0321yin02
|
জাপানের দক্ষিণাঞ্চলীয় সমুদ্র অঞ্চল শিজুওকা-কেনের সুরুগা-ওয়ান থেকে শিকোকু ও কিউশু পর্যন্ত বিস্তৃত। ১৯৯৫ সালে কোবে ভূমিকম্প এবং ২০১১ সালের ১১ মার্চের পূর্ব জাপানের ভূমিকম্পে সৃষ্ট ধ্বংসাবশেষের পরিমাণ মাথায় রেখে পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের অনুমান হচ্ছে, যদি এতদঞ্চলে আরো ভয়াবহ ভূমিকম্প হয়, তবে সর্বোচ্চ ৩৪.৯ কোটি টন ধ্বংসাবশেষ সৃষ্টি হতে পারে, যা কিনা পূর্ব জাপানের ভয়াবহ ভূমিকম্পের ফলে সৃষ্টি হওয়া ধ্বংসাবশেষের প্রায় ১১ গুণ।
এ ধরনের পরিস্থিতিতে এসব ধ্বংসাবশেষ সরানোর কাজ বিশাল। বড় ধরনের ভূমিকম্পে কেবল কিনকি অঞ্চলে ১১.৭ কোটি টন ধ্বংসাবশেষ সৃষ্টি হবে, যা স্থানীয়ভাবে সরাতে চাইলে সময় লাগবে ৪৪ বছর ৯ মাস। আর শিকোকু অঞ্চলে তেমন বড় ধরনের ভূমিকম্পে সৃষ্টি হবে সর্বোচ্চ ৮ কোটি ৫০ লাখ টন ধ্বংসাবশেষ। স্থানীয়ভাবে সম্ভাব্য এ ধ্বংসাবশেষ সরাতে সময় লাগবে ১৪২ বছর।
অবশ্য, গোটা জাপান যদি সর্বশক্তি নিয়োজিত করে, তবে এসময় ধ্বংসাবশেষ সরাতে সময় লাগবে ১৯ বছর ৪ মাস।
পরিবেশ মন্ত্রণালয় আরো অনুমান করছে যে, যদি জাপানের রাজধানী অঞ্চলে ৭ মাত্রার স্ট্রেইট টাইপ ভূমিকম্প হয়, তাহলে ৬ কোটি ৫০ লাখ থেকে ১১ কোটি টন ধ্বংসাবশেষ সৃষ্টি হবে। স্থানীয়ভাবে ব্যবস্থা নিলে, প্রায় ১৫ থেকে ২৫ বছর ১১ মাস সময় লাগবে এসব ধ্বংসাবশেষ সরাতে। অন্যদিকে, যদি কেন্দ্রীয়ভাবে সর্বশক্তি নিয়োজিত করা হয়, তবে সময় ৩ থেকে ৬ বছর কম লাগবে।
উল্লেখ করা যেতে পারে, ২০১১ সালের পূর্ব জাপানের ভয়াবহ ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৯। তখন প্রায় ৩ কোটি টন ধ্বংসাবশেষ সৃষ্টি হয়েছিল। সেই ভূমিকম্পে আইওয়াট-কেন ও মিয়াগি-কেন অঞ্চলে সৃষ্ট ধ্বংসাবশেষ সরানোর কাজ এখনো চলছে। অনুমান করা হচ্ছে, চলতি মাসে সে কাজ শেষ হবে।