চীনা স্বপ্নের বাস্তবায়ন একটি ঐতিহাসিক বাস্তবতা: সি চিন পিং
2023-03-14 17:05:45

মার্চ ১৪: চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং একদা বলেছিলেন যে চীনা স্বপ্নের বাস্তবায়ন একটি ঐতিহাসিক বাস্তবতা। চীনের চতুর্দশ জাতীয় গণকংগ্রেসের সদ্য সমাপ্ত অধিবেশনে প্রেসিডেন্ট সি আবারও বলেছেন যে শক্তিশালী দেশের নির্মাণ ও জাতীয় পুনরুজ্জীবনের মহান দায়িত্ব আমাদের হাতে পড়েছে।

 

অধিবেশনের সমাপনীর তিনদিন আগে সি চিন পিং সর্বসম্মত ভোটে চীনের প্রেসিডেন্ট ও কেন্দ্রীয় সামরিক কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে আবারও নির্বাচিত হয়েছেন। তারপর তিনি গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের ইতিহাসে দ্বিতীয় বারের মতো প্রেসিডেন্ট হিসেবে সাংবিধানিক শপথগ্রহণ করেছেন।

 

সমাপনী অধিবেশনে সি চিন পিং বলেছেন, “আমি তৃতীয় বারের মতো প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে যাচ্ছি। জনগণের আস্থা হবে আমার জন্য সামনে এগিয়ে যাওয়ার বৃহত্তম চালিকাশক্তি। পাশাপাশি, এটি হবে আমার ভারী দায়িত্ব।” এসময় এনপিসির মোট ২৯০০ প্রতিনিধির সামনে তিনি ঘোষণা করেন, “সংবিধান প্রদত্ত দায়িত্ব আমি নিষ্ঠার সাথে পালন করব, দেশের চাহিদাকে নিজের মিশন হিসেবে নেব, এবং জনগণের স্বার্থকে কেন্দ্র করে আমি দায়িত্ব পালন করব।"

 

প্রেসিডেন্ট সি তৃতীয় বারের মতো প্রেসিডেন্ট হিসেবে এনপিসির সমাপনী সম্মেলনে ভাষণ দিয়েছেন। এটা যেমন প্রতিশ্রুতি, তেমনি যাত্রা শুরুর আহ্বানও বটে।

 

২০১৩ সালের ১৭ মার্চ নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট হিসেবে সি চিন পিং দ্বাদশ এনপিসির প্রথম অধিবেশনের সমাপনী অনুষ্ঠানে ভাষণ দিয়েছিলেন। তখন তিনি চীনা স্বপ্নের অর্থ এবং উপলব্ধির শর্তাবলী ব্যাখ্যা করেছেন। চীনের সকল জাতির প্রতি চীনা স্বপ্ন বাস্তবায়নে চেষ্টা করার আহ্বান জানিয়েছিলেন তিনি।

 

২০১৮ সালের ২০ মার্চ দ্বিতীয় বার নির্বাচিত হবার পর প্রেসিডেন্ট সি সমাপনী অনুষ্ঠানে মহান চীনা মানুষ ও চীনা জাতির চেতনা তুলে ধরেছিলেন। তিনি তখন কীভাবে শক্তিশালী দেশ নির্মাণ এবং জাতীয় মহান পুনরুত্থান করা যায়- তার বিস্তারিত দিকনির্দেশনা দিয়েছিলেন। দৃঢ়ভাবে উচ্চমানের উন্নয়ন এগিয়ে নেয়া, জনগণকে অগ্রাধিকার দেয়া, উন্নয়ন ও নিরাপত্তার সমন্বয় করা, ‘এক দেশ দুই ব্যবস্থা’র বাস্তবায়ন ও দেশের একীকরণ এগিয়ে নেয়া এবং মানব জাতির অভিন্ন লক্ষ্যের কমিউনিটি গঠনের ওপর গুরুত্বারোপ করেছিলেন প্রেসিডেন্ট সি।

 

এবারের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রেসিডেন্ট সি বলেছেন, সবাইকে সব সময় ঐতিহাসিক আস্থা শক্তিশালী করতে হবে, সততা এবং সংগ্রামের চেতনাকে এগিয়ে নিতে হবে, এবং সাহসী হতে হবে। একটি শক্তিশালী দেশ ও জাতি গঠনে অবদান রাখতে হবে। (শিশির/এনাম/রুবি)