ডিসেম্বর ৯: বিবিসি এক সময় চীনের সিনচিয়াং নিয়ে অপমানজনক ও বিকৃত খবর প্রচার করেছিল- যা খণ্ডন করেছে চীনা গণমাধ্যম। তবে, তারা ভুল ঠিক করে নি এবং অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নেয় নি। এবারে তারা চীনের ‘এক অঞ্চল, এক পথ’ উদ্যোগ নিয়ে বিকৃত খবর প্রচার করেছে। তারা একজন মার্কিন বিশেষজ্ঞের সাক্ষাত্কার উল্টো করে প্রচার করেছে ।
ডেবরাহ ব্রাউটিগাম মার্কিন জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের চীন-আফ্রিকা গবেষণালয়ের অধ্যাপক। গত পহেলা ডিসেম্বর এই পণ্ডিত তার গবেষণালয়ের ওয়েবসাইটে “‘বিবিসি ঋণ ফাঁদের কূটনীতি’ নিয়ে আমার বক্তব্য বিকৃত করেছে” শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশ করেন। এ প্রতিবেদনে বিবিসি’র ষড়যন্ত্র তুলে ধরা হয়।
তিনি বলেন, বিবিসির এক সাংবাদিকের সঙ্গে কথিত “ঋণ ফাঁদের কূটনীতি” নিয়ে আলোচনা করেছেন তিনি। সে সময় তিনি শ্রীলংকার হাম্বানতোতা পোর্ট ও অন্যান্য উদাহরণ নিয়ে তার গবেষণা থেকে ‘কথিত ‘ঋণ ফাঁদের কূটনীতির’ কথা অযৌক্তিক বলে ব্যাখ্যা করেন। তবে সাক্ষাত্কারের পরদিনই তার শুনতে বিশেষভাবে এডিট অডিও শুনতে পান।
ডেবরাহ ব্রাউটিগাম এরপরই বিবিসি’র প্রতিবেদন শুনতে যান। সে প্রতিবেদনে কেবল রয়েছে ‘“ঋণ ফাঁদের কূটনীতি” এবং ‘শ্রীলংকার উদাহরণের ঐতিহ্যবাহী চিন্তাভাবনা নিয়ে তার ব্যাখ্যা। কিন্তু সে কথিত ‘ঋণ ফাঁদের কূটনীতির’ বক্তব্য কেন ভুল, সে সব প্রমাণ বাদ দেওয়া হয়েছে সে প্রতিবেদনে।
ডেবরাহ ব্রাউটিগাম বলেন, তিনি বিবিসিকে ভালো গণমাধ্যম হিসেবে মনে করতেন। তবে এ ঘটনা তাকে অবাক করে দিয়েছে।
শুধু বাস্তবতা নয়, মনের চোখও বন্ধ করে দিয়েছে এ ধরণের সম্প্রচার মাধ্যম। হুমকি দিয়ে গল্প বলার পদ্ধতি পশ্চিমা দেশগুলোর চীনকে অপমানে করার উপায়। অধ্যাপক ডেবরাহ ব্রাউটিগামের এ ঘটনা কেবল তাদের অপমানজনক কর্মকাণ্ডের অন্যতম ঘটনা।