
জ্ঞানী ব্যক্তি আফান্দি সম্পর্কে দু'টি গল্প

গল্প ১: আফান্দি গল্প করে বেড়াতেন, পাখির ভাষা আমি জানি,ওরা কি সব বলে-সব বুঝতে পারি। বাদশাহ’র কানে গেল কথাটা। তাই একবার শিকারে যাওয়ার সময় সঙ্গেনিলেন আফান্দিকে। পথে পড়ল এক ভাঙা পাঁচিল; বাদশাহ দেখলেন, পাঁচিলের ওপর বসে এক পেঁচা ডাকছে : ভুত-ভুতুম!
বাদশাহ জানতে চাইলেন, পেঁচাটা কি বলছে, আফান্দি?
পেঁচাটা কিন্তু আপনার কথা বলছে।
আমার কথা?
হ্যাঁ । বলছে: বাদশাহ যেভাবে দেশ চালাচ্ছে-প্রজাদের ওপর অত্যাচার করছে, তাতে শিগগিরই তার গদি যাবে-যেভাবে গেছে আমার বাসাটা।
গল্প ২: এক দাওয়াতে গিয়েছেন আফান্দি। দেখেন এক মেহমান পেট পুরে মিষ্টি খেয়ে ও আলখাল্লার জেবে একটির পর একটি মিষ্টি ঢোকাচ্ছে চুপি-চুপি। ব্যাপারটা দেখে বেশিক্ষণ স্থির থাকতে পারলেন না আফান্দি। পাশেই ছিল চায়ের কেটলি, সেটা তুলে নিয়ে গেলেন মেহমানের পিছে; তারপর তার আলখাল্লার জেবে ঢেলে দিলেন খানিকটা চা। এতে মেহমানের শরম তো হলোই না, উপরন্তু চেঁচিয়ে বলল, আমার জেব তোমার হাত চুলকে দিয়েছে নাকি? জেবের মধ্যে চা ঢালো? নুলো করে দেবো হাত!
আফান্দি বললেন, মিছেই রাগ করছেন। দেখলাম , আপনার আলখাল্লার জেব অনেক মিষ্টি খেয়ে ফেলেছে--- তাই ভাবলাম, ওর গলা নিষ্চয়ই শুকিয়ে গেছে; এজনই চাললাম একটু চা। বেচারার গলাটা একটু ভিজুক, পিপাসা মিটুক।
সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদন

মন্তব্য



ওয়েবরেডিও
বিশেষ আয়োজন
অনলাইন জরিপ
লিঙ্ক
