তারপর কাবিল সুযোগ বুঝে নকশাল সংগঠনে যোগ দেয় এবং আদিলকে নিয়মিতভাবে অনেক গুরুত্বপূর্ণ গোপনতথ্যের যোগান দিতে থাকে। তবে নাটকীয় বিষয় হচ্ছে, কাবিল দিনের পর দিন যত বেশি সময় ধরে নকশাল সদস্যদের সাথে মেলামেশা, পাশাপাশি থেকে যুদ্ধ করাসহ বিভন্ন সহচার্যে আসতে শুরু করে, ততবেশি সে এই উগ্র বামপন্থী সংগঠন আর তার সদস্যদের যুক্তি, দর্শন আর কর্মকৌশলের প্রতি দুর্বল হতে থাকে। বিশেষ করে যখন কাবিল গ্রামাঞ্চলের দারিদ্র্য ও পশ্চাত্পদ অবস্থার মূলগত কারণ বুঝতে পারলো। নিজের চোখে যখন দেখলো যে, সরকারের হটকারী সিদ্ধান্তের কারণে হাজার হাজার হতদরিদ্র মানুষের বেঁচে থাকার শেষ অবলম্বন স্বরূপ খাসজমিগুলো সব জবরদখল হয়ে যাচ্ছে, তখন সে তাঁর পেশাগত দায়িত্ব ও উদ্দেশ্যের সাথে সামাজিক দায়িত্ব আর নৈতিক আদর্শের মধ্যে চরম দ্বন্দ্ব দেখা দেয়।
এদিকে নন্দিগর পুলিশ স্টেশনে হামলা চালাতে গিয়ে সেই অঞ্চলের নকশাল প্রধান গ্রেফতার হয় এবং বেশ হতাহতের মাধ্যমে এ সংগঠনটি গুরুতর ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এরফলে এই অঞ্চলে বড় বড় পুঁজিপতিদের বিনিয়োগের প্রধান বাধা প্রায় নির্মূল করা গেল। কিন্তু বাকি সমস্যা হলো সেই অঞ্চলের ২৩০টিরও বেশি গ্রাম উচ্ছেদ করা। যদিও এটা সামান্যই একটি সমস্যা। কেননা নিরস্ত্র গ্রামবাসীদেরকে উচ্ছেদ চাইলে পুলিশের পেটোয়া বাহিনীই যথেষ্ট। এক নিমিষেই তাদেরকে এই সব গ্রাম থেকে সরিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে তারা।
1 2 3 4 5