চীন সম্পর্কিত যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নীতির মূল বিষয় পরিবর্তন হয় নি: সিএমজি সম্পাদকীয়
2022-05-28 18:58:00

মে ২৮: বৃহস্পতিবার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিনকেন জর্জ ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ে যুক্তরাষ্ট্রের চীন সম্পর্কিত নীতি নিয়ে বক্তৃতা দেওয়ার সময় ‘পুঁজি বিনিয়োগ, মৈত্রী ও প্রতিদ্বন্দ্বিতার’ ভিত্তিতে নতুন চীন সম্পর্কিত নীতির ভিত্তি উত্থাপন করেছেন।

২০২১ সালের মার্চ মাসে, ব্লিনকেন দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রথম কূটনীতি বক্তৃতায় ‘প্রতিদ্বন্দ্বিতা, সহযোগিতা, বৈরিতার’ চীন সম্পর্কিত নীতি উত্থাপন করেন। সবাই বুঝতে পারে, যুক্তরাষ্ট্র এর মাধ্যমে চীনকে প্রতিরোধ করতে চায়। এখন এই নীতির কিছু পরিবর্তন হলেও যুক্তরাষ্ট্রের চীনকে প্রতিরোধ করার চেষ্টার কোনো পরিবর্তন ঘটে নি।

বিস্তারিতভাবে বলা যায়, ‘যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ পুঁজি বিনিয়োগ করা’ মানে নিজ দেশের প্রতিদ্বন্দ্বী শক্তি জোরদার করা। আর ‘মিত্র হওয়া’ মানে আরও বেশি দেশকে নিজের পক্ষে আনা। যাতে মিত্র দেশগুলো চীনকে প্রতিরোধ করতে পারে। আর ‘প্রতিদ্বন্দ্বিতা’ মানে চীনকে বাধা দেওয়া।

বক্তৃতায় ব্লিনকেন ঘোষণা করেন যে, মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ‘চীন গ্রুপ’ স্থাপন করবে। কিছুদিন আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এশিয়া সফরের সময় ‘ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশল’ উত্থাপন করেছেন। যাতে বৈরিতা আরও বাড়তে পারে।

চীন ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র এখনো তার প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করে নি। ‘নতুন স্নায়ুযুদ্ধ না করার’ প্রতিশ্রুতি শুধুই একটি মুখের কথা।

(শুয়েই/তৌহিদ/লিলি)