কয়েক দিন পর ক্যাপ্টেন এবং ব্যারোনেসের যৌথ উদ্যোগে একটি বিশাল পার্টির আয়োজন করা হলো। পার্টিতে ছেলেমেয়েরা গান গাইলো এবং নাচলো। ক্যাপ্টেন মারিয়ার সঙ্গে ডান্স করার জন্য তাঁকে আমন্ত্রণ জানালেন। ডান্স শেষে তাঁরা দু'জন পরস্পরের চেহারা ভালোভাবে তাকিয়ে দেখলেন।
ক্যাপ্টেনের প্রতি ভালোবাসা অধিক থেকে অধিকতর হতে পারে এই আশঙ্কায় সেদিন রাতে মারিয়া শান্তভাবে আশ্রমে ফিরে গেলেন।
প্রিয় শ্রোতা, আপনারা এখন যে গানটি শুনছেন তার নাম হলো 'সো লং,ফেয়ারওয়েল'।
মারিয়া চলে যাওয়ার পর ক্যাপ্টেনের সন্তানদেরকে শান্ত করার জন্য ব্যারোনেস অনেক চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। বাবা ব্যারোনেসকে বিয়ে করেছেন এ খবর শুনে ছেলেমেয়েদের আরো মন খারাপ হয়ে গেলো। তারা মারিয়াকে দেখার জন্য একসাথে আশ্রমে চলে গেলো, কিন্ত্ত মারিয়ার সঙ্গে দেখা হলো না। মারিয়া আশ্রমের মহাপরিচালকের কাছে ক্যাপ্টেনের প্রতি নিজের ভালোবাসার কথা জানালেন। মহাপরিচালক তাঁকে উত্সাহ দিয়ে বললেন, ভবিষ্যতে কোনো এক দিন অবশ্যই নিজের ভালোবাসা খুঁজে পাবে। তারপর মারিয়া আবার ক্যাপ্টেনের বাড়িতে ফিরে আসলেন। তখন ব্যারোনেস বুঝতে পারলেন যে, ক্যাপ্টেনের প্রতি নিজের অনুভূতিকে আর পুনুরুদ্ধার করা যাবে না। তাই তিনি নিজ উদ্যোগেই বিয়ের চুক্তি থেকে সরে গেলেন।
তারপর খুব অল্প সময়ের মধ্যেই মারিয়া এবং ক্যাপ্টেন বিয়ে করলেন।
প্রিয় শ্রোতা, আপনারা এখন যে গানটি শুনছেন তার নাম হলো 'মাই ফেভারিট থিংস'।
তবে খুব দু:খজনক বিষয় হলো, তাঁদের জীবনে বড় একটা ঘটনা ঘটলো। তারা মধুচন্দ্রিমা শেষ করে বাড়িতে ফিরে যাওয়ার পর রাজধানী সালজবার্গের সবখানে নাতসির পতাকা ঝুলানো দেখলো।