Web bengali.cri.cn   
ইউয়ুন্নান প্রদেশের সিশুয়াংবান্নার নান্দনিক দৃশ্য
  2013-02-06 15:45:33  cri
গেল সপ্তাহে সিআরআইয়ের সংবাদদাতারা ইউয়ুন্নান প্রদেশের সিশুয়াংবান্নায় গিয়েছিলেন এবং ফিরে এসে সেখানকার সুন্দর প্রাকৃতিক দৃশ্য ও দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে আমাকে জানিয়েছেন। চলুন, আজ বেড়িয়ে আসি ইউয়ুন্নান প্রদেশের সিশুয়াংবান্নায়; জেনে আসি স্থানীয় অঞ্চলের বৈশিষ্ট্যময় রীতিনীতি সম্পর্কে।

আলিম: সুবর্ণা, আপনি কি আগে কখনো ইউয়ুন্নান প্রদেশে বেড়াতে গিয়েছিলেন?

সুবর্ণা: হ্যাঁ, কয়েকবারই গিয়েছিলাম। তবে কখনো সিশুয়াংবান্নায় যাইনি। সেটি প্রদেশটির সর্বদক্ষিণে অবস্থিত একটি অঞ্চল। এখানে বসবাসকারী 'তাই' জাতিগোষ্ঠীর প্রাচীন ভাষায় 'সিশুয়াংবান্না'-কে ডাকা হয় 'মেংবালানাসি'; যার অর্থ পবিত্র ও রহস্যময় স্থান। এখানকার রহস্যময় গ্রীষ্মমন্ডলীয় বনের প্রাকৃতিক দৃশ্য বিশ্ব বিখ্যাত; আর তাই স্থানটি চীনের অন্যতম আকর্ষণীয় পর্যটন-কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। এখানকরা সংখ্যালঘু জাতিগোষ্ঠীর রীতিনীতিও পর্যটকদের জন্য বেশ আকর্ষণীয় একটি বিষয়।

আলিম: আপনি ঠিকই বলেছেন। সিশুয়াংবাননা ইউয়ুননান প্রদেশের সবচেয়ে দক্ষিণে অবস্থিত। অঞ্চলটি লাওস ও মিয়ানমারের সীমান্তসংলগ্ন এবং থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনামও এ-অঞ্চল থেকে খুব একটা দূরে নয়। অঞ্চলটির আয়তন প্রায় ২০ হাজার বর্গকিলোমিটার। এখানকার লানছাং নদী দক্ষিণ থেকে উত্তর দিকে প্রবাহিত এবং মিয়ানমার, থাইল্যান্ড, লাওস, ক্যাম্পুচিয়া ও ভিয়েতনাম অতিক্রম করে এটি পরিণত হয়েছে মেকং নদীতে। সিশুয়াংবাননা দক্ষিণপূর্ব এশিয়া ও দক্ষিণ এশিয়ার সাথে পরিবহনের গুরুত্বপূর্ণ চ্যানেল ও ইউয়ুননানের উন্মুক্ত জানালা। এখানে তাই জাতি, হানি জাতি, লাকু জাতি, বুলাং জাতি ও জিনুও জাতিসহ ১৩টি সংখ্যালঘু জাতির বাস। তাদের মোট জনসংখ্যা অঞ্চলটির মোট লোকসংখ্যার ৭৪ শতাংশ।

সুবর্ণা: প্রাচীনকালের 'তাই' জাতির ভাষায় সিশুয়াংয়ের অর্থ 'বারো' এবং 'বাননার' অর্থ 'উপজেলা'। এ-অঞ্চল ১২টি উপজেলা নিয়ে গঠিত। ১৫৭০ সালে অর্থাত্ চীনের মিং রাজবংশের লোংছিং আমলে অঞ্চলটিকে প্রথম 'সিশুয়াংবাননা' নামে ডাকা শুরু হয়। এখানকার প্রাকৃতিক পরিবেশ গ্রীষ্মমণ্ডলীয় অঞ্চলের বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন। এখানে ঋতু মূলত দু'টি: বর্ষাকাল ও গ্রীষ্মকাল। মে মাসের শেষ দিক থেকে অক্টোবরের শেষ পর্যন্ত বর্ষাকাল এবং বাকি সময়টা গ্রীষ্মকাল। ১৯৯৩ সালে ইউনেস্কো সিশুয়াংবাননার প্রাকৃতিক অঞ্চলকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ বা বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে ঘোষণা করেছে। আপনারা যদি বিশ্বের মানচিত্র দেখেন, তবে দেখবেন সিশুয়াংবাননার আশেপাশের অনেক অঞ্চলই মরুভূমি; শুধু সিশুয়াংবাননায় ২০ হাজার বর্গকিলোমিটার ঘন বনাঞ্চল দেখতে পাবেন। এ-অঞ্চলে চীনের চার ভাগের এক ভাগ পশুর বাস এবং আচে ছয় ভাগের এক ভাগ উদ্ভিদ।

আলিম: সিশুয়াংবাননার কিছু তথ্য জানার পর এখন একটি সুন্দর গান শুনবো আমরা। গানের নাম 'সিশুয়াংবাননার ময়ুর পাখি'। 'তাই' জাতির লোকদের কাছে ময়ুর দারুণ সুন্দর ও সুখী একটি পাখি। গানটিতে সে-ধারণাই ফুটে উঠেছে।


1 2 3
সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদন
মন্তব্যের পাতা
ভিডিও চিত্র
সাক্ষাত্কার
চিঠিপত্র
Play Stop
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved.
16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040