জাপানি রাজনীতিকরা বৈরিতার ইঙ্গিত দিচ্ছেন: সিএমজি সম্পাদকীয়
2022-05-27 18:58:38

মে ২৭: সম্প্রতি টোকিওতে যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার শীর্ষ নেতারা চার-পক্ষীয় শীর্ষসম্মেলনে অংশ নিয়েছেন। জাপানী প্রধানমন্ত্রী তাতে সভাপতিত্ব করেন। শীর্ষসম্মেলনের পর এক যৌথ বিবৃতিতে সরাসরি চীনের নাম উল্লেখ না-করা হলেও চীনকে ইঙ্গিত করে অনেক কথা বলা হয়েছে। আর এটি বলছে খোদ জাপানি গণমাধ্যম। 

 

সম্প্রতি জাপান ও যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষবৈঠক এবং যৌথ বিবৃতিতে চীন নিয়ে মিথ্যাচার করা হয়েছে। তাতে বুঝা যায় যে, জাপানি রাজনীতিকরা বৈরিতার ঈঙ্গিত দিচ্ছেন এবং যুক্তরাষ্ট্রকে কেন্দ্র করে এশিয়ার স্বার্থ বিরোধী পথে চলছেন। গতকাল (বৃহস্পতিবার) চায়না মিডিয়া গ্রুপের এক সম্পাদকীয়তে এ মন্তব্য করা হয়েছে।

 

 

 সম্পাদকীয়তে বলা হয়েছে, জাপানি গণমাধ্যমের সুত্রে জানা গেছে, চার পক্ষের শীর্ষসম্মেলনে সামরিক ও সামাজিক অবকাঠামো নির্মাণে চীনবিরোধী ইঙ্গিত দেয়া হয়েছে। শীর্ষসম্মেলনের পর এক সাংবাদিক সম্মেলনে জাপানি প্রধানমন্ত্রী চার পক্ষের শীর্ষসম্মেলন পূর্ব সাগর ও দক্ষিণ চীন সাগর অঞ্চলে একতরফা পরিবর্তনের চেষ্টা নিয়ে উদ্বিগ্ন বলে জানান। শীর্ষসম্মেলনে আগামী ৫ বছরে এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা করা হয়েছে।

 

সম্পাদকীয়তে আরও বলা হয়েছে,  যুক্তরাষ্ট্র-কেন্দ্রিক ন্যাটো সোভিয়েত ইউনিয়নকে কল্পিত শত্রু  হিসেবে গণ্য করেছিল। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র, বৃটেন ও অস্ট্রেলিয়া আবার সামরিক তৃপক্ষীয় নিরাপত্তা অংশীদারিত্বের সম্পর্ক গঠনের চেষ্টা চালাচ্ছে এবং এশিয়ায় নতুন স্নায়ুযুদ্ধ চালাতে চায়, যা ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়াসহ অধিকাংশ এশীয় দেশগুলোর সমালোচনা কুড়িয়েছে। পাশাপাশি,  ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ ভারতের চাহিদাই  মেটাতে পারবে না। কিন্তু ২০১৩ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত চীন ‘এক অঞ্চল, এক পথ’ সংশ্লিষ্ট দেশগুলোতে বিনিয়োগ করেছে ১৬.১৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

 

(রুবি/এনাম/শিশির)