সত্যিকারের গণতন্ত্রকে কলঙ্কিত করছে এনইডি: সিআরআই সম্পাদকীয়
2022-05-10 16:43:07

মে ১০:মার্কিন ন্যাশনাল এন্ডোমেনট ফর ডেমোক্রেসির (এনইডি) সত্যিকারের চেহারা সম্প্রতি চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়াইবসাইটে প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে সংশ্লিস্ট তথ্য-উপাত্ত উপস্থাপন করে এনইডির আসল চেহারা সবার সামনে স্পষ্ট করে দেয়া হয়েছে। ফলে সবাই বুঝতে পারছেন, এনইডি হচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও অঞ্চলের বিচ্ছিন্নতাবাদী সহিংসতা, কথিত বিপ্লব, রাজনৈতিক সংকট এবং মিথ্যা গুজব ছড়ানোর পিছনের কালো হাত। এনইডির অপরাধ যে কত বেশি, তা বিশ্ববাসীর কল্পনারও বাইরে।

 

১৯৮৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এনইডি। অন্য দেশের গণতন্ত্রকে সহায়তাকারী বেসরকারি সংস্থা হিসেবে নিজেকে দাবি করে এনইডি। কিন্তু তারা আসলে গণতন্ত্রের অজুহাতে গণতন্ত্রকে বিনষ্ট করে থাকে। অনেক বছর ধরে তারা হোয়াইটহাউজ ও মার্কিন কংগ্রেসের কাছ থেকে অর্থ সহায়তা পেয়ে আসছে। সে অর্থ ব্যয় করে তারা সংশ্লিষ্ট দেশ ও অঞ্চলে মার্কিন মূল্যবোধ প্রচার করে এবং বিচ্ছিন্নতা ও সংঘর্ষকে উস্কানি দেয়।

 

প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই এনইডি এসব কাজ করে আসছে। মার্কিন সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা যায়, আগে সিআইএ গোপনে যেসব কার্যক্রম চালিয়েছে, সেসব এখন করছে এনইডি। এনইডি ‘গণতন্ত্র” প্রমোটের নামে এসব কার্যক্রম প্রকাশ্যে চালাচ্ছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও অঞ্চলে এনইডি তার কার্যক্রম চালাচ্ছে। চীনও এনইডির কার্যক্রমের একটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র।

 

২০১৯ সালে এনইডি চীন-বিরোধী ও হংকংয়ের দাঙ্গাকারীদের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করেছে। তারা তাদেরকে অর্থ সমর্থন এবং প্রশিক্ষণ প্রদান করেছে। ফলে ২০১৯ ও ২০২২ সালে চীন সরকার এনইডিকে নিষেধাজ্ঞার আওতায় এনেছে।

 

এছাড়া, চীন-বিরোধী কার্যক্রম চালাতে এনইডি প্রতিবছর অনেক অর্থ বরাদ্দ করে থাকে। তারা তথাকথিত সিনচিয়াং স্বাধীনতা, হংকং স্বাধীনতা ও তিব্বত স্বাধীনতাকে উস্কানি দিয়ে থাকে। এনইডির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত উপাত্তে দেখা যায়, এক বছরে চীন-সম্পর্কিত ৬৯টি প্রকল্পে এনইডি এক কোটিরও বেশি ডলার প্রদান করেছে। চীনের রাজনৈতিক ও সামাজিক স্থিতিশিলতা নষ্টে বিভিন্ন ধরনের কার্যক্রমে উস্কানি অব্যাহত রেখেছে।

 

গত ২৭ থেকে ৩০ মার্চ পর্যন্ত এনইডির প্রধান একটি প্রতিনিধি দল নিয়ে তাইওয়ান সফর করেছে। তারা তাইওয়ান ফাউন্ডেশন ফর ডেমোক্রেসিকে সহযোগিতার ঘোষণা দিয়েছে। এভাবেই এনইডি গণতন্ত্রের নামে তাইওয়ানের স্বাধীনতাকামীদের সমর্থন প্রদান করে আসছে।

 

বাস্তবতা প্রমাণ করেছে যে, এনইডি যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ এবং মার্কিন স্বার্থ সংরক্ষণের হাতিয়ার। গণতন্ত্রের সাথে যার কোনো সম্পর্ক নেই।

 

এনইডির এহেন আচরণ বৈশ্বিক প্রবণতার সাথে সাংঘর্ষিক। বিশ্ববাসী ইতোমধ্যে ব্যাপকভাবে এনইডির বিরোধিতা ও অপছন্দের কথা প্রকাশ করেছেন। এনইডি আসলে সত্যিকারের গণতন্ত্রকে কলঙ্কিত করছে।

 

(আকাশ/এনাম/রুবি)