0329muktarkotha
|
আ: সঙ্গে আছি আমি আলিমুল হক। সরাসরি বসছি আপনাদের চিঠিপত্রের ঝাপি নিয়ে।
বাংলাদেশের পাবনা জেলার পাছশুয়াইল রেডিও শ্রোতা ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা ও সম্পাদক ডা এস এম এ হান্নান তার ইমেলে লিখেছেন: ভালবাসা ও শুভেচ্ছা নিবেন। আগেও যেমন CRI এর সংগে ছিলাম এখনো CRI এর সংগেই আছি, শুধু আমি একাই CRI এর অনুষ্ঠান শুনিনা আমার সাথে শ্রোতা ক্লাবের সদস্য ও পরিবার পরিজন এলাকাবাসিকে নিয়ে প্রতিদিন CRI এর সামনে হাজির হই। সব অনুষ্ঠানই যে ভাল লাগে, এটা আমি বলবো না। কিছু কিছু অনুষ্ঠান খুবই ভাল লাগে। যেমন, সোচি অলিম্পিক গেমসে চীনা ক্রীড়াবিদরা পতাকা বহন করার তথ্য জানলাম; চীনা বসন্ত উৎসব সম্পর্কে জানতে পারলাম। তবে প্রতিদিন সুরের ধারা অনুষ্ঠান না-দিয়ে দু-একটি প্রতিবেদন প্রচার করলে ভাল হয়। অবশ্য তিব্বতি রক সংগীত আমার ভাল লেগেছে।
মু: বন্ধু হান্নান, নিয়মিত আমাদের চিঠি লেখা এবং মতামত দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানাই। আমরা আপনার সৌভাগ্য কামনা করি।
আ: আমাদের পুরোন শ্রোতা চায়না রেডিও ফ্যান ক্লাবের পরিচালক মো: লুৎফর রহমান চীনে লেখাপড়া করেন। এ বছর তিনি চীনে বসে বসন্ত উত্সবের আমেজ অনুভব করেছেন। তিনি আমাদের লিখে পাঠিয়েছেন "আমার বসন্ত উৎসব" শীর্ষক একটি লেখা। তিনি সুন্দর লিখেছেন। আমি লেখাটি পড়ছি:
চীনা এবং চীনা বংশোদ্ভূত বিদেশিদের জন্য বসন্ত উৎসব সর্ববৃহৎ উৎসব। চীনাদের কাছে তা মুসলমানদের ঈদ, হিন্দুদের দুর্গাপূজা বা খ্রিস্টানদের ক্রিসমাসের সমতূল্য। বসন্ত উৎসব উপলক্ষ্যে চীনারা প্রতিষ্ঠানভেদে ৩ থেকে ৭ দিন বিশেষ ছুটি পেয়ে থাকেন। অপরদিকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে দীর্ঘ শীতকালীন ছুটি থাকায় শিক্ষার্থীরা আরো বেশি ছুটি পেয়ে থাকে।
এর আগে আমি চীনে ঈদুল আযহা, মধ্যশরত উৎসব এবং ক্রিসমাস উদযাপন করেছি। বসন্ত উৎসবের আগে আমার অনেক চীনা বন্ধু এবং শিক্ষক তাদের বাড়িতে আমাকে উৎসবে অংশ নেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। সাধারণ চীনা মানুষের সঙ্গে তাদের সবচেয়ে বড় উৎসবে সঙ্গী হতে পারা আমার জন্য বড় সৌভাগ্যের ব্যাপার। চীনা মানুষের সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং বহুল ব্যবহৃত পরিবহনমাধ্যম হলো রেলগাড়ি। ১৩০ কোটি মানুষের দেশের রেলব্যবস্থা সারা চীনকে অত্যাধুনিক সড়ক যোগাযোগের আওতায় এনেছে। আমার সৌভাগ্য যে আমি বাংলাদেশের পর চীনের রেল সেবা নেওয়ার সুযোগ পেয়েছি এবং বিস্মিত হয়েছি। চীনে রেলভ্রমণ সবচেয়ে নিরাপদ, সাশ্রয়ী এবং সব রেলই ঘড়ির কাঁটা মেপে চলে, যা যোগাযোগ নেটওয়ার্কে বড় প্রয়োজন। বসন্ত উৎসব উপলক্ষ্যে সাধারণত সব মানুষ তাদের পরিবারের সাথে মিলিত হওয়ার চেষ্টা করে। এ কারণে রেল ব্যবস্থার উপর প্রচন্ড চাপ পড়ে। এসময় প্রতিদিন গড়ে ৭০ থেকে ৮০ লাখ মানুষ ট্রেনে যাতায়াত করে এবং বিশেষ ট্রেন সংযোজন করা হয়। এ বছর বহু মানুষ টিকিট না পেয়ে বাড়িতে যেতে পারেনি এবং অনেকে তাদের মোটর বাইক নিয়ে শত শত কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়েছে। এসময় চীনা পুলিশ মহাসড়কে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়। বসন্ত উৎসব উদযাপনে আমি গিয়েছিলাম হপেই প্রদেশের ছাংচৌ প্রশাসনিক শহরের নিয়ন্ত্রণাধীন ছিংশিয়ান কাউন্টিতে। ছিংশিয়ান চীনের জাতীয় মহাসড়কের পেইচিং-সাংহাই বা পেইচিং-তাইপে এক্সপ্রেসওয়ে ধরে পেইচিং থেকে খুব কাছে। পেইচিং ছাড়াও এটি ছাংচৌ এবং থিয়েনচিনের কাছে; ছোট্ট কিন্তু সুন্দর শহর। ছিংশিয়ানে এটা আমার তৃতীয়বার ভ্রমণ। বসন্ত উত্সবে সারা বাড়ি জুড়ে 福(fu) লেখা রং-বেরংয়ের কাগজ সেঁটে দেওয়া হয়। 'ফু' শব্দের অর্থ হলো 'সুখ'। অর্থাৎ এর মাধ্যমে সুখ এবং সুন্দর আগামী প্রত্যাশা করা হয়। গত বছর ছিলো সাপ বছর বা সর্প বর্ষ। তাই পর্যায়ক্রমে এ বছর হলো 马年 মানিয়ান (ma nian) বা ঘোড়া বর্ষ। তাই এ বছর নববর্ষের সব অনুষঙ্গেই ঘোড়ার প্রতিকৃতি স্থান পেয়েছে। পুরনো বছরের শেষদিনে পরিবারের সব সদস্য এবং নিকটাত্মীয়রা একসাথে রাতের খাবার খেয়ে থাকেন। বসন্ত উৎসব উপলক্ষ্যে নানা ধরণের সুস্বাদু খাবার তৈরী করা হয়। ঐতিহ্যগতভাবে বাড়িতে খাবার অনুষ্ঠানের আয়োজন করার নিয়ম থাকলেও, বর্তমানে পারিবারিক পুনর্মিলনের এই সান্ধ্যভোজটি অনেকেই রেস্টুরেন্টেই সেরে থাকেন। উত্সবের রাতে ছোট ছেলেমেয়েরা বড়দের কাছ থেকে লাল রংয়ের নকশা করা খামে নগদ টাকা উপহার পায়; শিশুরাও বড়দের শ্রদ্ধা জানায়। এর অর্থ পরস্পরের প্রতি শুভকামনা এবং উজ্বল আনন্দময় আগামীর প্রত্যাশা। চীনে মুসলমান, বৌদ্ধ ও খৃষ্টান ধর্মের মানুষ যেমন আছে, তেমনি স্থানীয় তাও ধর্মের অনুসারীও আছে। তবে চীনের অধিকাংশ মানুষই নির্দিষ্ট কোনো ধর্মে বিশ্বাস করে না। আমি যে পরিবারটির সাথে বসন্ত উত্সব পালন করেছি, তারা কোন ধর্মের অনুসারী নয়। কিন্তু আমি খুবই অবাক হয়েছি এটা দেখে যে, উত্সবের রাতে পরিবারের সদস্যরা সবাই রান্নাঘরে স্থাপিত দেবতার প্রতিকৃতির সামনে নানা ধরণের খাদ্যদ্রব্য, মোমবাতি, আগরবাতি এমনকি চপস্টিক পর্যন্ত সাজিয়ে রেখেছে এবং তার সামনে সিজদায় লুটিয়ে পড়েছে। কোনো ধর্মের অনুসারী না হয়েও এবং সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাস না-থাকার পরও ঐতিহ্যগতভাবে তারা এই কাজটি প্রতিবছর করে থাকেন। এ সময় ঘরের বাইরে আতশবাজি ফোটানো হয়। এ রাতে লোকজন প্রচুর পরিমাণে চীনা টাকার প্রতিলিপি পোড়ায়। এর মাধ্যমে পরিবারের প্রয়াত সদস্যদের আত্মার শান্তি কামনা করা হয়। বসন্ত উৎসবের সবচেয়ে দৃষ্টি আকর্ষণযোগ্য বিষয় হচ্ছে বিপুল পরিমাণ পটকা ও আতশবাজির ব্যবহার। সারা চীনে কি পরিমাণ আতশবাজি আর পটকা'র ব্যবহার হয় তা বোধহয় কেউ আন্দাজও করতে পারবে না। সারা দিনরাত এখানে-সেখানে পটকা আর আতশবাজির আওয়াজ পাওয়া যায়। বছরের শেষ রাতে সারা রাত পুরো বাড়িতে আলো জ্বালিয়ে রাখা হয়। দেবতার সামনে যথারীতি খাদ্যদ্রব্য, মোমবাতি-আগরবাতি জ্বালিয়ে রাখা হয়, বাজতে থাকে উপাসনা সঙ্গীত। বাড়ির বড়রা সারারাত নির্ঘুম কাটায়, ছোটরা মধ্যরাত অবধি জেগে থাকে। এদিন সন্ধ্যায় পরের দিন সকালে খাওয়ার জন্য বিশেষ ডাম্পলিং তৈরি করা হয়। এই ডাম্পলিংয়ে মাংস এবং তেল ব্যবহার করা হয় না। তাদের বিশ্বাস, প্রভু মাংস এবং তেল খান না, তাই প্রভুকে খুশি রাখতে এদিন বিশেষ ডাম্পলিং তৈরি করা হয়। বছরের প্রথম দিন ভোর বেলায় বাড়ির সদর দরজা খুলে দেওয়া হয়। সদর দরজা থেকে ড্রয়িংরুম পর্যন্ত লাল গালিচা বিছানো হয়। এর মাধ্যমে অতিথিকে স্বাগত এবং সম্মান প্রদর্শন করা হয়। সকাল হতেই নিকটাত্মীয় এবং প্রতিবেশিরা একে অপরের বাড়িতে কুশল বিনিময় করতে যান এবং আতিথেয়তা গ্রহণ করেন। এর মাধ্যমে বসন্ত উৎসব তথা ১৫ দিনব্যাপী নতুন বছরের উদযাপনী অনুষ্ঠান আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়। এ সময়ের মধ্যে তারা মূলত আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব এবং প্রতিবেশিদের সাথে কুশল বিনিময় এবং একসাথে খাবার খেয়ে থাকেন। বসন্ত উত্সবের উপহার হিসেবে কমলা অত্যন্ত জনপ্রিয়। সাধারণত 福 ফু লেখা কাগজে মুড়ে চারটি কমলা দেওয়া হয়, যার মধ্যে দুইটি কমলা আবার ফেরত নেওয়া হয়। এর অর্থ, অনুরূপ ভালোবাসা এবং সম্মান প্রদর্শন। ভোজের পর সবাই একসাথে আনন্দময় ইনডোর গেমস-এ অংশ নিয়ে থাকেন। বসন্ত উৎসবের দিন আমার বন্ধুর দুই ফুফু আমাকে দুপুরের এবং রাতের খাবারের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। চীনা পরিবারের সাথে বাড়িতে তৈরি খাবার খাওয়া আমার জন্য সতিই একটি চমত্কার অভিজ্ঞতা। বসন্ত উতসবের প্রথম দিন সানন্দে অতিবাহিত করে রাতে পরিবারের সবাই একসাথে বিশেষ টেলিভিশন অনুষ্ঠান উপভোগ করে থাকেন। সিসিটিভি এদিন বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে যাতে সারা চীনের জনপ্রিয় তারকাদের পাশাপাশি বিদেশি শিল্পীরাও অংশ নেয়। এসব অনুষ্ঠানের মধ্যে নাচ, গান, মজার নাটিকা, অ্যাক্রোবেট ইত্যাদি ছিল। দীর্ঘ পনের দিনের এই বসন্ত উৎসব উদযাপন পূর্ণিমা রাতে আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ হয়। সমাপনী উদযাপনের নাম 'লন্ঠন উৎসব'।
মু: আচ্ছা, বন্ধু লুত্ফরকে এত সুন্দর লেখার জন্য ধন্যবাদ জানাই। তিনি বিস্তারিতভাবে চীনা বসন্ত উত্সব সম্পর্কে লিখেছেন। আশা করি শ্রোতারা লুত্ফরের লেখা শুনে চীনা বসন্ত উত্সব সম্পর্কে একটি স্পষ্ট ধারণা পেয়েছেন। বন্ধু লুত্ফর চীনের যতদিন থাকবেন, ততদিন আনন্দে থাকবেন বলে আশা করি। তাকে আবারো ধন্যবাদ।
(গান)
আ: ভারতের পশ্চিমবঙ্গের সাউথ এশিয়া সিআরআই ডিএক্সার ফোরামের রতন কুমার পাল তার ইমেলে লিখেছেন: আমরা গত ২৬ জানুয়ারি ক্লাবের তের বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলাম। অনুষ্ঠান সাজানো হয়েছিল ডিএক্স প্রদর্শনী, ক্যুইজ প্রতিযোগিতা ও গান দিয়ে। কিছু ছবি পাঠালাম। ভালো লাগলে, ওয়েবসাইটে দিবেন, খুশি হবো।
মু: বন্ধু কুমার, আপনার পাঠানো ছবি পেয়েছি। এগুলো আমি ওয়েবসাইটে আপলোড করবো। আপনার ক্লাবের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠান আয়োজন করেছেন জেনে আমরাও খুশি হয়েছি। আপনার ক্লাব ও ক্লাবের সদস্যদের কল্যাণ কামনা করছি। আপনাকে ধন্যবাদ।
আ: ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার ইন্টারন্যাশনাল মিতালি লিসনার্স ক্লাবের মহ: হাফিজুর রহমান লিখেছেন: প্রথমেই আমার ও আমাদের শ্রোতা সংঘের সকলের পক্ষ থেকে আন্তরিক সালাম ও লাল গোলাপের শুভেচ্ছা জানাই। আমি নিয়মিত ভাবে চীন অন্তর্জাতিক বেতারের বাংলা অনুষ্ঠান শুনছি। আমাদের শ্রোতা সংঘের প্রত্যেক সদস্য চীন আন্তর্জাতিক বেতারের অনুষ্ঠান ও ওয়েব সাইট অত্যন্ত পছন্দ করে। আমরা সকলে মিলে এই আনন্দ ভীষণ ভাবে উপভোগ করি। চীন অন্তর্জাতিক বেতারের বাংলা অনুষ্ঠান আমাদের মনে গভীর ভাবে দাগ কাটে। বিশ্ব সংবাদসহ সাপ্তাহিক অনুষ্ঠানমালা, যেমন সাহিত্য ও সংস্কৃতি, এশিয়া টুডে, মুক্তার কথা, দৃষ্টির সীমানায়, লাভক্ষতি, চলুন বেড়িয়ে আসি, পুবের জানালা, স্বাস্থ্য ও জীবন, আলো-ছায়া, চলতি প্রসঙ্গ, সুরের ধারায়, বাংলায় গল্প আমাদের গল্প, কনফুসিয়াস ক্লাসরুম ইত্যাদি সব অনুষ্ঠানই এক কথায় বলতে গেলে অনবদ্য, অনেক অনেক তথ্যসমৃদ্ধ ও বস্তুনিষ্ঠ। আমাদের জন্য সুন্দর, আকর্ষণীয়, মনোগ্রাহী ও অসাধারণ অনুষ্ঠান পরিবেশনার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ। এখানে আমি দুটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব রাখছি। বিবেচনার সবিনয় অনুরোধ রাখছি। ১) বর্তমানে প্রতিদিনই নির্দিষ্ট অনুষ্ঠানের পরিবর্তে সুরের ধারায় অনুষ্ঠান প্রচারিত হচ্ছে। এটা বন্ধ করে নির্দিষ্ট অনুষ্ঠান প্রচারের উদ্যোগ নিন। ২) পরিমার্জনের পর বর্তমানে সি.আর.আই. ওয়েবসাইটের মূল পৃষ্ঠার কোথাও সাপ্তাহিক অডিও ফাইল নেই। যেটা আগে ছিল। ফলে ইন্টারনেটে অনুষ্ঠান শোনার জন্য আমাদের কিছুটা অসুবিধায় পড়তে হচ্ছে। আশা করি শিগগিরই প্রথম পৃষ্ঠায়/মূল পৃষ্ঠায় সাপ্তাহিক অনুষ্ঠানের অডিও ফাইল আগের মতোই পেয়ে যাব।
মু: বন্ধু হাফিজুর আমাদের নতুন অনুষ্ঠান সম্পর্কে মতামত দিয়েছে। আপনার মতামত আমরা অবশ্যই বিবেচনা করবো। আশা করি, আরো বেশি শ্রোতা আমাদের নতুন বছরের অনুষ্ঠান সম্পর্কিত মতামত পাঠাবেন। আপনাকে ধন্যবাদ।
আ: প্রিয় শ্রোতা, এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য আপনাদের সবাইকে জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ। যদি আপনারা আমাদের অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে কিছুটা হলেও আনন্দ পেয়ে থাকেন, তাহলে মনে করবো আমাদের পরিশ্রম সার্থক হয়েছে। আপনাদের জন্যই আমাদের সকল প্রচেষ্টা ও আয়োজন। আপনারা সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন এবং শুনতে থাকুন চীন আন্তর্জাতিক বেতারের বাংলা অনুষ্ঠান। আর হ্যা, আমাদের চিঠি লিখতে ভুলবেন না।
মু: আমাদের সঙ্গে থাকুন, আমাদের অনুষ্ঠান শুনুন আর আপনার যে-কোনো মতামত বা প্রশ্ন পাঠিয়ে দিন চিঠি বা ই-মেলের মাধ্যমে। আমাদের সঙ্গে যোগাযোগের ডাক ঠিকানা হচ্ছে: বাংলা বিভাগ, সি আর আই-১১ চীন আন্তর্জাতিক বেতার। PO.BOX NO: 4216, BEIJING, POST CODE NO: 100040, CHINA. আপনারা ঠিকানা ইংরেজিতে লিখলে ভাল। আমাদের ই-মেল ঠিকানা হচ্ছে ben@cri.com.cn এবং আমার নিজস্ব ইমেল ঠিকানা হল caiyue@cri.com.cn। 'মুক্তার কথা' অনুষ্ঠান সম্পর্কিত ইমেল আমার নিজস্ব ইমেল ঠিকানায় পাঠালে ভালো হয়। ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আপনি আমাদের অনুষ্ঠান, চীন ও চীন আন্তর্জাতিক বেতার সম্বন্ধে আরো বিস্তারিত তথ্য জানতে পারেন। আমাদের ওয়েবসাইটের ঠিকানা হচ্ছে bengali.cri.cn। আপনার মতামত আপনি সরাসরি ওয়েবপেইজে লিখতে পারেন। আজ তাহলে এ পর্যন্তই। আশা করি, আগামী সপ্তাহের একই দিনে, একই সময়ে আবার আপনাদের সঙ্গে কথা হবে। ততোক্ষণ সবাই ভালো থাকুন, আনন্দে থাকুন। (ছাই/আলিম)