Web bengali.cri.cn   
বাংলায় গল্প, আমাদের গল্প-২০১৪০২০৮
  2014-02-10 16:05:27  cri

আ: প্রিয় বন্ধুরা!কেমন আছেন আপনারা? টা চিয়া হাও! এ গানটির কথা মনে আছে?

২০১১ সাল আমার বিদায় অনুষ্ঠানে আমি ও লাবণ্য আপনাদের সংগে একসাথে এ গানটি উপভোগ করেছিলাম।

এখন মনে পড়েছে আপনাদের? হ্যাঁ , আমি আপনাদের সেই প্রিয় বন্ধু আকাশ। দু'বছর আগে এ গানের মধ্য দিয়ে চীনকে বিদায় দিয়ে বাংলাদেশ গিয়েছিলাম ঢাকার উত্তরায় আমাদের কফুসিয়াস ক্লাসরুমে কাজ করার জন্য।সেখানে দু'বছর কাজ করে আবার আমি চীনে ফিরে এসেছি।

হ: হ্যাঁ। সত্যি, সময় খুব দ্রুত বয়ে যায়। বিশেষ করে ভালো সময়গুলো।

এইতো সেদিন আমি ঢাকা থেকে চীনের রাজধানী পেইচিং আসলাম, এরই মধ্যে কিন্ত্ত দু মাস পার হতে চলেছে। পেইচিং এর জীবন সত্যিই অনেক আনন্দের এবং রোমাঞ্চকর। যদিও আমার জীবনের জন্য এটি একেবারে নতুন একটি অভিজ্ঞতা। সত্যি, এখন পর্যন্ত এখানকার জীবন আমি খুব উপভোগ করছি।

আ: আচ্ছা, তাহলে আপনি আপনার চীনের এ দু'মাসের অভিজ্ঞতা আমাদের সাথে শেয়ার করতে পারেন?

আ: হাহা , আমি আশা করি আপনি যদি তাড়াতাড়ি চীনা ভাষা শিখে ফেলতে পারেন তাহলে এখানে আপনার আরো ভালো লাগবে এবং আপনি আরো বেশি আনন্দ উপভোগ করতে পারবেন।

হ: ধন্যবাদ আকাশ ভাই। আপনিও তো বাংলাদেশে দু'বছরের মতো ছিলেন। আপনি কিন্ত্ত এই বেতারের মাধ্যমে শ্রোতাদের সংগে আপনার বাংলাদেশের জীবন সম্পর্কে যে অভিজ্ঞতা তা কিন্ত্ত আলোচনা করতে পারেন?

আ: অবশ্যই। বন্ধুরা, আমার বাসা ছিল ঢাকার উত্তরার ১১ নম্বর সেক্টরে। প্রতিদিন সন্ধায় আমি ১৩ নম্বর সেক্টরে গিয়ে শরীরচর্চা করতাম।

এখানে একটি পার্ক আছে। অনেকেই এখানে ক্রিকেট , ফুটবল এবং ভলিবল খেলেন। এছাড়া উত্তরায় একটি ছোট রেঁস্তোরা আছে , নাম হচ্ছে একুশে। এখানকার পরোটা এবং বিরানি খুবই অস্বাধারণ!আমি আমার বন্ধুদের সাথে অনেকবার সেখানে গিয়েছি।এছাড়া সেখানকার অনেক সুপার মার্কেট ও আমি গিয়েছি এবং এখানকার বন্ধুরা আমার সাথে অনেক ভালো আচরণ করতো।

হ: হাহা, আকাশ ভাই, আপনি যখন উত্তরার কথা বলেন তখন মনে হয় আপনি আপনার নিজের পরিবারের কথা বলছেন।

ক: অবশ্যই। বন্ধুরা, আমি আপনাদের খুব খুব মিস করি। তাহের ভাই, আপনার শাশুড়ী , উত্স, ঔশি, ভাবি, বড় ভাই সবার পরিবারের জন্য দোয়া করি। সবাই সুস্থ থাকেন,ভাল থাকেন। আমার ছাত্র-ছাত্রী, ইয়া মে ,ইয়া লি ,জান্নাত্ এবং জান্নাতের পরিবার, আমার গিয়াস ভাই,সাদিক ভাই, সবাইকে আমি খুব খুব মিস করি... । বন্ধুরা, আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি। চিরদিন তোমার আকাশ, তোমার বাতাস, আমার প্রাণে বাজায় বাঁশি।

আমি সবসময় আপাদের জন্য দোয়া করি।

হ: ভাই ,আপনার কথা শুনে আমি কিছুক্ষণ কাদঁতে চাই।

আ: ভাইয়া, এটা জীবনের জন্য খুবই গুরিত্বপূর্ণ।

হ: আমি বাংলদেশে আমার বন্ধুদের খুব মিস করি।

আ: আপনি তাদের বলতে পারেন যে, তারা যেন প্রতিদিন আপনার অনুষ্ঠান শোনেন। তারা বিছানায় শুয়ে শুয়ে একটি ছোট্ট রেডিও হাতে ধরে অথবা মোবাইলে আপনার কণ্ঠ শুনতে পাবে। লক্ষ লক্ষ কিলমিটার দূর থেকে ।

হ:অবশ্য এখন তারা যখন সময় পায় তখনই শোনে।এখন রেকর্ডিং রুমে গিয়ে যাওয়া যেন ভাই বনের কাছে যাওয়ার মত।

আ: ভাইয়া সত্যি,আমি ২০০৬ সাল সি আর আই বাংলা বিভাগে অংশগ্রহনের পর থেকে সবচেয়ে ভালো সময় হলো অনুষ্ঠান তৈরী করার সময় এবং শ্রোতারা আমাকে ফোন করার সময়।

হ: সত্যি, আমিও । বুন্ধুরা, এখন আমি এবং আকাশ ভাই এখানে বসে আপনাদের সাথে কথা বলার সময় অনেক অনেক আনন্দ বোধ করছি।

আ: তা তো অবশ্যই। বন্ধুরা, এ নতুন অনুষ্ঠানের নাম হচ্ছে বাংলায় গল্প,আমাদের গল্প।

হ: হ্যাঁ বন্ধুরা, এ অনুষ্ঠানের সময়সীমা ২০ মিনিট। এর মধ্যে ১০ মিনিট আমরা চীনের ঐতিহ্যবাহী গল্প শোনাবো এবং বাকি ১০ মিনিট আমরা গল্প সংক্রান্ত কিছু বিষয় অথবা চীণের সংস্কৃতি সম্পর্কে আপনাদের সংগে আলোচনা করব। আশা করি আপনাদের ভাল লাগবে।

আ:হ্যাঁ। বন্ধুরা, এ ২০ মিনিট হচ্ছে আমাদের উত্তরা, আমাদের বাসা। এখানে শুধু চীনের সংস্পর্কে নয়, আপনাদের যখন ক্লান্তি লাগবে অথবা অসুখী লাগবে আমরা সবসময় আপনাদের সাথে থাকবো। আমরা সবসময় আপনাদের অপেক্ষা করি। আমরা এখন একসাথে পরোটা খাব।

হ: হাহা । ভাইয়া, আগে আমি কাঁদতে চাই, এখন আমি হাসঁতে চাই।হাহা।

আ:পরোটার কথা শুনলে আপনি হাসহাসি শুরু করেন। এর মানে আমরা দুজন সত্যি সত্যি ভাই , কারণ আমরা পেটুক।

হ:হাহা!বুন্ধুরা, আপনারা যদি প্রতিদিনের গল্প অথবা চীনের সংস্কৃতি সম্পর্কে জানতে চান, তাহলে আমরা দুটো পেটুকদের কাছে টেলিফন করতে পারেন। আমাদের নম্বর হচ্ছে:০০৮৬১০৬৮৮৯২৪২০

আপনারা চিঠিও লিখতে পারেন, আকাশ ভাইয়ের হচ্ছে :akashxienan@gmail.com

আ:আচ্ছা বন্ধুরা, অনুষ্ঠান আজকের মতো এপর্যন্তই। আমরা আগামিকাল সন্ধায় অব্যাহতভাবে একসাথে পরোটা খাব। পরোটা চীনেও আছে। exactly আমাদের মত স্বাদ same, নাম হচ্ছে lao bing.

হ: কিন্তু ভাইয়া , এত দরিতে বেশি lao bing খাওয়া ভাল না।

আ: আচ্ছা ,তাহলে আপনি আপনার lao bing আমাকে এবং বুন্ধদের দেবেন PLz.

হ:না !!

প্রিয় শ্রোতা, পেইচিং থেকে প্রচারিত চীন আন্তর্জাতিক বেতারের বাংলা অনুষ্ঠানে সবাইকে স্বাগতম। বরাবরের মতো আজও আপনারা শুনবেন আপনাদেরই প্রিয় অনুষ্ঠান বাংলায় গল্প, আমাদের গল্প।

বন্ধুরা, আপনাদের প্রিয় এই অনুষ্ঠানে আজ থেকে আপনাদের সঙ্গে থাকবো আমি শিয়ে নান আকাশ এবং আমি এনামুল হক টুটুল।

প্রিয় শ্রোতা, দীর্ঘদিন ধরে প্রচারিত আপনাদের এই প্রিয় অনুষ্ঠানে নতুন মাত্রা যোগ করার জন্য আমরা একটু ভিন্নভাবে তা প্রচারের চেষ্টা করছি।

আশা করি এই অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে আপনারা চীনের প্রচলিত ঐতিহ্যবাহী বিভিন্ন গল্প সম্পর্কে জানতে পারবেন। সেইসাথে এই গল্পের বিষয়বস্তু , বিভিন্ন নান্দনিক দিক এবং এর শৈল্পিক বিন্যাস আপনাদের জ্ঞানের জগতকে আরো বেশি বিস্তৃত করবে। হাজার হাজার বছর ধরে বিরাজমান চীনের এই গল্পমালা আপনাদের কল্পনা শক্তিতে নতুন সৃষ্টিশীলতা যোগ করবে বলে আমরা মনে করি।

প্রিয় শ্রোতা, এখন আমরা আপনাদের সাথে চীনের একটি ধ্রুপদী গল্প নিয়ে আলোচনা করবো।

বন্ধুরা, গল্পটির নাম হচ্ছে 'সুই হু চুয়ান'। বিশ্বস্ততা, ন্যায়পরায়ণতা এবং ভ্রাতৃত্বের উপর ভিত্তি করে গল্পটির বিষয়বস্ত্ত রচিত। আপনারা যদি একটু মনোযোগ সহকারে গল্পটি শোনেন তাহলে আপনাদের বেশ ভালো লাগবে বলে আমাদের বিশ্বাস।

'সুই হু চুয়ান' গল্পটির সূত্রপাত হয় চীনের পেই সোং রাজবংশের চে জোং রাজার শাসনামলে, আনুমানিক ৯০০ খ্রীস্টাব্দে। তখন চীনের রাজধানী ছিল পিয়ান লিয়াং, যেটি বর্তমানে হে নান প্রদেশের খাই ফেং শহর নামে পরিচিত। পেই সোং রাজবংশের ৯ জন রাজার মধ্যে চে জোং ছিলেন ৭ম ।

রাজধানী পিয়ান লিয়াং এর একজন অধিবাসি নাম কাও এর। রাজধানী থেকে পূর্বদিকে সিং লোং জেলার শহরতলিতে তার গ্রাম। তার পরিবারের অনেক টাকা এবং সম্পদ আছে।তাছাড়া তার পরিবার শহরের বিভিন্ন ব্যবসার সাথেও যুক্ত।

কিন্তু তিনি একজন অলস প্রকৃতির লোকl কোনো কাজ করতে চান না, শুধু উল্টাপাল্টা বিভিন্ন কাজ করতে থাকেন।

তাঁর বাবা- মা মারা যাওয়ার পর তাকে দেখাশোনা করার মতো কেউ না থাকার কারণে তিনি খারাপ পথের দিকে ধাবিত হন। পতিতালয়, জুয়াখেলাসহ বিভিন্ন ধরনের খারাপ কাজের সাথে তিনি যুক্ত হতে থাকেন। এভাবে, দেখতে দেখেত তিনি বেশ কয়েক বছরের মধ্যে তাঁর পরিবারের সব টাকা পয়সা শেষ করে ফেলেন।

এর পর কী করবেন? একথা ভেবে ভেবে অবশেষে তিনি রাজধানীতে চলে যাবার নিদ্ধান্ত নেন। রাজধানীর রাস্তায় বেশ কিছুদিন লক্ষ্যহীনভাবে ঘোরাফেরার পর খুবই অল্প সময়ের মধ্যে তিনি সেখানে তার মত চরিত্রের কিছু লোকের সাক্ষাত পান।এইসব মন্দ লোকেরা চুরি করা,মানুষকে ঠকানো এ ধরনের কাজ করে টাকা উপার্জন করতে থাকে। যখন তাদের কাছে টাকা থাকে তখন তারা জুয়া খেলতে যান।

কিন্তু কাও তাঁদের মধ্যে খুব চালাক এবং দক্ষ। তিনি খুব ভালো ফুটবল খেলোয়াড়ও। এর মাধ্যমে তিনি তার সংসার চালান। এরজন্য ধীরে ধীরে সবাই তাকে কাও এর পরিবর্তে " কাও ছিউ" বলে ডাকা শুরু করে।

বন্ধুরা, চীনা ভাষায় ছিউ মানে বল। কিন্তু এখানে টাকা খুব কম।পিয়ান লিয়াং শহরের একজন কামার নাম হচ্ছে ওয়াং। তিনি একজন সরল মানুষ। ওয়াং চিন পাও নামে তার একটি ছেলে আছে । পরিবারের একমাত্র ছেলে হবার কারণে ওয়াং সাহেব ছেলেটিকে খুব আদর করতেন।

বেশি ভালবাসার কারণে এ ছেলে একসময় খারাপ হয়ে যায়। সব সময় মিথ্যা কথা বলে। শুরুতে তার বাবার কাছ থেকে টাকা নিয়ে খরচ করে। এটাকা যথেষ্ঠ নয় বলে একসময় সে তার পরিবারের টাকা চুরি করা শুরু করে দেয়। একসময় এ ছেলেটির সঙ্গে সেই বিখ্যাত ফুটবল খেলোয়াড় কাও ছিউএর পরিচিয় হয়।

দু'জন খুব দ্রুত পরস্পরের বন্ধু হয়ে যায়। কাও ছিউ বুঝতে পারেন কিভাবে এ ছেলের কাছ থেকে টাকা পাওয়া সম্ভব । তাই তিনি এ ছেলেটিকে খারাপ বুদ্ধি দেন ।জানেন এ ছেলের কাছ থেকে টাকা পেতে পারে। টাকা পাবার পর ছেলেটি এবং কাও ছিউ জুয়া খেলা থেকে শুরু করে বিভিন্ন খারাপ কাজ করতে থাকেন।

অবশেষে ছেলের বাবা এ ব্যাপারে জানতে পারেন।তিনি ভীষণ রেগে যান। তিনি ভাবেন ঐ কাও ছিউ এর কারণে আমার ছেলে এত খারাপ হয়ে গেছে। আমি তাকে অবশই শাস্তি দিবো।

তারপর তিনি তার ছেলেকে অনেক দোষারপ করেন এবং তাকে বলেন, সব দোষ কাও ছিউ কে দেবে।

পরে তিনি আদালতে কাও ছিউ'র বিরুদ্ধে নালিশ করেন।অবশ্য তিনি আগেই টাকা দিয়ে বিচারকের কাছে সবকিছু বর্নণা করেন। টাকা পাওয়ার পর বিচারক তাত্ক্ষণিক ভাবে কাও ছিউকে গ্রেফতারের নির্দেশ দেন।

আদালতে বিচারক কাও ছিউকে দোষারোপ করে বলেন: তুই একটা বেয়াদপ!! এত বড় হয়েছিস তোর কোনো চাকরী নেই। প্রতিদিন উল্টাপল্টা কাজ করে বেরাস! আজ থেকে তুই আর রাজধানীতে থাকতে পারবি না!এখন তোর শাস্তি হলো তোকে বিশ বার beat on the buttock মারা হবে । তুই আর কোনোদিন রাজধানীতে ফিরে যেতে পারবিনা। যদি তোকে এখানে দেখা যায় তাহলে আবার তোকে গ্রেফতার করা হবে ।

বন্ধুরা, beat on the buttock হচ্ছে প্রচীনকালে চীনের আদালতে ব্যবহৃত বহু প্রচলিত একটি শাস্তি । পুলিশ লম্বা শক্তিশালি লাঠি দিয়ে মানুষের পাছার উপর জোর করে আঘাত করে । এর পর মানুষ আর উঠতে পারেনা।অনেক মানুষ তখন মারা যান।

কাও ছিউ প্রায় বিশটির মত আঘাত খাবার পর অজ্ঞান হয়ে পরে। পুলিশ তাকে কুকুরের মত শহরের বাইরের কোনো একটি বনে ছেড়ে দিয়ে আসে ।

সন্ধ্যার বেলায় কাও ছিউয়ের আস্তে আস্তে জ্ঞান ফিরে আসে ।একদিকে শরীরে অনেক ব্যাথা, তারপর পকেটে কোনো টাকা পয়সা নেই।

কাও ছিউ মনে মনে ওয়াং সাহেবের উপর ক্ষিপ্ত হতে থাকে । সে বলতে থাকে, ওয়াং তুই এত নিষ্ঠুর! তুই দেখিস!, সুযোগ পেলে এর চেয়ে অনেক বেশি শাস্তি আমি তোকে ফিরিয়ে দেব!

ধীরে ধীরে কাউ ছিউ উঠে দাঁড়ায় । রাজধানীতে ফিরে যাবার সাহসও নেই । মনে মনে ভাবে, এখন কোথায় যাবো আমি ।সে খুব চিন্তার মধ্যে পড়ে যায়।

এমন সময় হঠাত করে তার একজন বন্ধুর কথা মনে পড়ে যায়। তাঁর নাম লিউ সি ছুয়ান। পরিবারের প্রথম ছেলে বলে তার ডাকনাম লিউ তা লাং। তা মানে বড়, লাং মানে পুরুষ।

তিনি হুয়াই সিতে বাস করেন। কাও ছিউ বলতে থাকে, আমি তাঁর কাছে যাবো। মনে হয় সে আমাকে খাবার দিতে পারবে।

এরপর কাউ ছিউ তার বন্ধু লিউ তা লাংয়ের সাক্ষাতের উদ্দেশে রওয়ানা শুরু করে। যাত্রাপথে কাও ছিউ ভিক্ষা করে টাকা রোজগার করে তার ক্ষুধা মেটায়। অনেক কষ্টের পর অবশেষ কাও ছিউ তার বন্ধুর সাক্ষাত পান।

এদিকে লিউ তা লাং কী করছেন জানেন। চীনে একটি প্রবাদ আছে, wu li lei ju, ren yi qun fen , মানে চোরে চোরে মাসতুত ভাই। কাউ ছিউ যেমন একজন ভবঘুরে, তার বন্ধু লিউ তা লাং ও অবশ্য তাই। সেদিক থেকে তার ও কোনো তুলনা হয় না।যারা জুয়া খেলে তাদেরকে সে টাকা ধার দেয় এবং এভাবে সে টাকা উপার্জন করে।

কাও ছিউ কে দেখে লিউ তা লাং কান্নাকাটি শুরু করে দেয় । কাও ছিউ এর মত একজন বিখ্যাত ফুটবল খেলোয়ারকে দেখে সে তার আনন্দ ধরে রাখতে পারেনা।

কিন্ত্ত যখন সে কাও ছিউ এর এই দু:খ দুর্দশার কথা শোনে তখন সে বলে, ভাই, এটাইতো জীবন। কিছু কিছু সময় জীবনে দু:খ আসবে । এটাই স্বাবাভিক। কিন্ত্ত কখনো সাহস হারাবেনা ।আমার এখন খারাপ সময় যাচ্ছে ।এসময় তোমাকে বহন করা আমার পক্ষে কষ্ট হয়ে যাবে । বরং তুমি আমার সাথে আমার কাজ করো।

একথা শুনে কাও ছিউ বলে, ধন্যবাদ ভাই, সারা জীবন আপনার কথা মনে থাকবে।

তার পর থেকে কাও ছিউ সেখানে তার বন্ধুর সাথে কাজ করতে থাকে। কাউ ছিউয়ের দায়িত্ব হচ্ছে যদি কেউ লিউ তা লাংয়ের টাকা ফেরত দেরি করে তখন সে তাদেরকে চাপ প্রয়োগ করে।

একাজ করে সে যে টাকা পায় তা দিয়ে কাও ছিউ প্রতিদিন মদ এবং মাংস খায়। এভাবে সে আরো বেশি আনন্দ উল্লাস করতে থাকে । তাছাড়া এটা করা ছাড়া সে আর কীইবা করতে পারে।

সুপ্রিয় বন্ধুরা, আজকে এ পর্যন্তই। আপনারা যদি চাইনিজ গল্প বা সংস্কৃতি সম্পর্কে কোনো কিছু জানতে চান তাহলে আমার কাছে email করতে পারেন বা টেলিফোন করতে পারেন।

আমার email ঠিকানা হলো : akashxienan@gmail.com, এবং আমার টেলিফোন নম্বর হলো: 00861068892420.

প্রিয় শ্রোতা, এবার বিদায়ের পালা ।তার আগে আমি আকাশ এবং আমি এনামুল হক টুটুল আপনাদেরকে ওয়ান আন জানাতে চাই।

বন্ধুরা,চীনা ভাষায় ওয়ান আন মানে শুভ রাত্রি। তো বন্ধুরা,আগামী সপ্তাহে আবার আপনাদের সঙ্গে কথা হবে। সে পর্যন্ত আপনারা ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।আজকের মতো এখানেই বিদায়। চাই চিয়েন।

সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদন
মন্তব্য
Play
Stop
ওয়েবরেডিও
বিশেষ আয়োজন
অনলাইন জরিপ
লিঙ্ক
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved.
16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040