চীনের কারিগরি শিক্ষায় তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার
2022-04-04 10:40:00

চীনে কারিগরি শিক্ষার ওপর গুরুত্ব দিন দিন বাড়ছে। কারিগরি শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়ন ও এ খাতে নব্যতাপ্রবর্তনও দৃষ্টি আকর্ষণ করার মতো। চীনের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল ব্যক্তি জানিয়েছেন যে, চীনের কারিগরি শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়নের জন্য এ খাতে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানো হবে। আজকের আসরে আমরা চীনের কারিগরি শিক্ষার উন্নয়নসংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা করব।

চীনের শাংহাই মহানগরের একটি কারিগরি স্কুলের ক্লাসরুমে ডিজিটাল এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে। হোটেল প্রশাসন বিষয়ক ক্লাস চলছিল। শিক্ষক শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন করেন: ‘গ্রীষ্মকালীন ছুটিতে হোটেলের আয় গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ব্যাপকভাবে বাড়াতে চাইলে কী কী পদক্ষেপ বা ব্যবসায়ী উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে?’ উত্তরে ছাত্রছাত্রীরা বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ দেয় এবং এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে সংশ্লিষ্ট তথ্য বিশ্লেষণ করে।

এ সম্পর্কে স্কুলের দায়িত্বশীল ব্যক্তি বলেন, এটি কোনো খেলা নয়, বরং ডিজিটাল এআই প্রযুক্তির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের আরও উন্নত শিক্ষা দেওয়ার প্রচেষ্টা। এ প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে হোটেল প্রশাসন সম্পর্কে শিক্ষার্থীরা আরও স্পষ্ট ধারণা পাচ্ছে। পাশাপাশি, তারা সংশ্লিষ্ট প্রযুক্তির ব্যবহারের দক্ষতাও অর্জন করছে।

বস্তুত, চীনে কারিগরি শিক্ষার ডিজিটাইজিংয়ের সুষ্ঠু ভিত্তি স্থাপিত হয়েছে আগেই। এখন বহু স্কুলের চাহিদা বিবেচনা করে এআই ক্লাসরুম, ভিআর পরীক্ষাগারসহ বিভিন্ন ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করা হচ্ছে। কোনো কোনো স্কুলে শিক্ষাদানের ক্ষেত্রে ইন্টারনেট ও এআই প্রযুক্তিনির্ভর পাঠ্যপুস্তক ব্যবহার করা হচ্ছে।

চীনের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি শিক্ষা ও প্রাপ্তবয়স্ক শিক্ষা বিভাগের প্রধান ছেন জি চি বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ‘ওয়ান প্লাস ফাইভ’ ব্যবস্থা গড়ে উঠেছে। এ ব্যবস্থার আওতায়  কারিগরি শিক্ষানীতিকেন্দ্র, পেশাদার শিক্ষাসম্পদকেন্দ্র, সেরা অনলাইন ক্লাস, ভিআর ইন্টারশিপ কেন্দ্র ও কারিগরি স্কুলের প্রশাসনিক দক্ষতা উন্নয়ন কেন্দ্র গড়ে উঠেছে।

এর সঙ্গে সঙ্গে শিক্ষা মন্ত্রণালয় অব্যাহতভাবে শ্রেষ্ঠ ডিজিটাল শিক্ষাসম্পদ ব্যবহার করে বিভিন্ন পর্যায়ের তথ্যভাণ্ডার সমৃদ্ধ করবে, অব্যাহতভাবে ডিজিটাইজিং ও বহুমুখী পাঠ্যপুস্তক রচনা করবে, কারিগরি স্কুলে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াবে। আর এ সবের লক্ষ্য হবে কারিগরি শিক্ষায় তথ্যপ্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করা।

কারিগরি শিক্ষাব্যবস্থার মূল উদ্দেশ্য বহুমুখী দক্ষতাসম্পন্ন কর্মী গড়ে তোলা। এ সম্পর্কে চীনের কুইচৌ প্রদেশের শিছিয়ান জেলার লংথাং উপজেলার তাথুন গ্রামের সিপিসি’র সম্পাদক চৌ শাও জুন বলেন, গ্রামের কৃষিজাত পণ্যের বিক্রি বাড়াতে ইন্টারনেটে দক্ষ ব্যক্তিদের প্রয়োজন। অতীতে এমন লোকের অভাব ছিল বিধায় ইন্টারনেটে কৃষিজাত পণ্যের বিক্রি হতো কম।

তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীনের ডিজিটাল অর্থনীতির উন্নয়নের সাথে সাথে ডিজিটাল খাতে দক্ষ ব্যক্তিদের চাহিদাও অনেক বেড়েছে। চীনের তথ্য ও টেলিযোগাযোগ গবেষণাগারের প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, ২০২০ সালে চীনে ডিজিটাইজিংয়ে দক্ষ ব্যক্তির অভাব ছিল প্রায় ১.১ কোটি। বিভিন্ন শিল্পের ডিজিটাইজিং প্রক্রিয়ার দ্রুত উন্নয়নের কারণে এ খাতে দক্ষ ব্যক্তির অভাব আরও প্রকট হবে।

চীনের বিভিন্ন শিল্পের চাহিদা মেটাতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের প্রশিক্ষণ দিতে ‘ডিজিটাল প্রকৌশলী প্রশিক্ষণ প্রকল্পের বিধিমালা’ প্রণয়ন করেছে চীন সরকার। এতে এআই প্রক্রিয়াকরণসহ ১০টি কারিগরি রাষ্ট্রীয় মানদন্ড নির্ধারিত হয়েছে। তা ছাড়া, কিছু কিছু স্কুল ও শিল্পপ্রতিষ্ঠান গ্রামাঞ্চলে অনলাইন বা অফলাইনের প্রশিক্ষণ ক্লাস চালু করেছে। চীনের বিভিন্ন এলাকার ডিজিটাল খাতে প্রশিক্ষণও ধীরে ধীরে উন্নত হচ্ছে।

কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়িয়ে দেওয়া হবে কারিগরি প্রশিক্ষণের গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রম এবং বিভিন্ন কারিগরি স্কুলের প্রশিক্ষণের মানের প্রতিফলন। বর্তমানে তথ্যপ্রযুক্তি, ক্লাউড কম্পিউটিং, পণ্য পরিবহন নেটওয়ার্ক, এআই প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিষয় চীনের বিভিন্ন শিল্পের সাথে মিশে গেছে। এ প্রেক্ষাপটে ইন্টারনেট বিপণনকারী, এআই বিশ্লেষকসহ নতুন পেশারও আবির্ভাব ঘটেছে। তাই কারিগরি প্রশিক্ষণ খাতে কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়ানোর মাধ্যমে নতুন পেশা সৃষ্টি করা প্রয়োজন।  এভাবে আরও বেশি শিক্ষার্থী কারিগরি প্রশিক্ষণ গ্রহণের মাধ্যমে উপকৃত হতে পারে।

গত বছরের অক্টোবর মাসে চীনের রাষ্ট্রীয় পরিষদের কার্যালয়ে ‘আধুনিক কারিগরি শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়ন পরামর্শ’ প্রকাশিত হয়, তাতে শিল্পের উন্নয়ন ও প্রযুক্তিগত সংস্কারের প্রবণতা বিবেচনা করে উন্নত নির্মাণ, সবুজ জ্বালানি সম্পদ, আধুনিক কৃষি, আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তি, এআই প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন নবোদিত শিল্পের সেরা ব্যক্তিদের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম জোরদারের কথা বলা হয়।

চীনের বিভিন্ন এলাকার কারিগরি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা নতুন নীতিমালা ও সুবিধাজনক ব্যবস্থার সহায়তায় নতুন পরিবর্তন ও সম্ভাবনা অনুভব করেছে। ছেলে চৌ জি ইয়াং একজন কারিগরি স্কুলের স্নাতক শিক্ষার্থী। সে এআই খাতে প্রশিক্ষণ নিয়েছে। তার দৃষ্টিতে নতুন পেশা ও চাকরির জন্য কেবল কর্মদক্ষতা নয়, বরং গুণগত মানসম্পন্ন কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত লোক প্রয়োজন। এভাবে কারিগরি স্নাতক শিক্ষার্থীদের জন্য ব্যাপক কর্মসংস্থানের সুযোগ ও উন্নয়নের সম্ভাবনা সৃষ্টি হতে পারে।

চীনের কারিগরি খাতের ডিজিটাইজিং হচ্ছে, বিভিন্ন ধরনের অনলাইন ক্লাস ও ভিডিও ক্লাস ইন্টারনেটে পাওয়া যায়। এভাবে সময় এ অবস্থানের বাধা ভেঙ্গে দিয়ে আরো বেশি লোক অনলাইনে সংশ্লিষ্ট শিল্পের পেশাগত জ্ঞান অর্জন করতে পারছে। তা ছাড়া, কারিগরি প্রশিক্ষণের পরিমার্জিত শ্রেণীবিভাগ ব্যাপক উন্নত হয়েছে, ফলে আরো বেশি লোক কারিগরি শিক্ষার মাধ্যমে নিজেদের দক্ষতাও বাড়াতে পারছে।

শিক্ষার্থী চৌ বলল, আজকাল অনলাইনে পড়াশোনার নতুন নতুন প্ল্যাটফর্ম চালু হয়েছে। আজীবন পড়াশোনা করা একটি নতুন প্রচলিত ধারণায় পরিণত হয়েছে। যদি লোকেরা বিভিন্ন অনলাইন ক্লাসের কোর্স শেষ করে পরীক্ষায় পাস করতে পারে ও যোগ্যতাপত্র পায়. তাহলে কারিগরি শিক্ষার্থীদের জন্য সেটা আরও বেশি আশাব্যঞ্জক ব্যাপার হবে।

আজকাল চীনে কারিগরি শিক্ষার্থীদের স্নাতক ডিগ্রী প্রদান করা হয়। চীনের কারিগরি শিক্ষার উন্নয়ন সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা দিয়েছিলেন চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং। তিনি বলেছিলেন, ‘স্থিতিশীলভাবে কলেজ পর্যায়ের কারিগরি শিক্ষা উন্নয়ন করা প্রয়োজন।’ জানা গেছে, আগামী ৫ বছরের মধ্যে চীনের শিক্ষা মন্ত্রণালয় ১০টি উচ্চমানের কারিগরি স্কুল বেছে নিয়ে সেগুলোকে স্নাতক ডিগ্রী দেওয়ার অনুমতি দেবে। তাই কারিগরি শিক্ষার স্নাতক ডিগ্রী কি রকমের হবে এবং সংশ্লিষ্ট ক্লাস ও মেজর কিভাবে নির্ধারিত হবে—তা নিয়ে অনেকের কৌতুহল সৃষ্টি হয়েছে।

আসলে চীনের উন্নয়নের নতুন পর্যায়ে সাধারণ শিক্ষা ও কারিগরি শিক্ষার সম্মান মূল্য রয়েছে। কারিগরি শিক্ষা চীনের সমাজ ও অর্থনীতির উন্নয়নে প্রয়োজনীয় ব্যক্তিবর্গ গড়ে তুলেছে ও তুলছে। কাঠামোগত সংস্কার ও অর্থনৈতিক কাঠামো সমন্বয়ের কারণে বিভিন্ন শিল্পে দক্ষ ব্যক্তির চাহিদাও ব্যাপকভাবে বাড়ছে। বর্তমানে চীনে কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত ব্যক্তির অভাব প্রকট। সেই জন্যে বিভিন্ন ব্যবস্থা নিয়ে গুণগত মানসম্পন্ন কারিগরি শিক্ষা ও গুণগত মানসম্পন্ন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কারিগরি শিক্ষা ও সাধারণ শিক্ষার দ্বৈতপথ চালু হতে পারে। এতে কারিগরি শিক্ষার প্রতি আগ্রহ বৃদ্ধি পাবে। কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিতদের কর্মক্ষেত্রে সুযোগসুবিধা বৃদ্ধির মাধ্যমেও এ খাতে শিক্ষার্থীদের আকৃষ্ট করা যেতে পারে। এতে কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত দক্ষ ব্যক্তির সংখ্যা বাড়বে এবং দেশের চাহিদা মিটবে।

চীনের ভবিষ্যতের পরিকল্পনায় কারিগরি শিক্ষার মান উন্নয়নের বিষয় গুরুত্ব সহকারে উল্লেখ করা হয়েছে। বর্তমানে চীনে কারিগরিবিষয়ক বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা ৩২টি, শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১ লাখ ২৯ হাজার। ২০২৫ সালে এ সংখ্যা আরো বাড়াতে হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কারিগরিবিষয়ক স্নাতক ডিগ্রীর মূল বিষয় সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয় আর কারিগরি কলেজের মূল বিষয়ের মধ্যে পার্থক্য আছে। কারিগরিবিষয়ক বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রযুক্তিগত দক্ষ ব্যক্তি গড়ে তোলা হয়। তাদের শিক্ষাপদ্ধতিতে শিল্পপ্রতিষ্ঠান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সহযোগিতা এবং ইন্টারনশিপ যুক্ত করা গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। কারিগরি কলেজগুলো শিক্ষাসূচি নির্ধারণের সময় সংশ্লিষ্ট চাকরির চাহিদা বিবেচনা করে এবং শিক্ষার্থীদের তাত্ত্বিক জ্ঞান অর্জন ও জটিল সমস্যা মোকাবিলার দক্ষতার ওপর গুরুত্ব দেয়। তাতে প্রযুক্তিগত নব্যতাপ্রবর্তন ও প্রযুক্তির উন্নয়নের সুযোগ বাড়ে।

পরিসংখ্যান থেকে জানা গেছে, ২০২২ সালে চীনের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর স্নাতক শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১ কোটি ৭ লাখ ৬০ হাজারেরও বেশি, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৬ লাখ ৭০ হাজারেরও বেশি। কিভাবে শিক্ষার্থীদের গুণগত মানসমপন্ন চাকরি পেতে  সহায়তা দেয়া যায়? এ সম্পর্কে গ্লোবল ওয়েবসাইট স্কুলের সিইও ই কুই ইয়ে মনে করেন, চীনের নবোদিত শিল্পের উন্নয়নের প্রবণতা, বাজারের চাহিদা ও সেরা ব্যক্তিদের কাঠামো বিবেচনা করার পর বোঝা যায় যে, কারিগরি শিক্ষা ও চাকরি নেওয়া পর পুনরায় প্রশিক্ষণ হবে মূল প্রবণতা।

কারিগরি প্রতিষ্ঠানগুলো কিভাবে গুণগত মানসম্পন্ন প্রশিক্ষণ দিতে পারে? এ সম্পর্কে তিনি বলেন, স্নাতক শিক্ষার্থীদের সঠিক কর্মসংস্থানের চেতনা থাকা অতি গুরুত্বপূর্ণ। শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলো শিক্ষার্থীদের জন্য ইন্টারনশিপ দিতে পারে। কারিগরি প্রতিষ্ঠান ইন্টারনশিপের সময় চাহিদা বিবেচনা করে বাস্তব প্রশিক্ষণ কোর্স চালু করতে পারে, কম সময়ের মধ্যে কর্মীদের কর্মদক্ষতা অর্জনে সহায়তা দিতে পারে। এটা হবে কার্যকর পদ্ধতি।

কারিগরি শিক্ষা আজীবন শিক্ষার মতো। প্রযুক্তির দ্রুত উন্নয়নের সাথে সাথে শিল্পেও দিনে দিনে ব্যাপক পরিবর্তন ঘটে চলছে। তাই কারিগরি শিক্ষার্থীদের অব্যাহত প্রশিক্ষণ ও নতুন প্রযুক্তির জ্ঞান অর্জনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করতে হবে।

কারিগরি প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের পেশাগত প্রশিক্ষণ দেওয়া অতি প্রয়োজনীয়। যেমন, সঠিক সামাজিক মূল্যবোধ, কারিগরি চেতনা, কর্মদক্ষতা ইত্যাদি। শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোর উচিত নিজস্ব  কারিগরি শিক্ষাব্যবস্থা চালু করা, যাতে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার ও শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোর দক্ষ কর্মীর চাহিদা মেটানো যায়।

(সুবর্ণা/আলিম/মুক্তা)