নভেম্বর ২০: গতকাল (শুক্রবার) চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং বেইজিংয়ে ‘এক অঞ্চল, এক পথ’ উদ্যোগ-বিষয়ক এক আলোচনাসভায় এই উদ্যোগের উচ্চ গুণগত মানের উন্নয়নের লক্ষ্যের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। গণজীবিকায় কল্যাণ অর্জন করা হলো এই লক্ষ্যের মধ্যে অন্যতম। ৮ বছর আগে চীনের এই উদ্যোগ উত্থাপনের প্রাথমিক উদ্দেশ্য ছিল এটি। ৮ বছর ধরে চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোর থেকে চীন-মঙ্গোলিয়া-রাশিয়ার অর্থনৈতিক করিডোর পর্যন্ত, মোমবাসা-নাইরোবি রেলপথ থেকে জাকার্তা-বানদুং হাই-স্পিড রেলপথ পর্যন্ত ‘এক অঞ্চল, এক পথ’ উদ্যোগটি একটির পর একটি বিস্তারিত পদক্ষেপের মাধ্যমে পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের জনগণের জন্য বাস্তব কল্যাণ বয়ে এনেছে। সিআরআই সম্পাদকীয় এসব মন্তব্য করেছে।
৮ বছর পর বিশ্বে দ্রুত পরিবর্তন হচ্ছে। ‘এক অঞ্চল, এক পথ’ উদ্যোগ পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া এবং জন্যকল্যাণ সৃষ্টি প্রসঙ্গে প্রেসিডেন্ট সি এর বলেছেন, যৌথভাবে এই উদ্যোগ নির্মাণ গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ তৈরি করেছে। আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি দিন দিন জটিল হয়ে ওঠার প্রেক্ষিতে সক্রিয়ভাবে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে।
পারস্পরিক রাজনৈতিক আস্থা, আন্তঃযোগাযোগ, নিরবচ্ছিন্ন বাণিজ্যিক ও সাংস্কৃতিক বিনিময় গভীর করা, পার্শ্ববর্তী দেশে বাণিজ্যিক আকার সম্প্রসারণ করা, ‘সিল্ক রোড ই-কমার্স’ উন্নত করা এবং ডিজিটাল সহযোগিতার প্যার্টান গঠন করা, ‘এক অঞ্চল, এক পথ’ উদ্যোগের উচ্চ গুণগত মানের উন্নয়নকে কেন্দ্র করে আলোচনাসভায় প্রেসিডেন্ট সি গুরুত্বপূর্ণ দিক-নির্দেশনা দিয়েছেন। দেখা যায়, তাঁর এসব মন্তব্য বিগত ৮ বছরে ‘এক অঞ্চল, এক পথ’ উদ্যোগ নির্মাণে সফল অভিজ্ঞতার সারসংকলন করেছে। পাশাপাশি, পরিস্থিতি অনুযায়ী যুক্তিসঙ্গত সুবিন্যাসও করা হয়েছে। এই উদ্যোগ সৃষ্টিকারী হিসেবে চীন এই বৈশ্বিক গণপণ্যের উচ্চ গুণগত মানের উন্নয়নে প্রাণশক্তি যোগ করেছে। সময় প্রমাণ করেছে যে, চীনা জনগণ নিজের ভালো জীবন গঠনের পাশাপাশি বিশ্বের জনগণকে ভালো জীবন উপহার দিতে চায়।
(লিলি/তৌহিদ/জিনিয়া)