Web bengali.cri.cn   
বাংলায় গল্প, আমাদের গল্প-২০১৪০৩১০১
  2014-03-03 19:42:27  cri

ট: প্রিয় শ্রোতা, da jiahao! পেইচিং থেকে প্রচারিত চীন আন্তর্জাতিক বেতারের বাংলা অনুষ্ঠানে সবাইকে স্বাগতম। গত সপ্তাহের মতো আজও আপনারা শুনবেন বাংলায় গল্প,আমাদের গল্প। আর এ অনুষ্ঠানে আপনাদের সঙ্গে আছি আপনাদেরই প্রিয় বন্ধু আমি এনামুল হক টুটুল এবং আমি শিয়েনেন আকাশ।

আ:বন্ধুরা, da jiahao! সবাই ভাল আছেন ? গত সপ্তাহে কি কি করেছেন? এ সপ্তাহে আমি এবং চীনে নিযুক্ত বাংলাদেশ দূতাবাসের কমার্শিয়াল কাউন্সিলর রুহিদাস জোদ্দার একসাথে চীনের হাং চৌ শহরে গিয়েছিলাম। সেখানে আমরা পোষাক শিল্প সম্পর্কে আয়োজিত একটি আন্তজার্তিক সেমিনার অংশ নিয়েছি।

ট: বন্ধুরা, আমি আকাশ ভাইকে কমপক্ষে দু'বার অনুরোধ করেছি আমাকে নিয়ে যাবার জন্য, কিন্তু তিনি রাজি হন নি। এজন্য আমি এখনও তার উপর রাগ করে আছি।

আ: ভাইয়া, সেখানে ক্রিটেক খেলার জন্য যাইনি! কাজ করার জন্য গিয়েছিলাম । সেখানে তোমাকে নেয়ার ক্ষমতা আমার ছিলনা।

ট: হাহা। আমি মজা করছিলাম তো।

আ: আমি জানি। বন্ধুরা, আসলে চীন এবং বাংলাদেশে একসংগে অনেক ক্ষেত্রে ব্যবসা করতে পারবে। আমি এ বিষয় নিয়ে কমার্শিয়াল কাউন্সিলর মিস্টার রুহিদাস জোদ্দার এর একটি সাক্ষাতকার নিয়েছি। খুব দ্রুত এটা প্রচার হবে। আশা করি এটা আপনাদেরকে সাহা্য্য করতে পারবে।

ট: হ্যাঁ। বন্ধুরা,আপনারাও যদি এ সম্পর্কে কিছু জানতে চান তাহলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। আমরা আপনাদেরকে সাহায্য করার জন্য সর্ব্বোচ চেষ্টা করবো।

বন্ধুরা, আরেকটি বিষয়ে আমি খুব সতর্ক আছি।

ভাই, আমি জানতে চাই আপনি গত সপ্তাহে ১১টার আগে ঘুমিয়েছেন কিনা?

আ: এটা সত্যিই দুঃখের ব্যাপার, কারণ আমি বাইরে কাজ নিয়ে খুব ব্যস্ত ছিলাম। এজন্য আমি তা পালন করতে পারছিনা।

ট: যাই হোক! সৃষ্টিকর্তা আপনাকে সাহায্য করবেন। ভাই ,আপনি কিছু বলবেন না। আমাকে পরোটা দিন । আমি পরোটা খাবো।

আ: হ্যাঁ । অবশ্যই। একদিন একসাথে খাবো। বন্ধুরা, আপনাদের যদি সময় থাকে তাহলে একদিন উত্তরার একুশে রেস্তোঁরায় চলে আসবেন,দেখবেন আমি ওখানে বসে গাপুস গুপুস করে পরোটা খাচ্ছি।

ট: আপনিতা দেখছি একেবারে ভূত,পেতনিদের মতো কথা বলছেন,হাহা।

আ: আমার মনে হয় আমি এখনো উত্তরা ছেড়ে আসিনি।

ট: ভাই, আপনি আরেকটি প্রতিজ্ঞা করেছিলেন, মনে আছে?

আ: অবশ্যই! হ্যাঁ বন্ধুরা, গত সপ্তাহ আমি একটি খুব ভাল সিনেমা দেখেছি। নাম হচ্ছে: 'you are the apple of my eye'

ট: apple? আবারও সুসাধু খাবার ?

আ: পেটুক ভাই। এটা হচ্ছে এই সিনেমার ইংরেজি নাম । খাবারের সাথে এর কোনো সম্পর্ক নেই।

ট: তাহলে এটা কিসের সাথে সম্পর্কিত?

আ: বলছি, গল্পটি এরকম : হাই স্কুল পড়ুয়া একটি ছেলে, নাম হচ্ছে কে চিং টেং। সে খুব দুষ্টু বলে স্কুলের শিক্ষক তাকে ক্লাসের সবচেয়ে মেধাবী এবং সুন্দরী মেয়ে সেন চিয়া ই'র সামনে বসার ব‍্যবস্থা করেন। এতে মেয়েটি এই দুষ্টু ছেলেটিকে ধীরে ধীরে তার নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে এবং ছেলেটি ভাল হয়ে যায়।

ট: ও আচ্ছা। চীনে যদি কোনো ছেলে উল্টাপাল্টা কিছু করে তাহলে শিক্ষক তাকে স্কুলের সবচেয়ে সুন্দরী মেয়ের সামনে বসার ব্যবস্থা করে দেন? ওহ, খুবই shuang! খুবই জোস!

আ: হাহা! আচ্ছা টুটুল, বাংলাদেশে যদি কোনো ছেলে এরকম করে তাহলে শিক্ষকেরা কি করেন?

ট: ভালো মন্দ দুটো উপায়ই অবলম্বন করা হয়। কখনো ছেলেটির বাবা মার কাছে অভিযোগ করা হয়, আবার কখনো ছেলেটিকে স্কুল থেকে বের করে দেয়া হয়।

আ:উফ ,খুবই নিষ্ঠুর !! ভাই, আমি ভাবছি,কেবল দুষ্টু ছাত্রই নয়, দুষ্ট শিক্ষকও আছেন। আমার মনে হয় সব ছাত্রই ভালো করতে চায়। দুষ্টুদেরকে ভালো করার জন্য উপযুক্ত উপায় বের করা উচিত। তাদেরকে ত্যাগ করা উচিত নয়।

ট: ঠিক,একদম ঠিক,আপনি ঠিকই বলেছেন? আচ্ছা,তারপর ঐ দুষ্টু ছেলে আর সুন্দরী মেয়েটির কি হলো?

আ: হাহা,তারপর তারা আস্তে আস্তে পরস্পরকে ভালোবেসে ফেলে। পরস্পরকে সহযোগিতা করে,ভালোভাবে লেখাপড়া করে এবং একসাথে তারা একটি ভালো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়।

ট: ওহ, সত্যি অসাধারণ। তারপর কি হয়? তারা কি পরস্পরকে বিয়ে করে?

আ: না। আসলে, তাদের মধ্যে একবার খুব ঝগড়া হয় এবং তাদের সম্পর্কটাও ভেঙ্গে যায়।

ট: খুবই আশ্চর্যজনক, খুবই দু:খের বিষয়। সুন্দর সম্পর্কটা মুহূর্তের মধ্যেই নষ্ট হয়ে গেলো! আ: হ্যাঁ টুটুল, জীবনটা সত্যিই দু:খের।

ট: তারপর কি তাদের সম্পর্কে আর কিছু জানা যায়।

আ: তারপর এ ছেলেটির মনে সবসময়ই দু:খ থাকে। ২০০৫ সালে ছেলেটি মেয়েটির বিয়ের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে এবং তার জীবনে ঘটে যাওয়া এসব ঘটনা নিয়ে গল্প লেখা শুরু করে। একসময় এ গল্পটি চীনে খুব বিখ্যাত হয়ে ওঠে এবং এ কাহিনীর উপর ভিত্তি করেই সিনেমাটি তৈরি হয়।

ট: হ্যাঁ, আর এই সিনেমাই হলো তাদের যৌবন এবং ভালোবাসার সর্বশ্রেষ্ঠ সাক্ষী।

আ: শুধু তাঁর জন্য নয়। আমাদেরও! আমাদের সমস্ত যৌবন আমরা পার করবো কিন্তু বিশেষ কিছু ঘটনা কখনোই জীবন থেকে মুছে ফেলতে পারবোনা। যেমন আমি। সিনেমাটি দেখার সময় আমি অনেক কান্নাকাটি করেছি। কেবল তাদের জন্য নয়, কেদেছি আমার নিজের জন্য, আমার ফেলে আসা সময়ের ঘটনাগুলোর জন্য।

ট: ভাই, আমি সত্যিই এ সিনেমাটি দেখতে চাই।

আ: বন্ধুরা, আপনারা চাইলে সিনেমাটি দেখতে পারেন। youtube এ সিনেমাটি আপনারা পাবেন। সিনেমার নাম হচ্ছে 'you are the apple of my eye'. আমরা তাহলে একসাথে ফেলে আসা সময়ে ফিরে যেতে পারবো, ফিরে যেতে পারবো আমাদের স্কুল জীবনেও।

ট: হ্যাঁ। বন্ধুরা, আপনারা যদি আপনাদের মনের মানুষকে কিছু বলতে চান, আমাদের জানাবেন। বহু বছর ধরে যে কথা আপনি বলতে চান,কিন্তু বলতে পারেন না, তা আমাদেরকে জানাবেন। আমরা অবশ্যই আপনাদেরকে সহযোগিতা করবো।

আ: বন্ধুরা, অনুষ্ঠানের শেষে আমরা আজকের এ সিনেমার থিম সঙ্গীত শুনবো, যা ফেলে আসা দিন, ফেলে আসা ভালোবাসা, ফেলে আসা যৌবনকে কেন্দ্র করে রচিত।

অবশেষে আমরা আমাদের পুরোনো সময়ে ফিরে গিয়েছি।

আজ শেষবারের মতো ছেলেটি মেয়েটির সাথে ডেট করবে।

অবশেষে আমরা আমাদের পুরোনো সময়ে ফিরে গিয়েছি।

নির্বোধের মতো আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে আছি,

বেখাপ্পা লাল রংয়ের টাই বাঁধা

বয়স্কদের মতো মাথায় চিরুনী করা।

আমার ইচ্ছা হয়, আমি যদি আবার সেই পুরোনো সময়ে ফিরে যেতে পারতাম।

ক্লাসরুমে তোমার সামনে বসতে পারতাম

তোমার সাথে কথা বলতে পারতাম,

তোমার সাথে খেলতে পারতাম...................

মনে পড়ে ঐ সময়ের সেই বৃষ্টির কথা,

মনে পড়ে ঐ সময়ের সেই সব ভালোবাসার কথা

আমার সমস্ত পৃথিবীর প্রতিটি প্রান্ত শুধু তোমার জন্য

আমি তোমাকে বলতে চই, আমি কোনো কিছুই ভুলিনি।

মনে পড়ে সেই সব দিনের কথা, যখন আকাশ তারায় পরিপূর্ণ ছিল এবং আমরা ভালোবাসার জন্য প্রতিজ্ঞা করেছিলাম।

আবার যদি কখনো তোমার সাথে দেখা হয়

আমি তোমাকে শক্ত করে ধরে রাখবো, শক্ত করে ধরে রাখবো।

ট: বন্ধুরা, আমি খুবই বিষণ্ণ I আমার ফেলে আসা দিন এবং আমার বন্ধুদের জন্য আমি খুবই বিষণ্ণ।

আ: ভাই, তারা কখনোই আমাদের ভুলে যাবেনা, তারা সবসময় আমাদের হৃদয়ে, আমাদের আত্মায় বাস করে।

বন্ধুরা, যদি আপনার হৃদয়ে কারো জন্য ভালোবাসা থাকে এবং আপনি এভাবেই যদি আপনার দিনগুলো পার করেন তাহলে আমাদের আর কোনো দু:খ থাকবেনা।

ট: জ্বী। বন্ধুরা, আপনারা যদি কোন কথা বলতে চান, তাহলে আমদের কাছে টেলিফোন করতে পারেন এবং ইমেইলও করতে পারেন। আমার টেলিফোন নম্বর হচ্ছে: ০০৮৬১৩৪৬৬৫৬৭৬৬২ এবং আমার ইমেইল হচ্ছে enamulhoquetutul@yahoo.com. আকাশ ভাইয়ের টেলিফোন এবং ইমেইল হচ্ছে ০০৮৬১০৬৮৮৯২৪২০,

:akashxienan@gmail.com

আ: বন্ধুরা, একটু পরেই আপনারা আগের মতোই আপনাদের প্রিয় গল্প 'সুই হু চুয়ান' শুনতে পাবেন।

ট: হ্যাঁ । বন্ধুরা, তাহলে ঝটপট সবাই মিলে প্রস্তুত হয়ে নিন আর উপভোগ করুন আপনাদেরই প্রিয় অনুষ্ঠান।

আ: তাহলে এখনই আবার কথা হচ্ছে, মাত্র ৩০ সেকেন্ড পর।

প্রিয় শ্রোতা, পেইচিং থেকে প্রচারিত চীন আন্তর্জাতিক বেতারের বাংলা অনুষ্ঠানে সবাইকে স্বাগতম। বরাবরের মতো আজও আপনারা শুনবেন অনুষ্ঠান বাংলায় গল্প, আমাদের গল্প।

বন্ধুরা, আপনাদের প্রিয় এই অনুষ্ঠানে আজ থেকে আপনাদের সঙ্গে থাকবো আমি শিয়েনান আকাশ এবং আমি এনামুল হক টুটুল।

প্রিয় শ্রোতা, দীর্ঘদিন ধরে প্রচারিত আপনাদের এই প্রিয় অনুষ্ঠানে নতুন মাত্রা যোগ করার জন্য আমরা একটু ভিন্নভাবে তা প্রচারের চেষ্টা করছি।

আশা করি এই অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে আপনারা চীনের প্রচলিত ঐতিহ্যবাহী বিভিন্ন গল্প সম্পর্কে জানতে পারবেন। সেইসাথে এই গল্পের বিষয়বস্তু , বিভিন্ন নান্দনিক দিক এবং এর শৈল্পিক বিন্যাস আপনাদের জ্ঞানের জগতকে আরো বেশি বিস্তৃত করবে। হাজার হাজার বছর ধরে বিরাজমান চীনের এই গল্পমালা আপনাদের কল্পনা শক্তিতে নতুন সৃষ্টিশীলতা যোগ করবে বলে আমরা মনে করি।

প্রিয় শ্রোতা, এখন আমরা আপনাদের অবহ্যাতভাবে

সুই হু চুয়ান সোনাব।

(কাউ ছিউ তার বন্ধু লিউ তা লাংয়ের সাক্ষাতের উদ্দেশে রওয়ানা শুরু করে। যাত্রাপথে কাও ছিউ ভিক্ষা করে টাকা রোজগার করে তার ক্ষুধা মেটায়। অনেক কষ্টের পর অবশেষ কাও ছিউ তার বন্ধুর সাক্ষাত পান। )

এদিকে লিউ তা লাং কী করছেন জানেন। চীনে একটি প্রবাদ আছে, wu li lei ju, renyiqun fen , মানে চোরে চোরে মাসতুত ভাই। কাউ ছিউ যেমন একজন ভবঘুরে, তার বন্ধু লিউ তা লাং ও অবশ্য তাই। সেদিক থেকে তার ও কোনো তুলনা হয় না।যারা জুয়া খেলে তাদেরকে সে টাকা ধার দেয় এবং এভাবে সে টাকা উপার্জন করে।

কাও ছিউ কে দেখে লিউ তা লাং কান্নাকাটি শুরু করে দেয় । কাও ছিউ এর মত একজন বিখ্যাত ফুটবল খেলোয়ারকে দেখে সে তার আনন্দ ধরে রাখতে পারেনা।

কিন্ত্ত যখন সে কাও ছিউ এর এই দু:খ দুর্দশার কথা শোনে তখন সে বলে, ভাই, এটাইতো জীবন। কিছু কিছু সময় জীবনে দু:খ আসবে । এটাই স্বাবাভিক। কিন্ত্ত কখনো সাহস হারাবেনা ।আমার এখন খারাপ সময় যাচ্ছে ।এসময় তোমাকে বহন করা আমার পক্ষে কষ্ট হয়ে যাবে । বরং তুমি আমার সাথে আমার কাজ করো।

একথা শুনে কাও ছিউ বলে, ধন্যবাদ ভাই, সারা জীবন আপনার কথা মনে থাকবে।

তার পর থেকে কাও ছিউ সেখানে তার বন্ধুর সাথে কাজ করতে থাকে। কাউ ছিউয়ের দায়িত্ব হচ্ছে যদি কেউ লিউ তা লাংয়ের টাকাফেরত দেরি করে তখন সে তাদেরকে চাপ প্রয়োগ করে।

একাজ করে সে যে টাকা পায় তা দিয়ে কাও ছিউ প্রতিদিন মদ এবং মাংস খায়। এভাবে সে আরো বেশি আনন্দ উল্লাস করতে থাকে । তাছাড়া এটা করা ছাড়া সে আর কীইবা করতে পারে।

সময় নদীর স্রোতের মত বয়ে যায়। দেখতে দেখতে বন্ধুর বাসায় তিন বছর পার হয়ে যায় কাউ ছিউর এর । সেখানে তিনি মদের পর মদ এবং মাংস খেতে থাকেন। কিন্ত্ত তারপরও তিনি রাজধানী খুব মিস করেন। কারণ রাজধানীর জীবন তার কাছে অনেক রঙিন, অনেক সুন্দর ।

অবশেষে একদিন বিধাতার কৃপায় কাউ ছিউ এর কপাল খুলে যায়।

গত বছর বৃষ্টির জন্য দেশটির রাজা প্রার্থনা করেছিলেন। ফলে এবছর প্রচুর বৃষ্টি হয় এবং খুবই ভাল ফসল হয় । রাজা তো মহা খুশি। একারণে রাজা নির্দেশ দেন যে, আজ থেকে সবার অপরাধ ক্ষমা করে দেয়া হলো। চোর,ডাকাত, বদমাশ আজ থেকে সবাই মুক্ত।

রাজার এ ঘোষণায় কাউ ছিউ এর অপরাধ মাফ হয়ে যায়।

কাউ ছিউ এ সুখবর শুনে পাগলের মতো হয়ে যায় । কান্নাজড়িত কণ্ঠে তার বন্ধু লিউ তা লাংকে জড়িয়ে ধরে বলে, আমার বড় ভাই, আমার এখন সুযোগ এসেছে! আমি আপনার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে রাজধানীতে ফিরে যেতে চাই! আমার অপরাধ ক্ষমা করে দেয়া হয়েছে!!............

লিউ তা লাং কাউ ছিউ এর এ খবর শুনে খুব খুশি হয় এবং বলে, ভাই, তুমি সত্যি একজন যোগ্যলোক। ভবিষ্যতে তুমি অনেক বড় হবে! তুমি এ তিন বছরে আমাকেও অনেক সাহায্য করেছো। নাও, এ ১২ লক্ষ টাকা তোমার সাথে রাখো।

আর ভাই, তুমি রাজধানীতে ফেরার পর কিভাবে টাকা উর্পাজন করবে?

কাউ ছিউ বন্ধুর কাছ থেকে টাকা নিয়ে নেয়। এসময় তার চোখে পানি এসে যায়। লিউ তা লাংকে কাউ ছিউ বলে : ভাই, আমি সাড়া জীবন আপনার কথা মনে রাখব! রাজধানীতে কি করব এখনো জানিনা। দেখি কি করা যায়। রাজধানীতে আমার অনেক বন্ধু আছে। আমার মনে হয় তারা সবাই আমাকে সাহায্য করবে।

লিউ তা লাং এ কথা শুনে বলে, ভাই , আমি এখনো তোমাকে নিয়ে চিন্তিত ।

লিউ তা লাং একটি চিঠি লিখে কাউ ছিউকে বলে যে, রাজধানীতে আমার একজন বন্ধু আছে। তিনি একটি ওষুধের দোকানের মালিক। তাঁর নাম হচ্ছে dong wen rui, dong সাহেব। তুমি তাঁর কাছে যেতে পারো। তিনি আমার খুব ঘনিষ্ঠ ভাই। তিনি আমার চিঠি দেখার পর অবশ্যই তোমাকে গ্রহণ করবেন । আশা করি তুমি ওখানে একটি চাকরি পাবে। এটা রাস্তায় ঘোরাঘুরির চেয়ে অনেক ভাল!

একথা শুনে কাউ ছিউ বলে, ধন্যবাদ ভাই, আমি সাড়া জীবন আপনার জন্য দোয়া করবো!!

সুপ্রিয় বন্ধুরা, আজকে এ পর্যন্তই। আপনারা যদি চাইনিজ গল্প বা সংস্কৃতি সম্পর্কে কোনো কিছু জানতে চান তাহলে আমাদের কাছে email করতে পারেন বা টেলিফোন করতে পারেন।

আমার email ঠিকানা হলো : akashxienan@gmail.com, এবং আমার টেলিফোন নম্বর হলো: 00861068892420. এবং আমার ইমেইল ঠিকানা হলো .................এবং আমার টেলিফোন নম্বর হলো..................

প্রিয় শ্রোতা, এবার বিদায়ের পালা। আবার আপনাদের সাথে কথা হবে । সে পর্যন্ত আপনারা ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন এবং সুন্দর থাকুন। চাই চিয়ান।

সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদন
মন্তব্য
Play
Stop
ওয়েবরেডিও
বিশেষ আয়োজন
অনলাইন জরিপ
লিঙ্ক
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved.
16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040