ছোট বোনের জন্মদিনে ভাইয়ের কাছে কোনো টাকা না থাকায়, বড় ভাই জন্মদিনে ছোট বোনকে একটি কুকুর উপহার দিল। কুকুর পেয়ে ছোট বোন তো মহা খুশি। কারণ বড় ভাই তাকে বললো, এই কুকুর হলো মার দেওয়া জন্মদিনের উপহার। দুই ভাই-বোন এই কুকুরকে 'হার্ট', মানে 'হৃদয়' এই নাম দিলো। আসলে বড় ভাই এই কুকুরটি চুরি করেছিল।
এভাবে এক বছর পার হয়ে গেলো। বড় ভাই পাশে না থাকলে কুকুরটি ছোট বোনকে সেরা বন্ধুর মতো করে সময় দিতো।
দিনে দিনে কুকুরের সঙ্গে তাদের অনেক সখ্যতা গড়ে উঠল। শীতকালের এক দিনে ভাই-বোন এবং কুকুর হিমায়িত নদীর উপরে খেলাধুলা করছিল। ভাই-বোন একটি 'আইস কারে' বসলো এবং কুকুর ওই আইস কার বরফের উপর দিয়ে টেনে নিয়ে যাচ্ছিল।
তারা হৈচৈ করছিলো এবং দারুণ মজা করে সময় কাটাচ্ছিলো। এ সময় হঠাত করে বড় ভাইয়ের পেট ব্যাথা শুরু হলে সে নদীর তীরে চলে গেলো। ঠিক সেই মুহুর্তে ছোট বোন বিভক্ত হয়ে যাওয়া বরফের মাঝখানে পড়ে গেলো। বড় ভাই নিজের চোখে আদরের ছোট বোনকে বরফের নদীতে পড়ে যাওয়া দেখে পাগলের মতো হয়ে গেলো। সে মনে করলো কুকুরটি ভালোভাবে ছোট বোনকে দেখাশোনা করেনি। সে ছোট বোনের মৃত্যুর জন্য কুকুরটিকে দায়ী করলো এবং কুকুরটিকে ত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নিলো।
পাশে ছোট বোন না থাকায় বড় ভাইয়ের কাছে পৃথিবীটাকে অন্ধকারের মতো মনে হতে লাগলো। তাই সে ছোট বোনের প্রিয় স্কুলব্যাগটি নিয়ে বাড়ি ত্যাগ করলো। কুকুরটি বুঝতে পারলো না , কেন বড় ভাই তাকে পছন্দ করছে না এবং কেন তার সাথে খারাপ আচরণ করছে? এমন পরিস্থিতিতে 'হার্ট'নামের সেই কুকুর বড় ভাইয়ের পদচিহ্ন অনুরণ করে তার পিছনে যাত্রা শুরু করলো।