অভিন্ন ভাগ্যের নতুন যুগে প্রবেশ করেছে চীন ও মধ্য এশিয়ার ৫টি দেশ
2023-05-19 17:25:23



মে ১৮: চীন ও মধ্য এশিয়া শীর্ষসম্মেলন ১৮ ও ১৯ মে ‘পুরানো রেশমপথের উত্সস্থল- সিআনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ শীর্ষসম্মেলন থেকে চীন-মধ্য এশিয়া শীর্ষবৈঠক ব্যবস্থা গড়ে উঠেছে। শীর্ষসম্মেলনে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং বলেছেন, চীন ও মধ্য এশিয়ার ৫টি দেশ পরস্পরকে সমর্থন করা, অভিন্ন উন্নয়ন সাধন করা, সাধারণ নিরাপত্তা রক্ষা করা এবং প্রজন্ম থেকে প্রজন্মের মৈত্রী ধারণ করার ভিত্তিতে অভিন্ন ভাগ্যের নতুন যুগ সূচনা করবে। শীর্ষসম্মেলনে ব্যাংকিং, কৃষি, দারিদ্র্যবিমোচন, সবুজায়ন ও নিম্ন কার্বন, চিকিত্সা এবং ডিজিটাল উদ্ভাবনসহ প্রবৃদ্ধির নতুন পয়েন্টে ধারাবাহিক সাফল্য অর্জিত হয়েছে।

 

মধ্য এশিয়ার সঙ্গে চীনের যোগাযোগ ২১০০ বছর আগে শুরু হয়েছিল। চীনাদের পূর্বপুরুষ চাং ছিয়ান সি’আন থেকে মধ্য এশিয়া অতিক্রম করে ইউরোপ ও এশিয়া সংযুক্ত ‘পুরানো রেশমপথ’ তৈরি করেছেন, যাকে ‘পূর্ব ও পশ্চিমা সভ্যতার পথ’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে ইউনেস্কো।

১৯৯২ সালে চীন-মধ্য এশিয়ার ৫টি দেশের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করে। ২০১৩ সালে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং মধ্য এশিয়া সফরের সময় যৌথভাবে ‘রেশমপথ অর্থনৈতিক বেল্ট’ প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ উত্থাপন করেন। গত ১০ বছরে চীন মধ্য এশিয়ার প্রথম বাণিজ্যিক অংশীদারে পরিণত হয়। চীন ও পাঁচটি দেশের সঙ্গে বাণিজ্যের পরিমাণ ৭০.২ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়েছে, যা ইতিহাসের নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করেছে।

‘পুরানো রেশমপথ’ বর্তমানে সড়ক যোগাযোগ, রেলপথ, বিমান যোগাযোগ, তেল ও গ্যাস পাইপ লাইনসহ সার্বিক যোগাযোগের পথে পরিণত হয়েছে। পারস্পরিক যোগাযোগ ও গণজীবিকা উন্নয়ন এশিয়া-ইউরোপ শিল্প চেইনের স্থিতিশীলতার দৃঢ় ভিত্তি স্থাপন করেছে।

 

১৯ মে অনুষ্ঠিত শীর্ষসম্মেলন হলো দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৩১ বছরে প্রথম সরাসরি শীর্ষসম্মেলন। তাই চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং চীন-মধ্য এশিয়ার সম্পর্কের নতুন যুগের পরিকল্পনা তৈরির প্রস্তাব দিয়েছেন। তা হলো চীন মধ্য এশিয়ার সঙ্গে যৌথভাবে বিশ্ব উন্নয়ন, নিরাপত্তা ও সভ্যতার প্রস্তাব বাস্তবায়ন করা এবং মানবজাতির অভিন্ন স্বার্থের কমিউনিটি গঠন করা।

(রুবি/তৌহিদ/শিশির)