মাকে আমে রেস্তোরাঁ তিব্বতের লাসা শহরের বাকো রাস্তার দক্ষিণ পূর্ব দিকে অবস্থিত ।
মাকে আমে শব্দটি সংগৃহীত হয়েছে ষষ্ঠ দালাইলামা শাংয়াংগিয়াশোর লেখা একটি প্রেমের কবিতা থেকে ।কথিত আছে , মাকে আমে ছিল শাংয়াংগিয়াশোর একজন প্র্রেমিকার নাম । তিব্বতী ভাষায় মাকে আমের মানে হলো পবিত্র মেয়ে ।
১৯৯৭সালে লাসা শহরের বাকো রাস্তার দক্ষিণ পূর্ব দিকে হলুদ রংয়ের একটি ভবন তিব্বতী জের্নাং ওয়াংছিংয়ের বেশ পছন্দ হয় । কথিত আছে ,এ ভবনে ষষ্ঠ দালাইলামা শাংয়াংগিয়াশোর সংগে চাঁদের মত সুন্দর মাকে আমের প্রথম দেখা হয় । তাঁদের হৃদয়স্পর্শী প্রেমের কাহিনীতে মুগ্ধ হয়ে জের্নাং ওয়াংছিং মাকে আমে নামের এ ভবনে একটি রেস্তোরাঁ খোলার সিদ্ধান্ত নেন ।
তিব্বতের ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতি বহন করলেও মাকে আমে রেস্তোরাঁ পরিচালিত হয় ব্যবসা-বাণিজ্যের আধুনিক পদ্ধতিতে । এর যেমন রয়েছে জাতীয় বৈশিষ্ট্য তেমনই রয়েছে সমসাময়িকতার আমেজ
কাবাব , টক মুলা সমেত গরুর মাংস , বন্য মাসরুম ও দই মেশানো সালাদ মাকে আমে রেস্তোরাঁর প্রশিদ্ধ খাবার ।
মাকে আমে রেস্তোরাঁর কাবাব সেঁকার সংগে সংগে নিজস্ব উপায়ে তৈরী সয়াবিন-সস ছিটিয়ে দেয়ার জন্য চিবানোর সময় কচকচ আওয়াজ হয় । তাই তা ভোজন রসিকদের জন্য একটি প্রিয় খাবারে পরিণত হয়েছে ।
টাটকা কচি বন্য মাশরুম সেঁকার সংগে সংগে তার উপর তিব্বতী মসলা ছিটিয়ে দেয়া হয় ।ফলে তার স্বাদ অদ্বিতীয়।
রেন সেন কো নামক তিব্বতের উত্পাদিত ফল , দই এবং সাত রকম সবজি দিয়ে মাকে আমে রেস্তোরাঁর যে সালাদ তৈরী হয় তা অত্যন্ত পুষ্টিকর
হলুদ রঙের এ দো'তলা রেস্তোরাঁর তিনটি শাখা রেস্তোরাঁ ইতোমধ্যেই পেইচিং ও খুনমিং শহরে খোলা হয়েছে । তিব্বতের নির্মল সাংস্কৃতিক পরিবেশে ঐতিহ্যবাহী খাবার পরিবেশনের জন্য মাকে আমে রেস্তোরাঁ অধিক থেকে অধিকতর দেশীবিদেশী পর্যটকের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে ।
|