গত ১০ বছরে ৬ কোটিরও বেশি কারিগরি স্নাতক শিক্ষার্থী কর্মসংস্থানের সুযোগ পেয়েছেন
2022-10-10 16:59:49

বন্ধুরা, আগের অনুষ্ঠানে আমরা চীনের কারিগরি শিক্ষা সম্পর্কে কিছু তথ্য তুলে ধরেছি। কারিগরি শিক্ষা এবং সাধারণ শিক্ষা এখন সমান গুরুত্ব পাচ্ছে চীনা সরকারের কাছে। এর উদ্দেশ্যে যুবশিক্ষার্থীদের কারিগরি শিক্ষার প্রতি আগ্রহী করে তোলা।  স্কুলের পড়াশেষে সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয়েই ভর্তি হতে হবে—এমন ধারণা এখন আর অনেকেই পোষণ করেন না। বস্তুত গত ১০ বছরে চীনের কারিগরি শিক্ষাব্যবস্থায় বিভিন্ন শিল্পের জন্য অনেক সেরা ও দক্ষ শ্রমিক প্রশিক্ষণ পেয়েছেন। তাদের সংখ্যা ৬ কোটিরও বেশি। তারা উন্নত প্রক্রিয়াকরণ শিল্প, কৌশলগত নবোদিত শিল্প ও আধুনিক পরিষেবা শিল্পে যুক্ত হয়েছেন; তাদের দক্ষতা চীনের রাষ্ট্রীয় শিল্পের কাঠামোগত রূপান্তর, চীনের নির্মাণ শিল্প ও পরিসেবার মান উন্নয়নে রুত্বপূর্ণ ভুমিকা রেখেছে ও রাখছে। আজকের আসরে আমরা চীনের কারিগরি শিল্পের উন্নয়ন নিয়ে কিছু তথ্য তুলে ধরবো।

 

চীনের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত সর্বশেষ পরিসংখ্যান থেকে জানা গেছে, বর্তমানে চীনের বিভিন্ন কারিগরি স্কুলে মেজরের সংখ্যা ১৩০০টিরও বেশি, যেগুলো চীনের অর্থনীতির বিভিন্ন খাতের সাথে জড়িত। আধুনিক নির্মাণ শিল্প, কৌশলগত নবোদিত শিল্প ও আধুনিক পরিষেবা শিল্পসহ বিভিন্ন খাতের শ্রমিকরা ৭০ শতাংশেরও বেশি কারিগরি স্কুলের স্নাতক।  সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের কারণে শ্রমিকদের কাঠামোতেও ব্যাপক পরিবর্তন ঘটেছে। গত ১০ বছরে শ্রমিকদের শিক্ষাকাল মোট ১৩.৮ বছরে দাঁড়িয়েছে। এ সম্পর্কে চীনের রাষ্ট্রীয় শিক্ষা প্রশাসনিক একাডেমির কারিগরি প্রশিক্ষণ গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক সিং হুই বলেন, চীন নির্মাণকারী দেশ থেকে নির্মাণ শিল্পের শক্তিশালী দেশে পরিণত হচ্ছে; কারিগরি প্রশিক্ষণের কারণে গুণগতমানসম্পন্ন ও দক্ষ ব্যক্তি সৃষ্টি হচ্ছে, যারা শিল্প ও প্রযুক্তি খাতে দক্ষ ব্যক্তির অভাব পূরণ করছে। চীনে কারিগরি প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত দক্ষ ব্যক্তিদের সংখ্যা, কাঠামো ও মানের উন্নতি অব্যাহত আছে।

২০১৯ সালের অগাস্ট মাসে চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং একটি কারিগরি প্রশিক্ষণ স্কুল পরিদর্শনকালে বলেন, বাস্তব অর্থনীতি চীনের অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ। তাই বাস্তব অর্থনীতির উন্নয়নে ব্যাপক সংখ্যায় দক্ষ ব্যক্তি প্রয়োজন। কারিগরি শিক্ষার ব্যাপক উন্নয়ন ঘটাতে হবে।

চলতি বছরের অগাস্টে চীনের থিয়ানচিন হাল্কা শিল্প কারিগরি প্রযুক্তি একাডেমির বৈদ্যুতিক অটোমেশন বিভাগের ছাত্র লিউ হুয়া কেং বিশ্বের প্রথম কারিগরি দক্ষতা প্রতিযোগিতার মঞ্চে দাঁড়ান। প্রতিযোগিতার অংশ হিসেবে ১৫ মিনিটের মধ্যে তাকে একটি যন্ত্রের বিদ্যুতলাইন সংযুক্ত করতে হবে। কাজটা খুবই কঠিন। এতে যথেষ্ঠ ধৈর্য ও হস্তকর্মের দক্ষতা প্রয়োজন। এ প্রক্রিয়ায় বিদ্যুতের লাইনের দৈর্ঘ্য, সংযোগের দৃঢ়তা এবং যন্ত্রের সাথে এর খাপ খাওয়ানোকে বিবেচনায় রাখতে হবে। একটি ক্ষুদ্র ভুল যন্ত্রকে ধ্বংস করে দিতে পারে। লিউ হুয়া কেংয়ের দল অবশেষে এ প্রতিযোগিতায স্বর্ণপদক লাভ করে।

কার্বন নিরপেক্ষতা বর্তমান বিশ্বে হট বিষয়গুলোর একটি। তাই এবার বিশ্বের প্রথম পর্যায়ের কারিগরি দক্ষতা প্রতিযোগিতায় এ মেজরের বিষয়ও ব্যাপক মনোযোগ পেয়েছে।

চীনের নতুন অর্থনীতির স্টাইল, প্রবণতা ও নতুন পেশার উন্নয়নের চাহিদা মেটাতে কারিগরি শিক্ষার মেজরের তালিকা প্রতি পাঁচ বছরে একবার সংশোধন করা হয়। প্রতিবছর কিছু  সংযোজন করা হয়। এর লক্ষ্য গুণগত মানসম্পন্ন দক্ষ প্রযুক্তিবিদ গড়ে তোলা।

গত ১০ বছরে কারিগরি শিক্ষাব্যবস্থার আওতায় কারিগরি শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ ‘কারিগরি কাওখাও’ চালু হয়েছে। এতে মোট ১০০৭টি মেজর রয়েছে। এসব মেজরের ৭০ শতাংশই নতুন।

চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসে চীনের শিক্ষা মন্ত্রণালয় নতুন ‘কারিগরি শিক্ষা মেজর তালিকা’ প্রকাশ করে। এতে ১৯টি বিভাগের ৯৭টি শাখা বিভাগের ১৩৪৯টি মেজর অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

চীনের শাআনসি শিল্প কারিগরি একাডেমির প্রেসিডেন্ট লিউ ইয়ং লিয়াং বলেন, ১০ বছর আগে শাআনসি প্রদেশের গুরুত্বপূর্ণ শিল্পের অন্যতম সরঞ্জাম নির্মাণ শিল্পটি বর্তমানে উচ্চ পর্যায়ের সরঞ্জাম নির্মাণ শিল্পে রূপান্তরিত করা হয়েছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে শিল্পজাত উন্নয়নের চাহিদা মেটাতে, শাআনসি শিল্প কারিগরি একাডেমিতে শিল্পজাত রোবট, মাল্টি-অক্ষ যন্ত্র, প্রক্রিয়াকরণ শিল্পের প্রশাসন এবং জিনিসপত্র নেটওয়ার্কসহ বিভন্ন নতুন মেজর চালু হয়েছে। ফলে গত ১০ বছরে চীনের দক্ষিণপূর্ব উপকূলীয় এলাকায় চাকরি নেওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা অনেক বেড়েছে। ১০ বছর আগে একাডেমির প্রক্রিয়াকরণ বিভাগের স্নাতক শিক্ষার্থীদের উন্নত এলাকায় কর্মসংস্থানের হার ছিল প্রায় ৬০ শতাংশ। ১০ বছর পর শাআনসি প্রদেশের জিডিপি ও ডিপিআই দ্বিগুণ হয়েছে। আর একাডেমির স্নাতক শিক্ষার্থীদের শাআনসি প্রদেশে কর্মসংস্থানের হার দাঁড়িয়েছে ৮৫ শতাংশে। কারিগরি শ্রমিকদের মাসিক বেতনও ১৩৫০ ইউয়ান থেকে ৫১০০ ইউয়ানে উন্নীত হয়েছে।

গত ১০ বছরের পরিবর্তন থেকে বোঝা যায়, কারিগরি প্রশিক্ষণ আঞ্চলিক অর্থনীতির উন্নয়ন ও আঞ্চলিক স্তম্ভ শিল্পের জন্য গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। কারিগরি প্রশিক্ষণ বিভিন্ন শিল্পের উন্নয়নেও ইতিবাচক ভুমিকা পালন করেছে। কারিগরি প্রশিক্ষণের মাধ্যমে উপযোগী ও গুণগত মানের দক্ষ ব্যক্তি গড়ে উঠেছে। সংখ্যা মানের দিক থেকে চীনের সরঞ্জাম উত্পাদন শিল্পের জন্য যথেষ্ঠ দক্ষ কর্মী সৃষ্টি হয়েছে।

গত ১০ বছরে কারিগরি প্রশিক্ষণের মানও ক্রমশ উন্নত হয়েছে। ২০১৯ সালে চীনের রাষ্ট্রীয় পরিষদের উদ্যোগে ‘জাতীয় কারিগরি প্রশিক্ষণ সংস্কার প্রস্তাব’ গৃহীত হয়। তাতে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে যে, কারিগরি প্রশিক্ষণ ও সাধারণ শিক্ষার মর্যাদা সমান থাকবে। তখন থেকে কারিগরি শিক্ষার মর্যাদা বৃদ্ধি পেয়েছে। সরকার ধীরে ধীরে প্রযুক্তিগত দক্ষতার ওপর গুরুত্ব বাড়িয়েছে, গোটা সমাজের দক্ষ প্রযুক্তিকর্মীদের সম্মান বাড়িয়েছে, এবং প্রত্যেকের দক্ষতা ও প্রযুক্তিগত জ্ঞান বৃদ্ধির দিকে নজর দিয়েছে।

১০ বছর আগে চীনের চেচিয়াং অর্থনীতি কারিগরি একাডেমির প্রেসিডেন্ট শাও ছিং সিয়াং খেয়াল করেন যে, কারিগরি প্রশিক্ষণ গতানুগতিক ধারায় চালিয়ে গেলে হবে না। বিভিন্ন কারখানার সাথে যোগাযোগ করে তাদের চাহিদা অনুসারে ক্লাস আয়োজন করতে হবে।

সেসময় তাঁর স্কুল একটি কোম্পানির সাথে সহযোগিতা করে লজিস্টিক শিল্প একাডেমি স্থাপন করে। তখন থেকে স্কুলের ক্লাস চলতে থাকে শিল্পপ্রতিষ্ঠানের উত্পাদন লাইনে। শিক্ষার্থীরা উত্পাদন লাইনে কাজ করা বা ইন্টার্নশিপ করার মাধ্যমে বিভিন্ন প্রযুক্তিগত দক্ষতা অর্জন করতে থাকে।

এ সম্পর্কে প্রেসিডেন্ট শাও বলেন, কারিগরি স্কুলের দায়িত্বশীল ব্যক্তি হিসেবে তিনি রাষ্ট্রীয় পর্যায় থেকে কারিগরি শিক্ষার ওপর মনোযোগ গভীরভাবে অনুভব করেন। চীনের শিক্ষা মন্ত্রণালয় কারিগরি প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ ব্যক্তি সৃষ্টিসংক্রান্ত পরামর্শ এবং চীনের রাষ্ট্রীয় পরিষদের কার্যালয় থেকে প্রকাশিত শিল্প ও শিক্ষার গভীর সংমিশ্রণ সংক্রান্ত প্রস্তাবসহ বিভিন্ন দলিল বিস্তারিতভাবে গবেষণা করেছেন শাও। তখন তিনি ভাবলেন, সংস্কারের সঠিক পথে হাঁটতে হবে। এরপর স্কুলে ব্যক্তিদের প্রশিক্ষণ, প্রযুক্তিগত গবেষণা, কর্মীদের প্রশিক্ষণ, আন্তর্জাতিক সহযোগিতাসহ বিভিন্ন খাতে ব্যাপক পরিবর্তন ঘটে। বিগ ডেটা, নেটিজেন, এআই প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন প্রযুক্তির প্রয়োগ করে স্কুলের শিক্ষাব্যবস্থার ব্যাপক উন্নয়ন ঘটে।

তিনি বিশ্লেষণ করে বলেন যে, শিল্পের চাহিদা অনুসারে শিক্ষার বিষয়বস্তু ঠিক করতে হবে। শিক্ষাদানের প্রক্রিয়ায় প্রয়োজনীয় শিক্ষক, সরঞ্জাম, ক্লাসের কোর্স ও প্রশিক্ষণস্থল নিশ্চিত করতে হবে। স্কুলের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট শিল্পপ্রতিষ্ঠান বা কারখানার সহযোগিতা নিশ্চিত করা গেলে প্রশিক্ষণের মান ও কার্যকারিতা বাড়বে। এভাবে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সমস্যাও মোকাবিলা করা যাবে।

চীনের নানচিং শিল্প কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয় এবং বেইজিংয়ের একটি খোদাই বিজ্ঞান প্রযুক্তি কোম্পানি পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে ৩০০০ বর্গমিটারের একটি প্রশিক্ষণঘাঁটি গড়ে তুলেছে। এতে একটি যথার্থ পণ্য প্রক্রিয়াকরণ অটোমেশন উত্পাদন লাইন গঠন করা হয়েছে এবং দুটি কারখানায় খোদাই স্ফটওয়ের স্থাপন করা হয়েছে।

চীনের কুয়াংতুং প্রদেশে কুয়াংতুং-হংকং-ম্যাকাও কারিগরি শিক্ষার জোটসহ বিভিন্ন সহযোগিতামূলক প্ল্যাটফর্ম গড়ে তোলা হয়েছে। ২০২১ সালে বিভিন্ন কারিগরি স্কুল চীনের ২০টি শিল্পের জন্য ১ লাখ ৩১ হাজারেরও বেশি দক্ষ ব্যক্তিকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে, যা কুয়াংতুংয়ের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে।

চলতি বছরের অগাস্ট মাসে বিশ্বের প্রথম কারিগরি প্রযুক্তি শিক্ষা উন্নয়ন সম্মেলনে চীনের শিক্ষামন্ত্রী হুয়াই চিন পেং বলেন, চীনের প্রযুক্তি ও কারিগরি শিক্ষার মধ্যে গভীর সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। এটি চীনের বিভিন্ন শিল্পের উন্নয়নে ইতিবাচক ভুমিকা রাখছে।

ছেলে চিয়া হাও ইয়ু থিয়ানচিন মহানগরের একটি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। থিয়ানচিন বিদ্যুত্ তথ্য প্রযুক্তি একাডেমি থেকে স্নাতক হওয়ার পর তিনি চিলিন বিজ্ঞান প্রযুক্তি একাডেমির তথ্য নেটওয়ার্ক বিভাগের একজন শিক্ষক হন। বিশ্ব কারিগরি প্রযুক্তি প্রতিযোগিতায় তিনি স্বর্ণপদক লাভ করেন। এ সম্পর্কে চিয়া হাও ইয়ু বলেন, “বর্তমানে আমার দেশ দক্ষ প্রযুক্তিবিদদের ওপর অনেক গুরুত্ব দিচ্ছে। দক্ষতার মাধ্যমে নিজেদের জীবনমানে  পরিবর্তন ঘটেছে; স্বপ্ন হয়েছে বাস্তবায়িত।” তিনি একাডেমিতে যোগ দেওয়ার দ্বিতীয় বছরেই সহকারী অধ্যাপক হিসেবে পদোন্নতি পেয়েছেন।

বর্তমানে চীনে বিশ্বের বৃহত্তম কারিগরি শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে উঠেছে। চীনের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান থেকে জানা গেছে, ২০২১ সালে চীনের কারিগরি স্কুলে শিক্ষার্থীদের সংখ্যা ছিল ৫৫ লাখ ৭০ হাজার জনেরও বেশি। গত ১০ বছরে এ সংখ্যা ১.৮ গুণ বেড়েছে। ২০২১ সালে বিভিন্ন মাধ্যমিক কারিগরি স্কুলে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৪৮ লাখ ৯০ হাজার জনেরও বেশি। প্রতিবছর এসব কারিগরি স্কুল সমাজকে প্রায় এক কোটি দক্ষ কর্মী উপহার দিচ্ছে।

২০২২ সালে চীনের কারিগরি শিক্ষা উন্নয়নের শ্বেতপত্র প্রকাশিত হয়। এ থেকে জানা গেছে, কারিগরি স্কুলের স্নাতক শিক্ষার্থীদের কর্মসংস্থানের সুযোগ অনেক বেড়েছে। কারিগরি স্কুল তেকে স্নাতক হওয়ার ৬ মাসের মধ্যে তাদের মাসিক বেতন স্পষ্টভাবে বেড়ে যায় এবং তাদের মাথাপিছু মাসিক বেতনও শহরাঞ্চলের নাগরিকদের গড় আয়ের চেয়ে বেশি। কারিগরি স্কুলের স্নাতক শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৭০ শতাংশ গ্রামাঞ্চলের। তারা চীনের শহরায়ন প্রক্রিয়ায় অনেক অবদান রেখেছেন। তারা চীনের গ্রামাঞ্চলের পুনরুজ্জীবনের শক্তিও বটে।

বিগত ১০ বছরে ৬.১ কোটিরও বেশি কারিগরি খাতের দক্ষ ব্যক্তি চীনের কর্মবাজারে প্রবেশ করেছে। তারা চীনের কারিগরি শিক্ষার সংস্কার ও উন্নয়নের স্বাক্ষী। তাদের যৌথ প্রয়াসে চীনের কারিগরি শিক্ষার সংস্কারও সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়িত হয়েছে। তারা চীনের বিভিন্ন শিল্পের উন্নয়নে আরো বেশি অবদান রাখবে বলে বিশ্বাস করি।(সুবর্ণা/আলিম/মুক্তা)