ছেন ই স্যুন বা ইসন ১৯৭৪ সালের ২৭ জুলাই চীনের হংকং বিশেষ প্রশাসনিক অঞ্চলে জন্মগ্রহণ করেন। চীনের কুয়াং তোং প্রদেশের তোংকুয়ান শহর তাঁর পূর্বপুরুষদের জন্মস্থান। ইসন চীনা ভাষার পপসঙ্গীত গায়ক, অভিনেতা ও সুরকার। তিনি ব্রিটেনের কিংস্টন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক হন।
১৯৯৫ সালে তিনি ১৪তম নতুন প্রতিভা সংগীত প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হন। একই বছর তিনি শোবিজে প্রবেশ করেন। ১৯৯৬ সালে তিনি প্রথম একক অ্যালবাম ‘ছেন ই স্যুন’ প্রকাশ করেন। ১৯৯৭ সালে তিনি প্রথমবারের মতো চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। ১৯৯৮ সালে ‘অদ্বিতীয়’ গান দিয়ে সঙ্গীত জগতে সাড়া ফেলেন।
২০০০ সালে ইসন প্রকাশিত গান ‘কেটিভির রাজা’ সঙ্গীত জগতে তাঁর শক্ত অবস্থা তৈরি করে। ২০০১ সালে তিনি পপ ও রক স্টাইলের অ্যালবাম ‘যাই-হোক এটা আমি’ প্রকাশ করেন। ২০০৩ সালে তিনি তাঁর অ্যালবাম ‘কালো, সাদা ও ধূসর’ প্রকাশ করেন। অ্যালবামের গান ‘দশ বছর’ চতুর্থ শীর্ষ চীনা সঙ্গীতে টপ টেন গোল্ডেন মেলোডি অ্যাওয়ার্ডস জিতে।
২০০৫ সালে ইসন ক্যান্টোনিজ ভাষার একটি অ্যালবাম ‘ইউ ৮৭’ প্রকাশ করেন। অ্যালবামে ‘বিষণ্ণতা’ নামের গানটি তাঁর জীবনের প্রতিনিধিস্থানীয় শিল্প-কর্মগুলোর অন্যতমে পরিণত হয়।
‘আমি তোমার ভালোবাসার অপেক্ষায় রইলাম’ আসলে একটি টিভি নাটকের থিম সং। গানের মূল গায়িকা ছেন মিং। আগের অনুষ্ঠানে আমি ছেন মিংয়ের গল্প আপনাদের শুনিয়েছে। কিন্তু ইসন গানটির প্রচ্ছদ সংস্করণ করেন। ২০১১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে প্রকাশিত তাঁর অ্যালবাম ‘স্ট্রেঞ্জার আন্ডার মাই স্কিনে’ এটি অন্তর্ভুক্ত হয়।
‘দুঃখ অর্থহীন’ ইসনের একটি ক্যান্টোনিজ ভাষার গান। গানটি তাঁর ২০০৬ সালের নভেম্বরে প্রকাশিত ‘কী হচ্ছে?’ অ্যালবামে অন্তর্ভুক্ত হয়। গানটির চীনা ভাষার সংস্করণও রয়েছে। এটি ২০০৭ সালের এপ্রিল মাসে প্রকাশিত তাঁর ম্যান্ডারিন ভাষার অ্যালবামে অন্তর্ভুক্ত হয়। ২০০৭ সালে গানটি দিয়ে ইসন বেশ কয়েকটি পুরস্কার জিতেন। এটি আসলে মানুষের ভাবাবেগ ত্যাগ করার একটি গান।
‘কথা বলবে না’ ইসনের ২০০৮ সালের জুন মাসে প্রকাশিত অ্যালবাম ‘ডোন্ট ওয়ান্ট টু লেট গো’র একটি গান। এটি একটি চলচ্চিত্রের থিম সং। ২০০৯ সালে গানটি দিয়ে ইসন ১৩তম চাইনিজ মিউজিশিয়ান এক্সচেঞ্জ অ্যাসোসিয়েশনের বছরের সেরা দশটি গান পুরস্কার জিতেন। (প্রেমা/এনাম)