১-৪ ডিসেম্বর, শতাধিক দেশের অতিথি কুয়াংচৌতে যান। তারা ২০২১ চীনকে বুঝুন শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলন এবং চীনের অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যত নিয়ে আলোচনা করেন। তারা তিনটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর দেন।
১. চীনের বিস্ময়কর উন্নয়নের রহস্য কী?
জাতীয় নবায়ন ও উন্নয়ন কৌশল গবেষণালয়ের পরিচালক চেং পি চিয়াং বলেন, চীনের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিসি) ভালোভাবে ইতিহাসের অভিজ্ঞতার সারসংকলন করতে পারে। বাস্তব তথ্যাবলী থেকে সত্যের অনুসন্ধান করতে পারে। তা হল সিপিসি’র উন্নয়নের রহস্য।
চীনের অর্থনৈতিক ব্যবস্থা সংস্কার গবেষণালয়ের মহাসচিব চাও আই বলেন, চীনের দ্রুত উন্নয়ন তিনটি বিষয়ের ওপর নির্ভরশীল। তা হলো সিপিসির নেতৃত্ব এবং উন্মুক্তকরণ ও সংস্কারের নীতিতে অবিচল থাকা।
২. চীন কীভাবে বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলবে?
চাইনিজ ইউনিভার্সিটি অফ হংকংয়ের বিশ্ব ও বর্তমান চীনের উচ্চ পর্যায়ের গবেষণালয়ের পরিচালক চেং ইউং নিয়ান বলেন, পশ্চিমা দেশগুলো নিজের দৃষ্টিকোণ থেকে চীনকে দেখে তবে আমরা বিশ্বকে প্রমাণ করতে চাই আমরা নতুন ধরনের সভ্যতার দেশ। চীন বিশ্ব শান্তির রক্ষণাবেক্ষণকারী, নির্মাতা ও সমর্থক দেশ।
সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী গর্ডন ব্রাউন বলেন, প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং আমাদেরকে অনুপ্রেরণা দিয়েছেন। আমাদের উচিত্ বিশ্বে একটি অভিন্ন লক্ষ্যের কমিউনিটি গঠন করা এবং আমাদের উদ্দেশ্য হল- আদর্শ ও সমাজ ব্যবস্থার পার্থক্য দূর করা।
৩. ৩০ বছর পর চীন কেমন হবে?
জাতীয় নবায়ন ও উন্নয়ন কৌশল গবেষণালয়ের শিক্ষা গবেষণাকেন্দ্রের পরিচালক ওয়াং ই হং বলেন, ভবিষ্যতে চীনের শিক্ষা উন্নত হবে। প্রত্যেক মানুষের সম্মান ও ভালবাসার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হবে এবং প্রতিটি শিশুর বৈশিষ্ট্য ও চাহিদা অনুযায়ী তাকে শিক্ষা দেওয়া হবে।
জাপান এজিসি কোম্পানির চীনে নিযুক্ত দায়িত্বশীল কর্মকর্তা উয়েদা তোশিহিরো বলেন, কার্বন নিরপেক্ষ ও সচ্ছল সমাজ গঠন বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ। তিনি আশা করেন, চীনের দ্বিতীয় শতবর্ষের লক্ষ্য বাস্তবায়ন হলে বিশ্ব চীনা পরিকল্পনা পেয়ে যাবে।
(শিশির/তৌহিদ/আকাশ)
