চলচ্চিত্র বিষয়ে লেখাপড়ার জন্য ইয়াহয়া যুক্তরাষ্ট্রে অধ্যয়ন করেন এবং সেখান থেকে তিনি মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন। ছোটবেলা থেকে তিনি ইরাকের বাগদাদে বসবাস করতে শুরু করেন। সেই শহর এখনো টানা যুদ্ধের মধ্যে রয়েছে। দীর্ঘমেয়াদি যুদ্ধের কারণে এখানে বসবাসকারী জনগণ বিশাল আঘাত পেয়ে থাকেন। আসলে এই কেন্দ্রের সদস্যদের নির্মাণ করা অনেক চলচ্চিত্র বা ছোট ভিডিও বাস্তব ঘটনা অনুযায়ী রিমেক করা হয়। ইয়াহয়া বলেন, 'চলচ্চিত্রে আমরা যে বিষয়গুলো প্রকাশ করতে চাই তা হলো এখানে বাসরত মানুষের জীবন সম্পর্কিত। তাঁরা কিভাবে বেঁচে থাকেন, তাঁদের দৈনন্দিন জীবন কি রকম, এখানকার সংঘর্ষ ও যুদ্ধ কি ধরনের, এখানকার বসবাসকারীরা কিভাবে মৃত্যুর হুমকি মোকাবিলা করছেন ইত্যাদি ইত্যাদি। এসব সহজ নয়।'

ইরাকের এ স্বাধীন চলচ্চিত্র কেন্দ্রে আমাদের সিআরআইয়ের সংবাদদাতা দেখতে পান যে, কেন্দ্রটির দায়িত্বশীল কর্মকর্তা এবং চলচ্চিত্র পরিচালক ও নির্মাতা আতিয়া আল দারাজি ইরাকের অনাথ শিশুদের সম্পর্কিত একটি চলচ্চিত্র সম্পাদনা করছেন।

একটি পুরনো টেবিল এবং দু'টি কম্পিউটার নিয়ে আতিয়ারের কাজ করার সহজ জায়গাটি গঠিত। আতিয়ারের চলচ্চিত্র কোনো কোনো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উত্সবে পুরস্কার লাভ করে এবং তাঁর পাওয়া বোনাস এ চলচ্চিত্র কেন্দ্রটি পরিচালনার অর্থে পরিণত হয়। আতিয়া বলেন, তাঁর এই কেন্দ্রের কোনো নিয়মিত অর্থের উত্স নেই। তিনি বলেন, 'মাঝেমাঝে আমরা ইরাকে নিযুক্ত ফ্রান্স ও যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের সঙ্গে সহযোগিতা করি এবং কিছু আর্থিক সমর্থন পাই। আমরা কোনো কোনো আন্তর্জাতিক উত্সবে অংশ নেই, যেমন আবুধাবি আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উত্সব, দোহা আন্তর্জাতিক উত্সব প্রভৃতি। এসব চলচ্চিত্র উত্সবের মাধ্যমে আমরা পুরস্কার ও বোনাস অর্জন করি। তা ছাড়া, আমরা ইরাকের সরকার ও সরকারি শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গেও সহযোগিতা করি।'