নভেম্বর ৩০: গণতন্ত্র পৌঁছে দেওয়ার অজুহাতে যুক্তরাষ্ট্র অন্য দেশের ওপর আগ্রাসন চালায় এবং নিরীহ মানুষ হত্যা করে। তাই গণতন্ত্রের কথা বলার অধিকার যুক্তরাষ্ট্রের নেই। সিআরআই সম্পাদকীয় এ-কথা বলেছে।
বিশ্বে নানা যুদ্ধ ও দাঙ্গাহাঙ্গামা আরেকবার প্রমাণ করেছে যে, বহির্বিশ্বে গণতন্ত্র চাপিয়ে দেওয়া এবং নিজের ব্যবস্থা ও মূল্যবোধ অন্য দেশের ওপর জোর করে প্রয়োগ করা আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক শান্তি, নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা নষ্ট করার কারণ। সম্প্রতি, যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত চীন ও রুশ রাষ্ট্রদূত মার্কিন পত্রিকায় এক যৌথ প্রবন্ধে দেশটির তথাকথিত ‘গণতন্ত্র শীর্ষসম্মেলনের’ দৃঢ় বিরোধিতার করেছেন।
একদিকে যুক্তরাষ্ট্র গণতন্ত্রের গান গেয়ে থাকে, অন্যদিকে গণতন্ত্র-বিরোধী কাজ করে থাকে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর যুক্তরাষ্ট্র গণতন্ত্রের পতাকা হাতে নিয়ে অন্য দেশের ওপর আক্রমণ চালিয়েছে এবং নিরীহ মানুষ হত্যা করেছে।
যুক্তরাষ্ট্র অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করেছে এবং সংশ্লিষ্ট দেশের সামাজিক স্থিতিশীলতা ও জন নিরাপত্তায় গুরুতর আঘাত হেনেছে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীনের উন্নয়ন দমনে কিছু মার্কিন রাজনীতিবিদ আবারও গণতন্ত্রের পতাকা তুলে ধরেন। ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশল থেকে যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার ‘চার পক্ষের ব্যবস্থা’ পর্যন্ত, যুক্তরাষ্ট্র এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে বৈরিতা সৃষ্টি করছে এবং যা আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা নষ্টের কারণ।
গণতন্ত্র হলো একটি সাধারণ মূল্যবোধ যা বিভিন্ন দেশের অনুসরণের বিষয়। এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক হাতিয়ার নয় বলে উল্লেখ করেছে সিআরআই সম্পাদকীয়।
লিলি/তৌহিদ/শুয়ে