জীবিত বুদ্ধ সিনচা ডেনচেন ছুচা
সবেমাত্র যুক্তরাষ্ট্র ও ক্যানাডা সফর শেষ করে চীনে ফিরে আসা জাতীয় গণ কংগ্রেসের তিব্বত প্রতিনিধি দল ২৭ মার্চ পেইচিংয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করেছে। প্রতিনিধি দলের নেতা জীবিত বুদ্ধ সিনচা ডেনচেন ছুচা সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেছেন, অল্প সংখ্যক বিচ্ছিন্নতাবাদীর 'তিব্বতের স্বাধীনতা' নিয়ে ওকালতি করার অপচেষ্টা ঠিক দিবাস্বপ্ন দেখার মতো।
সিনচা ডেনচেন ছুচা বলেন, অল্পসংখ্যক বিচ্ছিন্নতাবাদীর প্রত্যাশিত তথাকথিত 'তিব্বতের স্বাধীনতা' এ ধরনের শব্দের অস্তিত্ব ইতিহাসে কখনোই ছিল না।
'হাতে গোনা কিছু মানুষ 'তিব্বতের স্বাধীনতা' আশা করে। এটা তাদের অলীক দিবাস্বপ্নের মতো, তা বাস্তবায়িত হবে না।'
তিনি বলেন, ১৯৫৯ সালের পর গত ৫০ বছরে কেন্দ্রীয় সরকারের সুবিধাজনক নীতি ও বিভিন্ন অঞ্চলের জোরালো সমর্থনে তিব্বতের জনসাধারণ অত্যন্ত সুখী জীবন যাপন করছেন। তিব্বতের সমাজ ও অর্থনীতির আকাশা পাতাল পরিবর্তন হয়েছে। এখন হচ্ছে তিব্বতের ইতিহাসের স্বর্ণ যুগ।
সিনচা ডেনচেন আরো বলেছেন, গত বছরের ১৪ মার্চ কিছু দুর্বৃত্তের সৃষ্ট মারধোর, ভাংচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগসহ সহিংসতায় ১ বছর বয়সী একটি মেয়ে শিশুসহ ১৮ জন প্রাণ হারিয়েছে। অনেক জনগণের প্রাণের ওপর হুমকী হয়ে দাঁড়িয়েছিল তারা। অনেক মানুষের সম্পত্তি, ঘরবাড়ি ও দোকানপাট লুটপাট শিকার হয়েছে। কেউ কেউ ওকালতি করে বলেছে, ১৪ মার্চের ঘটনা হচ্ছে 'শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ প্রদর্শন'। আসলে এর উদ্দেশ্য হচ্ছে তিব্বতের শান্তি ও নিরাপত্তা ক্ষুন্ন করা।
'আমি মনে করি না যে, গত বছরের সহিংস কার্যকলাপ হলো 'শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ প্রদর্শন'। কেউ কেউ বলেছে, বিদেশে কেউ কেউ তথাকথিত 'শানিপূর্ণ বিক্ষোভ প্রদর্শনে' অংশ নিয়েছে। আমি মনে করি, যারা তথাকথিত 'শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ প্রদর্শনে' অংশ নিয়েছে, তারা তিব্বতের আসল অবস্থা জানে না। সত্যি কথা হলো, কিছু লোক তিব্বতের ভালো যুগ দেখাতে চায় না। আরো কিছু মানুষ পশ্চিমা শক্তিকে কাজে লাগিয়ে তিব্বতের ওপর হামলা চালানো বা তিব্বত সম্পর্কে অজ্ঞ লোকদের বিমোহিত করছে।'
উল্লেখ্য যে, ১৪ মার্চ চীনের জাতীয় গণ কংগ্রেসের ৫ জন তিব্বতী জাতির প্রতিনিধি নিয়ে গঠিত একটি প্রতিনিধি দল যুক্তরাষ্ট্র ও ক্যানাডা সফর শুরু করে। প্রতিনিধি দলের মধ্যে দু'জন নারীও ছিলেন। তাঁদের একজন কৃষক এবং আরেকজন হলেন ডাক্তার। ১২ দিনব্যাপী সফরে প্রতিনিধি দলটি ব্যাপকভাবে যুক্তরাষ্ট্র ও ক্যানাডার রাজনীতি, তথ্য মাধ্যম ও বিদগ্ধ সমাজ এবং তিব্বতী স্বদেশবাসীসহ প্রবাসীদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। (ইয়ু কুয়াং ইউয়ে) |