডিও
বিশেষ আয়োজন
অনলাইন জরিপ
লিঙ্ক
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved.
16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040